অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি



। । "অলীক পাতা শারদ সংখ্যা ১৪৩১ আসছে এই মহালয়াতে। । লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ ই আগস্ট রাত ১২ টা ।.."বিশদে জানতে ক্লিক করুন " Notice Board ট্যাব টিতে"

Thursday, December 28, 2017

Preface-Swarup Chakraborty

Preface-TENTH EDITION

 
Image Courtesy: Ragunath Chakraborty, Google Image Gallery






My dear friends,

At the midst of the cold winter season, we offer a very refreshing & ‘Warm’ welcome to you, the esteemed readers and patrons of ALEEK PATA.

While most of the parts of India are experiencing cold wave, we, the family members of ALEEK PATA are keeping the warmth of life intact by our creations……months after months.

Yes, this is the tenth edition of ALEEK PATA which is being released today, we are thankful to the writers and the readers of ALEEK PATA, without whom it was impossible to reach this milestone.

Shivering cold, opaque  window glass panes and the dullness of the sky cannot stop the creators of this family to think, to create, so, let’s ignite the gray cells and continue the never ending journey of creativity and expression.

India is a land of celebrations, a land of fulfillment, amidst all the unhappiness, ugliness or dullness of the  society we keep on sawing the seeds of hope, we believe that humanity can't  just be  demolished under the feet of a few ruthless demons- who call them selves human beings! That amalgamation of belief and  hard work enables us to reap the fruits of happiness in form of the golden harvest.  

India celebrates the festival of harvest the " Nobanno" during this season.

Likewise, at ALEEK PATA we celebrate life by celebrating every season and occasion to the fullest.

So, along with Khejur Gur, PicnicNolen Gurer Sandesh and Shawl-Sweater let's have a winter extravaganza -specially for ALEEK PATA E-magazine........

Let's celebrate winter with photographs, because a photograph is far more expressive than a bunch of lines....

As announced in the previous issue, “ALEEK PATA- the Expressive World” E-Magazine is going to celebrate Winter of India, through a dedicated  Winter Photo Gallery , where we are going to showcase photographs taken by our readers- and we are very pleased to share that a substantial number of photographs have been received at our end from our readers, we wish that we could accommodate all of the photographs in the gallery, but, due to some technical limitations we are picking only few of them, we are thankful to the participants for their enthusiastic participation. 

We invite you all to discover the world through their 'Lances and Angles'

 Our Winter Photo Gallery shall go live as soon as it is constructed, and as promised by us - one of the photographs shall be the winter Wall Paper of our Magazine.


At this point, I, along with my team want to  take the opportunity to wish you


“A Happy, Creative and Expressive New Year Ahead.”


With this I must take your leave with a hope to see you again with a new edition of   ALEEK PATA –The Expressive World.


Swarup Chakraborty
Team -Aleek Pata
26th December,2017
Haridwar

মলয়েন্দু মজুমদার


একটি মেধাবী ছাত্রের দুর্দশা ...



Picture Courtesy: Writer 



বাবা, ৬৫ নম্বরকে এই প্যাকেটটি একটু দিয়ে দেবে?” নীলা অত্যন্ত সঙ্কোচে সংশোধনাগারের পাহারায় রত রক্ষীকে অনুরোধ করে। 
অসন্তোষের সঙ্গে কারা রক্ষকের জিজ্ঞাসা, "এতে কি আছে? এত ভারী যে!"

ঘরে বানানো মুড়ির মোয়া, নাড়কেল নাড়ু আর তিলের নাড়ু। আমি নিজের হাতে বানিয়েছি। ছেলেটা ভীষণ ভালোবাসে ", প্রত্যুত্তরে জানায় নীলা। 

