বিষন্ন নাট্যশালায় আমি একা দর্শক
বিষন্ন নাট্যশালায় আমি একাই দর্শক । আমার
চারপাশে
কলাকুশলীরা নানারকম অনুভূতির তরঙ্গ নিয়ে খেলা
করে ।
আমি নীরব দর্শক দেখে যাই – তরঙ্গের কোন স্পর্শ
ছোঁয় না
অথচ তরঙ্গের ওপারে নাটক শেষে সেইসব কলাকুশলীরা
আমায় ধাওয়া করে । ঘরে ফিরে এলে রাতে তারা আমার
বিছানা পেতে দেয় অথচ ঘুম আমায় স্পর্শ করে না ।
বেঁচে
থাকার যখন কোন উৎসাহ খুঁজে পাই না তখন তারাই
আমায়
নতুন করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলে- দেখ আমরাও
বেঁচে আছি ,
আমাদেরও কোন ভালোলাগা নেই,আমাদেরও কোন বাঁচার
উৎসাহ নেই – তবুও বেঁচে আছি । তুমি পারবে আমাদের মতো
বেঁচে থাকতে ? আমাদের মত নাটকের দর্শক না হয়ে
শুধুমাত্র
অভিনয় করে যেতে সারাজীবন ? – যদি পার তবে উঠে
এস মঞ্চে !
বেলুনওয়ালা
দুপায়ে বাঁধা সাইকেলের প্যাডেল চলছে বেলুনওয়ালা
সঙ্গে ভরা হাওয়ার ভান্ড আর
কাঁধে নিয়ে রঙবেরঙ বেলুনের ঝোলা
পিছন পিছন ছুটে চলে ভীড় শিশুদের লোভে তার ।
একটা একটা বেলুন হাওয়ায় ভরে সঁপে দেয় শিশুদের
হাতে
বেলুনওয়ালার সাইকেল এগিয়ে চলে আপন খেয়ালে
চলে যায় গ্রাম-গঞ্জ পেরিয়ে মফস্বল ছাড়িয়ে শহরের
অন্তরালে
যত এগোয় ভীড় তত বাড়ে শিশুরাও বড় হয় হাওয়া
বেলুনের সাথে ।
স্থান বদলায় সময় বদলায়, বদলায় শিশুদের চোখ
পালাবদলে হাওয়াবদলে বেলুনের আকার আর রঙও বদলায়
বদলের এই সাপেক্ষতায় একই থেকে যায়
শুধু বেলুনওয়ালার মুচকি মুচকি মুখ ।
চিত্র ঋণঃ Google.com
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post