জীবন তো আমি নই গুণাগুণ আর মুল্য
Image Courtesy: Google Images |
কিছুই তো হল না এই পঁয়ত্রিশ বছরের জীবনে
বেঁচে থাকার জন্য পর্যবেক্ষণ আর
অমরত্বের লোভে উৎপাদন ছাড়া
অভিজ্ঞতার সঞ্চয়ই বা কতটুকু আর মূলধনই বা কোথায়
সেই তো চলন বলনে ‘লেট-লতিফ’ একটি জীবন
আর তার আগে পিছে ঘিরে চার-পাঁচটি নদী
!
তাতেই পর্যবেক্ষন-সৃষ্টি-পর্যবেক্ষন
পর্যায়ক্রমে চলতে থাকে । শুধু
এতেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হলে তবুও কথা ছিল, তা তো নয় – আছে
তার নিরীক্ষণ, গুণাগুণ বিচার- তার জন্য আছে দ্বিতীয় পক্ষ, তৃতীয় পক্ষ ।
সৃষ্টি তখন পণ্য – তার গায়ে কাটা দাগ,
তার শরীরে ছিদ্র,
তার চরিত্রে ঢিলেঢালা ব্যক্তিত্ব – মেধাহীন ।
কোন পক্ষের বিচারে শুধু কোন কারণ
ছাড়াই ‘ভালো লাগেনি’ ।
বেশির ভাগ শরীরেই বাতিল ট্যাগ হয়, দু’একটি
কোন কোন পক্ষের আঙুলের ফাঁক গলে ছড়িয়ে
পড়ে ।
তবুও উৎপাদন চলে । বুদ্ধিজীবীরা বলে
নতুন কিছু ভাবো বা পুরাতনই নতুন ভাবে
স্মৃতির প্রণালী বেয়ে আমি অতীতের
দ্বারে – তার
কুলীন ভাব দেখে ভরসা পাই, কিন্তু আমার আর আধুনিক প্রযুক্তি কোথায়, যে
তাকে সমুদ্রের অতল থেকে বের করে আনি
তাই একমাত্র নদীই ভরসা আমি জানি !
কি আশ্চর্য, এক পাতা প্রবহমানতা লিখতে গিয়ে দেখতে পাচ্ছি
সমস্তটা জুড়েই আমি ! অথচ ‘জীবন’ মানে তো আমি নই- গুণাগুণ আর
মুল্য !
নদীগুলি সেরে উঠবে, স্রোতের শব্দ ভেসে উঠবে শুনতে পাচ্ছি......
চিত্র ঋণ ঃwww.googles.com