নীলা এবং অমলের একমাত্র সন্তান মৃন্ময়। সরকারী চাকুরে অমল অফিসে যাতায়াতের সুবিধের জন্য পাঁশকুড়ায় থাকত। দু’সপ্তাহে একবার বাড়িতে আসত। অমলের বাড়িতে আসার অর্থ প্রচণ্ড ব্যস্ততা। ছেলের পড়াশুনার বিস্তারিত সংবাদ নেওয়া, প্রয়োজনীয় সাহায্য করা, প্রয়োজনীয় সবকিছু সংগ্রহ করা, বিদ্যালয়ের টিফিনের বন্দোবস্ত এবং দু’সপ্তাহে সংসারের প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা করে সোমবার খুব সকালে পাঁশকুড়ার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়তো। মৃন্ময় তখন অষ্টম শ্রেনীতে। সেও খুব পিতৃভক্ত। মৃন্ময় এক কথায় পিতা-মাতার বাধ্য সন্তান বলতে যা বোঝায় ঠিক তাই। এভাবেই বেশ চলছিল। 

একদিন গভীর রাত্রে অমলের অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে দিশেহারা নীলা যখন অমলের কাছে পৌঁছায় ততক্ষণে সব শেষ। বিনা মেঘে বজ্রপাতে অসহায় নীলা ভীষণ  অসুস্থ হয়ে পড়ে আত্মীয় – পরিজনদের অভাবনীয় সহায়তায় সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সক্ষম হয়। সরকারী অবসরকালীন ভাতাই এখন সংসারে একমাত্র উপার্জনমৃন্ময় দ্বাদশ শ্রেনীতে বিজ্ঞান বিভাগের কৃতী ছাত্র। পিতৃবিয়োগ সামলে সে অভাবনীয় মানসিক দৃতায় নিজেকে হারিয়ে যেতে দেয়নি। পিতার অবিরাম একলা লড়াইয়ের শিক্ষা বিফলে যায়নি 

মেধাবি মৃন্ময়ের সবচেয়ে কাছের বন্ধু, তাঁর মা নীলা। এমন কোন কথা নেই মৃন্ময়ের জীবনে, যেটা নীলার অজানা। মৃন্ময় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় বেশ ভালো ফল করে। কলিকাতা মেডিকেল কলেজে সুযোগ পায়। খুব কাছের কয়েকজন বন্ধু স্থির করে, শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশের আগে সবাই মিলে একদিন করে প্রত্যেকের বাড়িতে মিলিত হয়ে মায়ের হাতের খাবারের আস্বাদ উপভোগ করবে প্রত্যেকের মা খুব খুশী হয়। আজকের দিনে এইরকম ভাবনাটাই অন্যরকম।

নীলার এখনও পরিষ্কার মনে পড়ে সেই শনিবার দিনটার কথা। মৃন্ময়ের বাল্যবন্ধু সুখেনদের বাড়ি পাড়ার মধ্যেই কিন্ত একটু ভেতরে।  মৃন্ময় রাত আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় তাপসের সাথে। নীলাকে জানায় সে রাত দশটার মধ্যেই ফিরে আসবে।  রাত গভীর হয় কিন্তু মৃন্ময়ের কোন খবর সে পায় না। অস্থির মনে সমস্ত দুশ্চিন্তাকে দূরে সরিয়ে সকলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে থাকে। রাত তখন প্রায় সাড়ে-বারোটা, সে সুখেনের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়। জানতে পারে সকলের সাথেই মৃন্ময় প্রায় রাত পৌনে-দশটা নাগাদ সুখেনদের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেছে। তারপর কেউ কোনরকম খবর দেয়নি। সুখেনের মুঠোফোনটি বিদ্যুৎ পুনঃপুরনের প্রয়োজনে বন্ধ থাকায় কারুর সাথেই সে যোগাযোগ করতে পারেনি। 

তখন প্রায় রাত পৌনে একটা। সুখেন, তাঁর কাকা ও দাদাকে নিয়ে আসে। অন্যান্য বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। সকলেই জানায়, সুখেনের বাড়ি থেকেই সবাই নিজ নিজ বাড়ির পথে চলে যায়পাড়ার প্রতিবেশীরা নীলার কাছে নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে চায়। নীলা অস্থির বোধ করতে করতে চেতনা  হারায়। সকালে যখন চেতনা ফিরে আসে তখন জানতে পারে মৃন্ময় স্থানীয় থানার হাজতে। রাতে মৃন্ময়কে পুলিস প্রচণ্ড মেরেছে। সে এখনও অচেতন অবস্থায় থানার হাজতে। আদালতে পাঠানো হবে পরবর্তী পর্যায়ের বিচার ব্যবস্থার উদ্দেশ্যে। 

বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বন্ধু – বান্ধবরা সকলে বাড়িতে ভীড় করেছেসকলের একটাই প্রশ্ন কিন্তু উত্তর সকলের কাছেই অজানা। যে মেধাবি ছাত্র ডাক্তারিতে সুযোগ পায়, সে কিভাবে রাতের অন্ধকারে থানার হাজতে। সকলে মিলে চেষ্টা করে মৃন্ময়কে থানার হাজত থেকে ছাড়িয়ে আনতে। কিন্তু বৃথা চেষ্টা, পুলিস দেশ-বিদ্বেষী কার্যকলাপে যুক্ত ধারাতে   মোকদ্দমা নথিভুক্ত করেছে। সবকিছু বুঝেও মহামান্য ধর্মাবতার কিচ্ছু করতে অপারগ ছিলেন

 ডাক্তারির পড়াশুনা শুরু হয়ে গেছে। মৃন্ময় সংশোধনাগারের ৬৫ নম্বর বন্দী। একাকী নীলা কোনওক্রমে  প্রাত্যহিক কাজকর্ম করে ছেলের জন্যে সংশোধনাগারে ধর্না দেয়। পূজোতে বন্ধুরা খোঁজখবর করল। বিজয়া দশমীতে সবাই মৃন্ময়ের সাথে দেখা করে সাহস ও ভরসার আশ্বাস  দিল। বাড়িতে লক্ষ্মী পূজা আর মৃন্ময় সংশোধনাগারে, নীলা কিছুই মেনে নিতে পারছে না। শুধুই আলো জ্বেলে রাখল। ছেলের জন্য মুড়ির মোয়া, নাড়কেল নাড়ু আর তিলের নাড়ু তৈরী করে সংশোধনাগারের বাইরে বসে আছে। 

আদালতে এখন পূজোর ছুটি। স্থানীয় থানার বড়বাবু ও অন্যান্য আধিকারিকরা খুব বড় রকমের ভুল করে ফেলেছে। তাঁদের কাছে পাকা খবর ছিল, দেশ-বিদ্বেষী কার্যকলাপে যুক্ত কয়েকটি ছেলে এপাড়াতে ঘোরাঘুরি করছে।  প্রশাসনিক চাপে, তাড়াহুড়োতে একা মৃন্ময়কে অত রাতে দেখতে পেয়ে পুলিস তাঁকে গাড়ীতে তুলে নেয়। ন্যুনতম সুযোগ মৃন্ময় পায়নি। আদালত থেকে সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পরে স্থানীয়  থানায় খবর আসে, তাঁরা ভুল করেছে।  ততক্ষণে সব শেষ, মৃন্ময় হয়ে গেছে সংশোধনাগারের ৬৫ নম্বর কয়েদি 

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মৃন্ময়কে বেশ স্নেহ করেন। বন্ধু – বান্ধব, শিক্ষকরা সবাই একসাথে চেষ্টা করেন। স্থানীয় বিধায়ককে সবিস্তারে আবেদন পর্যন্ত করেছেন। কিন্তু থানার আধিকারিকরা এত দ্রুততার সাথে আদালত থেকে সংশোধনাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন যে সব প্রচেষ্টা বৃথা যায়। পুলিস প্রশাসনের অতীব উচ্চাশার ফলস্বরুপ মৃন্ময় আজ সংশোধনাগারে

 জানাজানির পর পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে বহুবার নীলাকে বোঝানো হয়েছে যে, তাঁরা সবসময় নীলার পাশে থাকবে। পুলিস আধিকারিকরা অনুতপ্ত ও অসহায়। পূজোর ছুটির পরেই আদালতের প্রথম দিনেই মৃন্ময়কে মুক্ত করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক চেষ্টা করা হবেডাক্তারি পড়াশুনায় যেন কোনরকম অসুবিধা না হয় প্রশাসনের পক্ষ  থেকে সবরকম প্রচেষ্টা থাকবে। সমগ্র প্রশাসনের কাছে নীলার আর্তি,  তাড়াহুড়োতে যেন আর কোন মৃন্ময়কে এহেন জটিল ও অত্যন্ত কষ্টদায়ক পরিস্থিতির সন্মুখীন হতে না হয়। আশান্বিত নীলা প্রতিদিন নিয়মমাফিক সংশোধনাগারে যায় একমাত্র সন্তানকে চাক্ষুষের অভিলাষে, যতদিন মৃন্ময়ের কারামুক্তি না হয়।















