স্বপন রূজ
( শীতল মিশ্র )
[সম্পাদকের কথা]
আমাদের সুপ্ত সৃষ্টিশীলতার ধারক ও বাহক হিসেবে গত বসন্তে আত্মপ্রকাশ করে "অলীক পাতার" বাঙময় জগৎ, ভাবনার অন্তঃস্থল থেকে মনিমুক্ত উদ্ধার করে সকলের সামনে তুলে ধরার এই ব্রতে আমাদের প্রচেষ্টাকে সুদৃঢ় করতে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এমনই এক সৃষ্টিশীল মননের সন্ধান করেছেন সুহৃদ কবি "শ্রী শীতল মিশ্র" মহাশয়।
ওনার সৌজন্যে এবারের "অলীকপাতার " ব্যক্তি বিশেষ, কবি "শ্রী স্বপন রুজ মহাশয়", সবটি জানতে আপনাদের সম্পূর্ন প্রতিবেদন টি পড়তে অনুরোধ করি, এবং সাথে আরও অনুরোধ, যে, আপনাদেরও যদি স্বপন বাবুর মতো কোনও বন্ধু,আত্মীয় বা পরিচিত জন থাকেন, তাঁর সম্পর্কে আমাদের জানান, আমরা অলীক পাতায় প্রকাশ করব।
ওনার সৌজন্যে এবারের "অলীকপাতার " ব্যক্তি বিশেষ, কবি "শ্রী স্বপন রুজ মহাশয়", সবটি জানতে আপনাদের সম্পূর্ন প্রতিবেদন টি পড়তে অনুরোধ করি, এবং সাথে আরও অনুরোধ, যে, আপনাদেরও যদি স্বপন বাবুর মতো কোনও বন্ধু,আত্মীয় বা পরিচিত জন থাকেন, তাঁর সম্পর্কে আমাদের জানান, আমরা অলীক পাতায় প্রকাশ করব।
প্রথমে আমার তরফ থেকে শুভেচ্ছা।আজ আমি অপরিচিত এক কবি, যার কোন নিজের মোবাইল নেই,ফেসবুক একাউন্ট নেই, ই মেইল আইডি জানেন না, সেইরকম এক কবিকে "অলীকপাতার" মাধ্যমে হাজির করলাম। "মাননীয় স্বপন রূজ মহাশয়"
স্বপন রূজ মহাশয়ের ছবিটি তুলেছেন শীতল মিশ্র |
যিনি এক অনন্য জগৎ
এর সাথে জড়িয়ে থাকেন। সারাদিন সাত কাজের মধ্যে কবিতা জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে
নিতে পারেন না।
ঋষি মুনির বিচরণ যেমন তপোবনে তেমন উনি নিজের জগৎ এ নিজেই মালিক। এত
ব্যস্ততার জগৎ এ নিজেকে জাহির করতে চান না। এই ব্যস্ততম জীবন এর দৌড়ে
উনি নাম লেখান নি।তাই উনি কোন মোবাইল বা ফেসবুক বা অন্য কিছুর সাহায্য প্রয়োজন মনে
করেন না।
দাদা,বৌদি, স্ত্রী মেয়ে, বোনের সংসার।
কাজী নিজাম স্যারের (বিজড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক)
ভাষায়
"রূপ সনাতন ' দুই ভাই।
উনি বসবাস করেন প:বর্ধমান এর অণ্ডাল গ্রামে।
গ্রন্থাগারে কর্মরত ছিলেন।বছর কয়েক আগে
উনি অবসর নিয়েছেন।
ওনার কবিতা অনেকেই চান না বেরোক বা প্রচারিত হোক।আমার ইচ্ছা
ছিল।
উনি রাস্তায় আমার মত ছেলেদের দেখা হলে কবিতা পড়ে শোনাতেন।
এখন কর্ম
সুত্রে আমি ভবঘুরে র মত-তবু কোন সময় আমার সংসার আর আমার গ্রামের বাড়ি যেতেই হয়.... পারিবারিক বিষ্ণুপুজার জন্য।
স্বপন রূজ কে ছোটবেলা থেকে দেখি। আর দেখেছি উনি কবিতা লেখেন,"অণ্ডাল" আমাদের গ্রামের নাম,গ্রামের শিক্ষিত মানুষজন একটি লাইব্রেরি তৈরি করেন নিজেদের প্রচেস্টায়,পরে সরকারি গ্রামীন গ্রন্থাগার হিসাবে উন্নিত হয়।
সেই গ্রন্থাগারে কর্মচারী হিসাবে স্বপন দা যোগ দেন।আমরা যখনই গ্রন্থাগারে যেতাম তখনই সময় পেলে ওনার লেখা কবিতা শোনাতেন তাঁর প্রিয়জন কে।প্রতি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ওনার কবিতা পাঠ থাকতই।বর্তমানে উনি অবসর নিয়েছেন,তবু কবিতা বন্ধ হয় নি।
আমি
খুবি কম সময়ের জন্য আমার গ্রামের বাড়ি গেছিলাম। আর রাস্তায় স্বপন দার দেখা। অনেক
দিনের ইচ্ছা স্বপন দার লেখা সবার দ্বারে পৌঁছে দিতে পারি।কিন্তু সময় অভাবে পারি
নি-সেদিন ওনার সাথে রাস্তায় দেখা পাই আকস্মিক ভাবে।
এবং হাজার কাজের ফাঁকে ওনাকে বলি ওনার ডাইরি আনার জন্য, আমি জানি
উনি মোবাইল রাখেন না,ফেসবুক বা মেইল জানেন না।
ওনার দু এক টি কবিতা ওনার কবি বন্ধুর
মাধ্যমে কোন এক সময় বেরিয়েছিল। কিন্তু উনি ওসবেও ইন্টারেস্ট নেন না।
আমি আরো কবিতা ওনার দিতে পারি কিন্তু বেশি ছবি ওনার ডাইরি থেকে নিতে
পারিনি।
তবে ছবি নেওয়ার সময় ওনাকে বলেছিলাম-
"স্বপন দা তোমার ছবি নিলাম।আর কবিতা"।
উনি বললেন, "কি করবি?"
"তোমার কবিতা আমি আমার নামে ছাপিয়ে দেব।"
"যা করবি.. করবি (হাসির সাথে)"
এই হলেন "স্বপন দা", "স্বপন রূজ"
ওনার লেখনী র দীর্ঘায়ু কামনা করি।
নিচের অংশ টুকু ওনার ডাইরী থেকে নেওয়া।
"কৃষ্ণ সমান ভালবাসা ভালবাসা"
ইশ্বরের আংশিক আশীর্বাদে আমি কবিতা লিখি,শুধু আমার জন্য।
আমি কবিতা লিখি শুধু তো তোমারও জন্য।
আমি কবিতা লিখে আনন্দে থাকি মাতোয়ারা।।
কবিতা বিক্রি করে নিজের হাত খরচ চালানো আমার পক্ষে নৈব নৈব চ:।
যে খানে আবেগ থাকে সেখানে গতি আছে।
যেখানে গতি আছে সেখানে জীবন আছে।
সেখানে মরন থাকে, দূর থেকে বহু দূরে।
জীবনের অপর নাম তাই শুধু ভালবাসা,,, ভালবাসা আমার কবিতা লেখা, আমার কাছে-
"কৃষ্ণ সমান"
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post