নববর্ষের নবীন অধ্যায়
সময়-সরণী ধরে নব বছর দুয়ারে আগত। সমাদরে স্বাগত
জানাতে প্রস্তুত মনও। আজ নতুন, কালের হাত ধরে বিদায় জানাবো তাকেও। নিঃশব্দে খসে পড়ে
সময়ের পাতা,
থাকে কিছু চাওয়া-পাওয়া আনন্দ-বেদনার রেখা।প্রকৃতিতেও অনুভূত
তারই ছোঁয়া-শুকনো পাতা ঝরে গিয়ে নবপল্লবে সুসজ্জিত সে ও। এটাই তো নিয়ম। প্রকৃতি
কোন্ আদিকাল থেকে নবরূপে নতুনের প্রতীক্ষায় রত। আমাদের পালাবদলের ইতিহাসের পাতায়
নতুন বছর আর কতদিনেরই বা। অঘ্রাণে নবান্নের পর পৌষের হাতছানি,বাসন্তির আগমনে, গাজনের গানে
গানে কেটে গেছে বছর, এসেছে নববর্ষ।
নববর্ষ। শুভকামনা বিনিময়ে হাসি আনন্দ প্রথম দিনকে
রাঙিয়ে দিয়ে যায় আর রম্যবীণায় ধ্বণিত হয় "ঐ মহামানব আসে "-সত্যি দিকে দিকে
রোমাঞ্চ লাগে। নকশি কাঁথার উল্টো দিকও যে আছে,ভীষণ ভাবে আছে, আছে মস্তবড়ো ক্ষুধার গহ্বর। সেখানে যে ঢোকে না নতুনের
ছন্দবীণা, প্রচন্ড জোরালো আওয়াজে বাজে- "আমি বাঁচতে চাই"-পুরোনো মেঠো সুরের আলিঙ্গন মুক্তি দেয়না, দেয়না দোলা, হৃদয়ে।
নববর্ষের নবীন অধ্যায় কি পারবে, সোনার কাঠির ছোঁয়ায় পারবে কি মুছে
দিতে সব হারানোর বেদনা, রিক্ততা, যত আছে গ্লানি !
কবিকে তো চাই-ই চাই। তাঁরই সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বলে যাই,
প্রতিদিন তব গাথা গাব আমি সুমধুর-
তুমি দেহো মোরে কথা, তুমি দেহো মোরে সুর-
তুমি যদি থাক মনে বিকচ
কমলাসনে,
তুমি যদি কর প্রাণ তব প্রেমে পরিপূর,
প্রতিদিন তব গাথা গাব আমি সুমধুর।
তুমি শোন যদি গান আমার সমুখে থাকি,
সুধা যদি করে দান তোমার উদার আঁখি,
তুমি যদি দুখ'পরে
রাখ কর স্নেহভরে ,
তুমি যদি সুখ হতে দম্ভ করহ দূর,
প্রতিদিন তব গাথা গাব আমি সুমধুর।
আমার প্রার্থনা সবার জন্য, সবসময়।
সুস্থ সুন্দর সতেজ পরিবেশ সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে আসুক নব বর্ষ। আন্তরিক আবেদন সহ
বলি " শুভ নববর্ষ"।
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post