Sunday, December 24, 2017

শিবু মণ্ডল


আমি লিখছি আমার অনুলিপি



চিত্রঋণঃ Google.com




আমি লিখছি
আমার অনুলিপি
হাওয়ায় ভাসতে থাকা স্পর্শ
পরতে পরতে জমতে থাকে মননে ।

আমি দেখছি
লক্ষ বছর ধরে
কেমন করে পথ চলেছি
পিচ্ছিল মৌচাকের প্রকোষ্ঠ বদলে বদলে ।

আরও দেখছি
জীবনের বিবর্তন
কেমন করে সে
মায়া – ভালোবাসার
কত আবেগ – অনুভূতির
যাবতীয় খোলস ছাড়ে একটা একটা করে ।

আবার, এক জীবনেই আমি
লক্ষ জীবনের প্রতিলিপি দেখি ।




Friday, December 22, 2017

শুভদীপ ঘোষ

আমি সমাজ


Image Courtesy:Google Images
দাড়াও পথিকবর!

একবার চেয়ে দেখো মোর পানে;
চলিলে কোথায়?কিসের এত তাড়া?
ভাবনার সংকীর্ণতা কেন?
মোর কান্নায় দাও একটু সাড়া।

দাড়াও পথিকবর!

মোর অনুভূতিতে অনুতপ্ত হও।
নিষ্পাপ চিতাগুলিকে একবার চাক্ষুষ করো।
ডুবতে বসেছি আমি আজ রক্তস্রোতে;
অন্যায় দমনের বানীকে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভরো।



দাড়াও পথিকবর!

ক্ষণিক পরীক্ষিত হতে দাও মনকে;
জীবন যন্ত্রণার জ্বালা টা একটু বুঝুক;
উন্মাদ হোক সে বর্বরতার জেরে;
সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথটি খুঁজুক ।



দাড়াও পথিকবর!

কাঁদিয়ে তোলো একবার অন্তরটাকে;
একটু বিসর্জন দাও সুখের প্রতিমাকে।
জীবনে বাঁচার মূল্যটা তাকে বুঝতে দাও;
আপন করুক সে পরদুঃখ,অবজ্ঞা ঘৃণাকে।



দাড়াও পথিকবর!

আমার দেহময় শুধু রক্তের আস্তরণ আজ;
পারোনা তুমি আমায় শুদ্ধ করতে?
দিতে পারোনা সৃষ্টির সেই প্রথম রঙ?
আমি যে সর্বদা নিম্নগামী, পাপের এই পৃথিবীতে।



দাড়াও পথিকবর!

শেষবারের মতো আরো একবার ভাব;
এই সুন্দর সৃষ্টি কি ধ্বংস হচ্ছে না তোমাদের হাতে?
কেন এই হিংসা,কেন এই নৈরাশ্য??
বাঁচতে কি পারিনা আমরা সবাই একসাথে??




























