কারখানা
১।।
এক ঘ্রাণ বিকেল হাঁটাহাঁটি ছিল রোজকার
মত, শোকাতুর এক গাছ দাঁড়িয়ে ছিল পথপাশে
কারখানাকে ঘিরে থাকা এত গাছ, তারা কিন্তু শোকহীন, সবুজ!
কারখানার আকাশ ছুঁতে চাওয়া এসবেস্টস ছাদ,
বছরের পর বছর ষড়যন্ত্রের ধুলো জমে
অফিসের জানলার কাঁচে।
মরচে এগিয়ে নিয়ে যায় লৌহস্তূপকে খণ্ডহরের দিকে।
আধুনিক মেশিনের শব্দহীন আওয়াজ সুসজ্জিত হয়ে
হাজিরা দেয় তিনটে শিফটেই, কারখানা জেগে থাকে।
২।।
গুলফাম নেমে এল, গৌতম মাঝী ও নেমে পাশে বসল
বেলা আড়াইটা, ৪৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হবেই
ওয়েল্ডিঙের তাপ ও ধোঁয়ায় ওরা জারিত। জবের দিক্
পরিবর্তন করতেই হয়। ওটুকু সময় ওদের বিরতি
জব পজিশনে এলে ওরা আর বসবে না, উঠে যাবে, হয়ত
হেলতে দুলতে যাবে বেসিনের দিকে, কালি হাত পেতেই
বুক ভিজিয়ে জল খাবে। তারপর আবার ওয়েল্ডিং ওয়েল্ডিং...
জব এগোবে পূর্ণতার দিকে, তিনমাসের টার্গেট পুরো হবে।
আবার একটা বিরতি আসবে ওদের। ওরা মানে গুলফাম,
গৌতমদের মত যারা তিনমাস নিরন্তর কাজ পেয়েছে- একমাস
অনিবার্য ব্রেক। কারণ ওরা যে ঠিকা শ্রমিক !
চিত্রঋণ ঃ সুনীল কুমার মান্ডাবালিয়া
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post