শাঁস্
কেন জানিনা,আরব সাগরের জলকে
রক্ত ভেবে ভুল করে ছিলাম আমি।
রাস্তার ধূসর কালো মুখের লোকটি যখন,
পড়ে থাকা
নারকেলের শাঁস গুলি খেয়েছিল
তখন রবীন্দ্রনাথ
কে জবাব দেওয়া হয়েছিল আমার,
নারকেলের জলে তেষ্টা মিটেছিল তোমাদের
স্বার্থপর মানুষের দল,কিন্তু তার খিদে
কি মিটেছিল ?
রবীন্দ্রনাথেরই
দুয়ারে।
হ্যাঁ ,আমাদেরই
শান্তিনিকেতনে।
কবিতা,গল্প,উপন্যাস,নাটক এসব করে
আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি।
রবীন্দ্রনাথ
হননি!!!
বটগাছের তলে সেই
লোকটি প্রশ্ন করেছিল সমস্ত উপন্যাসদের।
শুধু তো
নারকেলের শাঁস্ ,আর তো কিছু নয়,
অনেক নাটক দেখেছি এখানে,সমাধান দেখিনি।
সেই শাঁস্ কুরানো
লোকটি যেন,দুপুরের সূর্যটিকে
মামলেটের মতো খেয়ে ফেলতে চেয়েছিল।
কিন্তু হাতে
থেসিস চোখে চশমাধারি লোকগুলি
রবীন্দ্রগবেষনায়
লিপ্ত।
হয়ত এই গবেষণা গুরুদেব কখনও করেননি,
নারকেল গাছটি ছিল শান্তিনিকেতনের,আমার গুরুদেবের,যার শাঁস্ সে
খেয়েছিল।
শান্তিনিকেতনের
ঝলসে যাওয়া চাঁদ আজ লুকোচুরি খেলতে ব্যাস্ত।
রবীন্দ্রনাথ আজ
থাকলে চশমধারিরা লুকোচুরি খেলত কোথায়?
তবু জানি পরে
থাকা নারকেলের শাঁস্ গুলি দেখে
আজও গুরুদেব লিখছেন হয়ত শুকিয়ে যাওয়া লোকটির
শুকনো জিভের উপরে।
রবী ফিরে এসো তুমি ,তোমার নবদীপ্তির
কবিতা নিয়ে,বড়ই প্রয়োজন তোমার আজ,
শান্তিনিকেতন আজ
বড়ই ক্ষুধার্ত।
রথ আমারও
আজ তাহলে ভেবেই
নাও,-তোমার ধর্মই সেরা,
মোহজালের কিছু
নিয়ম, আর নাটক দেখায় টিকি, দাড়ি,
বিভৎস মোহোর
প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা চেনা রেলগাড়ি
সম্ভবত আজ ,জেদের বসে---বলে,
কী করে পিতা
তোমার গন্তব্যে পাওয়া যায়।
আগুনের সাগরে... সিঁদুর বিসর্জন হবে
সম্প্রীতি পুড়ে
যেতে তো সময় লাগেনি,
অসুবিধে... কিছু নেই, ওটা ওরা খাক, আর আমরা মাটির
পুতুল বানাই,,, , ,
একচিলতে উল্কার
জেদে বিপজ্জনক- বিপরীত---
প্রাণবন্ত
গেরুয়া, নামাজের টুপি। নেহাতই রথের উষ্ণতার----
একপশলা কৌশলের বৃষ্টি,
মুহূর্তেই শুয়ে
আছে থৈ থৈ রথের রশি, ---
শান্ত সাগরখানায় ।
রথ আজও আমার
চলনের জন্ম দেয়---হ্যাঁ আমি মুসলিম!!!!!
মানুষখেকো কিছু টিকি, দাড়ি শুধু।
চিত্রঋণঃ www.Google.com
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post