নীহার কান্তি চক্রবর্তী

বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা চলে না

ঘটনাটা আজ থেকে প্রায় ৭৫ বছর আগের। ১৯০০ সালে তৎকালীন ইংরেজ সরকার বারাকপুরের কাছাকাছি ইছাপুরে দুটি অর্ডন্যন্স্ ফ্যাক্ট্রি পত্তন করেন। আমাদের আদিবাড়ী ঢাকা বিক্রমপুরে তৎকালীন পূর্ববাংলায়। আমাদের বাবা জ্যাঠারা চার ভাই ১৯২০-২২ নাগাদ ইছাপুরে রাইফেল ফ্যাক্ট্রিতে চাকরি সূত্রে যোগদান করেন। তখন খাশ ইংরেজ রাজত্ব, ফ্যাক্ট্রিতেও তাদেরই একছত্র আধিপত্য। তবে তারা গুণের কদর জানতেন এবং তাদের যথাযথ প্রতিষ্ঠাও দিতেন। তেমন একজন ছিলেন আমার স্বর্গত জ্যাঠামশাই শ্রীকরুণাকান্ত চক্রবর্তীতিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ তে অঙ্কশাস্ত্রে ১ম স্থানাধিকারী ছিলেন এবং পাশ করার পরই রাইফেল ফ্যাক্ট্রিতে আডমিনিস্ট্রেটিভ্ অফিসার পদে যোগদান করেন। তাঁর ইংরেজিতেও অসামান্য দক্ষতার কারণে তৎকালীন ইংরেজ সরকার তাকে সরাসরি এই পদে নিয়োগ করেন যা সেইসময় একটা ব্যাতিক্রমি ঘটনা। সারা ফ্যাক্ট্রিতে তখন ভারতীয় অফিসার ছিলেন ৩/৪ জন। জ্যাঠামশাই পরবর্তী কালে এমপ্লয়মেন্ট ম্যানেজার হন এবং ফ্যাক্ট্রিতেও ১৯৩০/৪০-র দশকে শতকরা আশিভাগ স্থানীয় মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। তিনি ইছাপুর অর্ডন্যন্স্ ক্লাব, কুঅপরেটিভ স্টোর, স্কুল ইত্যাদি নিজের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন।
    যাইহোক এবার বলছি আমাদের ফ্যাক্ট্রি এস্টেটের কোয়ার্টারের কথা। যা এককথায় একটুকরো স্বর্গরাজ্য। চারিদিকে বিশাল পাঁচিল ঘেরা প্রায় ১৫০-টি বাংলো আকারের কোয়ার্টার ছিল অফিসারদের বাসস্থান। কোয়ার্টারের সামনে পেছনে বিশাল বাগান এবং তাও পাঁচিল ঘেরা।  এস্টেট এর মাঝে ছিল এক বিশাল খেলার মাঠ।।
    আমার জ্যাঠা-বাবা মিলিত ভাবে পাশাপাশি দুটো কোয়ার্টারের দখল নেন যা ছিল দুটো দোতলা বাড়ি, নিচে সংযোগ করা। আমরা ভাইবোনেরা প্রায় সকলেই এখানেই জন্মগ্রহণ করি। স্বভাবতই আমাদের ছিল এক বিশাল পরিবার। 
    এবার আসল ঘটনার কথায় আসি। সেই সময়ে (প্রায় ৭৫ বছর আগে) আমার এক জ্যাঠতুতো ভাইয়ের জন্ম হয়। জন্মাবধি সে ছিল কিছুটা রুগ্ন ও যেন কেমন এক অশরীরী অস্তিত্বের শিকার যা কেউ দেখতে পেত না কিন্তু প্রায়শঃই অনুভব করত। আমার জ্যাঠাইমা সন্তান জন্মের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন, ফলে বাচ্চার দেখাশোনা প্রধানত আমার মাই করতেন। বাচ্চাটিও মার সান্নিধ্যে বেশী সুস্থ থাকত।
    সেদিন ছিল বৈশাখ মাসের এক কাল বৈশাখীর সন্ধ্যা। বাচ্চাটার দুদিন যাবৎ সামান্য জ্বর ছিল। আমাদের শোবার ঘর ছিল দোতলায়, আর রান্নাঘর, খাবারঘর, ভাড়ারঘর একতলায়। বাচ্চার জ্বর হওয়ায় সবাই পালা করে তার দেখাশোনায় ব্যাস্ত ছিল। বিকেলে ডাক্তার দেখে গেছে। কিন্তু জ্বর ক্রমশঃ উর্ধগামী। স্বভাবতই সকলেই উদ্বিগ্ন। আমার মা সারা সন্ধ্যে বাচ্চাটিকে আগলে রেখেছে। এদিকে এতবড় সংসারের অনান্য কাজ বাড়ীর অনান্য কাকিমারা, কাজের লোক নীচতলায় সামলাচ্ছে।
বাড়ীর পেছনদিকে আম, জাম, কাঠাল ইত্যাদি ফলের এবং একটি অতি বিশাল চাঁপা ফুলের গাছ ছিল। আর একটি ঘোরানো লোহার সিড়ি ছিল যাতে বাড়ীর পেছনের বাথরুমে যাতায়াতের ব্যবস্থা ছিল এবং যা কেবলমাত্র জামাদারেরাই বাথরুম পরিষ্কার করবার জন্য ব্যবহার করত। আমাদের কারোরই ঐ সিঁড়িতে ওঠবার অনুমতি ছিলনা। কিন্তু দিনের বেলায় বাবারা অফিসে বেরিয়ে গেলেই ঐ নিষেধ আর কে মানে। আমাদের ওই সিঁড়িতে ওঠনামা করা একটা প্রধান খেলা ছিল।


