EDITORIAL- SECOND YEAR THIRD ISSUE
(THE FIFTEENTH NUMBER)
বন্ধুরা,
ফিরে এলাম অলীক পাতার বিশেষ বর্ষা সংখ্যা " অলীক পাতা -যুগল বন্দী" নিয়ে।
অলীক পাতার যাত্রা শুরু এবং ধারাবাহিক ভাবে বয়ে চলার মুল অনুপ্রেরনা কিন্তু আর আর এক যুগল বন্দীর উদাহরন, লেখক-পাঠক, সম্পাদক- প্রকাশক , আমাদের সকলের যুগলবন্দী ই হোল অলীক পাতার পথ চলার পাথেয়।
বর্ষা ঋতু, সে যেন নিজেই এক সুরেলা যুগলবন্দী, হাসি-কান্না, আশা-নিরাশা, সৃষ্টি- ধ্বংস নিয়ে প্রতি বছর নিয়ম করে আমাদের দরজায় টোকা দেয়।
এবারের সংখ্যাটি বর্ষার অনুপ্রেরনায় অনুপ্রাণিত , এই বিশেষ সংখ্যায় প্রথম বার আমরা একটি পরীক্ষা করার সাহস করার চেষ্টা করেছি, সেটা হোল আপনাদেরই নিজেদের ফটোগ্রাফি বা আঁকা ছবির ওপর ভিত্তি করে আপনাদের ই লেখা নিয়ে একটি সংখ্যা তৈরি করার, বিষয়ঃ বর্ষাকাল, আর, খুব,খুব আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে আপনাদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছি, প্রায় দেড়শ ছবি পেয়েছিলাম, সেখান থেকে সাতাশ টি ছবি বাছাই করে আপনাদের জন্য এ্যালবাম প্রকাশ পায় অলীকপাতার গ্রুপে এবং ওয়েব পেজে, সেই ছবির ওপর ভিত্তি করে লেখা আহ্বান করা হয়, আসে অনেক লেখা, ছবি পর্ব আর লেখা পর্ব মিলিয়ে কিছুটা বেশী সময় চলে যায়, ফলতঃ জুন, জুলাই আর আগস্ট মিলিয়ে এই ভরা বর্ষায় তৈরি হয় "অলীকপাতা যুগল বন্দী"সংখ্যা।
এবার বলি সংখ্যার দুটি বিশেষত্ব, প্রথম হল যে, এই প্রথমবার, পত্রিকার মলাট তৈরি তে ব্যবহার হ'ল অলীকপাতার পাঠিকার তোলা ছবি। মাননীয়া সম্পা দত্ত, আমাদের সম্পাদির তোলা একটি অপূর্ব ছবি আপনারা দেখবেন পত্রিকার মলাটে।আর, অন্যটি , অলীকপাতা পরিবারের আর এক বিশেষ সদস্য, আমাদের কবি বন্ধু ফিরোজ আখতার বাবুর করা যুগলবন্দী লোগোটি আপনারা পাবেন মলাটে এবং প্রতিটি পাতায়। ফিরোজ বাবু এবং সম্পাদি কে জানাই আন্তরিক ভালোবাসা।
এবারে আসি সম্পাদক ও প্রকাশিকার কথায়, একই ছবির ওপর একাধিক লেখা, ভিন্ন ভাষায়, ভিন্ন আঙ্গিকে, কোথাও গল্প, তো কোথাও কবিতা, আবার রম্যরচনাও, এখন সমস্যা হচ্ছে যে, ছবি ভিত্তিক লেখা হবে, না কি, লেখা ভিত্তিক ছবি, কলম আগে, নাকি ক্যামেরা, তা, অনেক ভেবে আমরা একটা রাস্তা বের করেছি, এবং সেই মত সূচীপত্র বানানো হয়েছে, আমাদের মুল লক্ষ্য ছিল যাতে এটা দেখানো যায় যে, একই ছবির কত ভিন্ন অর্থ হতে পারে, এবং সাথে পড়ার সময় ন্যাভিগেশন সহজে করা যায়, শেষমেশ ব্যাপার টি একটি জায়গায় দাঁড়িয়েছে, এবার আপনারা বলবেন কেমন হয়েছে।
দেশ জোড়া বন্যার মাঝে দাঁড়িয়ে থেকেও কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এই বন্যার জন্য বর্ষা নয়, মানুষের লোভ দায়ী। তাই বর্ষা রানীর দেওয়া দুঃখের কথা মাথায় রেখেও তাকে খারাপ বলতে পারছিনা,
কারন বৃষ্টি বিন্দু টিনের ছাদে বা গাছের পাতার ওপর পড়লে সেই যুগলবন্দী কিন্তু বেশ সুরেলাই লাগে।
আপনারা যে যেখানে আছেন ভালো থাকুন, মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন, খুশি থাকুন, সৃষ্টিতে মাতুন, এবার আসি, আশাকরি আবার শীঘ্রই দেখা হবে।
নমস্কার
স্বরূপ চক্রবর্তী
সম্পাদক-অলীকপাতা
হরিদ্বার,২৬শে আগস্ট, ২০১৮