ঘটনার দিন সন্ধ্যাবেলায় আমার কাকিমারা একতলায় রান্নাঘরে ব্যস্ত। হঠাৎ আমার সেজকাকিমা লক্ষ্য করে আমার মা যার কিনা সর্বক্ষণ বাচ্চাটির পরিচর্‍্যায় থাকার কথা সে ঐ মেথরের যাতায়াতের সিঁড়ি ধরে ঘুরে ঘুরে ওপরদিকে উঠছে, যা বাড়ীর বৌ ঝিদের পক্ষে কল্পনাতীত। মাকে ঐ অবস্থায় দেখে কাকিমা রান্নাঘরের সিঁড়ির থেকে নেমে সেই ঘোরানো সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে চিৎকার করতে থাকেন- “সেজদি আপনি কোথায় যাচ্ছেন, এই নোংরা সিঁড়িতেই বা এই ভর সন্ধ্যাবেলায় উঠছেন কেন?” কিন্তু সাদা শাড়িপরা মা রূপী সেই মহিলা তার দিকে ফিরে না তাকিয়ে উঠতেই থাকেন। ঝড়ের তান্ডবের মাঝে কাকীমা এবার ঘোরানো সিঁড়ির নিচে এসে চিৎকার করে মাকে ডাকে। এবারে সেই মহিলা উপরের সিঁড়ি থেকে নিচে ঘুরে কাকিমার দিকে দেখে। কাকিমা দেখে মার অবয়বে ফিরে তাকানো মহিলাটির এক ভয়ংকর অপার্থিব, বীভৎস মুখ যা কোন মানুষের হতে পারে না, সঙ্গে কোটরগত জ্বলন্ত দৃষ্টি। এই দৃশ্য দেখার পর কাকিমা এক বিকট চিৎকার করে সিঁড়ির নীচে আছড়ে পরে। এদিকে তার চিৎকার শুনে বাড়ীর ওপরে নিচে যে যেখানে ছিল সবাই এসে নিচে তার কাছে জড় হয় ও তার পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।  কিছুক্ষণ পর সকলের খেয়াল হয় ওপরে দোতলায় শিশুটা একলা ঘরে পড়ে আছে। ব্যতিব্যস্ত হয়ে সকলে ওপরে উঠে দেখে শিশুটি শুয়েই আছে কিন্তু সমস্ত শরীর আস্বাভাবিক রকম নীল হয়ে গেছে- দেহে কোন প্রাণ নেই। সেই প্রথম আমাদের সংসারে মৃত্যুর করুণ অথচ নির্মম স্পর্শ পেলাম। এর কিছুদিন পরেই আমরা এই বাসা ছেড়ে অন্য কোয়ার্টারে চলে যাই।























Thursday, December 21, 2017

দেবশ্রী চক্রবর্তী

আত্মমগ্ন


Image Courtesy : Google Images



কে তুমি আমায় ডাক ?

জন অরণ্যে নিজেকে লুকিয়ে রাখ!

বেগুনী রঙের আলোক স্রোতে

আমার অঙ্গ 'চুর' ;

আধ খোলা এই ত্রি - নয়নে

প্রশ্ন মোর প্রচুর।

হয়তো তুমি হাসো,

পাগল মেয়ের 

পাগলামি, দেখতে 

তুমিও ভালোবাস।

যা দ্যাখে এই নয়ন যুগল,

সবই কি শুধু ছলনা?

আধখোলা ত্রি নয়ন

তুমি একবার, 

শুধু একবার

নয়ন মেলোনা।

পালকের মতো

ভেসে ভেসে

আমিযতই খুঁজি তোমাকে,

চোখ ধাঁধানো আলোক পুঞ্জ 

জড়িয়ে ধরে আমাকে।

সুন্দর আমি,শিশির ভেজা,

ছোট্ট সাদা পালক,

সবুজ, নীল, পার হয়ে

শুধু খুঁজি

কে ডাকে আমায় ?

এবার আমি বুঝি।

শত সহস্র আলোক বর্ষ পারে....

হয়ত' দেখতে পাব তারে।

























কৃষ্ণা সাহা

আলো

Image Courtesy: Google Image Gallery



সে তো জ‍্যোতি নয়
          সেতো শুধুই আলো
সময়ের সাথে কখনো
লাল, নীল, হলুদ, সবুজ,সাদা
         কখনো বা কালো
রং বদলের খেলা
........

         হয়তো সে আলেয়া,
জ‍্যোতি ? সেতো নয়..

তাই তো ধরেনা সে স্বপ্নের
         উজ্জ্বল মুরতি....

আমরা মোহিত হয়ে রই বারংবার
মুগ্ধ হতে চাইনা কখনো
.....

         মুগ্ধতায় বড়ই জ্বালা,
জ‍্যোতির জ‍্যোতির্ময়তা স্পর্শ করেনা
               আমাদের
.....

আলেয়ার আলোকেই জ্যোতি
ভেবে ছুটে যাই মোহিত হয়ে
সে হোক নিয়নের আলো
.....

কিংবা ঝলমলে ঝাড়বাতি
          তবু তো আলো
.....
























             

Wednesday, December 20, 2017

সম্পা দত্ত


ঝরাপাতার প্রথম প্রেম

Image : By Writer Herself

তুমি আমার প্রথম প্রেম
যেন জীবনের ঝরাপাতা।

তুমিআমার হৃদয়ের ক্ষয়ে যাওয়া

নিস্তব্ধ চোরা কুঠুরি।

ক্ষয়ে যাওয়া কাকে বলে,

ঝরাপাতা জানে কি?

তোমাতে আমার, মনের আকাশ

জুড়ে খেলা করে

রামধনু- সাতরঙা মেঘের অপূর্ব ছটা।

তুমি আমার ক্ষয়ে যাওয়া

ভাঙ্গন ধরা বুকের আগুন- বাতাস।

তুমি আমার না ছুঁতে পাওয়া

অতৃপ্ত- কুরে- কুরে খাওয়া চুম্বন।

তুমি আমার ঘন বর্ষার

গিরিছায়া পথ।

তুমি আমার সমস্ত চাওয়া- পাওয়া

অনুভুতির ভোগবিলাস।

না বলা কথারা চারিদিক ছুঁয়ে যায়

ঘোর তিয়াসা- তৃষা বুক।

অনুভুতিরা কুরে- কুরে খায়

নিঃস্তব্ধ চোরা কুঠুরি ভেঙ্গে চুরমার হয়।

অথচ, তুমি আমার অব্যক্ত প্রেম

তোমার ই' ছায়াঘেরা হৃদয়ের চোরাটান

রোজ রাতে ভেঙ্গে চুরমার হয়।

কান্নাভেজা কথারা নিঃশ্চুপ হয়ে
 অব্যক্ত চুপ কথাই থেকে যায়........
















Main Menu Bar



অলীকপাতার শারদ সংখ্যা ১৪২৯ প্রকাশিত, পড়তে ক্লিক করুন "Current Issue" ট্যাব টিতে , সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

Signature Video



অলীকপাতার সংখ্যা পড়ার জন্য ক্লিক করুন 'Current Issue' Tab এ, পুরাতন সংখ্যা পড়ার জন্য 'লাইব্রেরী' ট্যাব ক্লিক করুন। লেখা পাঠান aleekpata@gmail.com এই ঠিকানায়, অকারণেও প্রশ্ন করতে পারেন responsealeekpata@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

অলীক পাতায় লেখা পাঠান