তোর হৃদয়হীন প্রখরতায় বাষ্পীভূত হয়ে,
তোর অবজ্ঞা ধূলিকণার সাথে ঘনীভূত হয়ে,
তোর অপবারিত বাতাস কর্তৃক সম্পৃক্ত হয়েও
এ চক্ষুকূল প্লাবিত হয় না ;
হুম ! চোখ ভরে আসে,
হয়ত আবেগের আরেকটু শব্দহীন আত্মপ্রকাশে
চক্ষুদ্বয় হারাবে জলধারণ ক্ষমতা।
কিন্তু তোর বেবাক অবহেলাতেও
আমি পুরস্কৃত :
পেলাম - নিয়ন্ত্রণ, সংযম।
একি বজ্রনিনাদ না সর্বহারার আর্তনাদ ?
এই দুই কি আদৌ কর্ণগোচর হয় তোর ?
আতঙ্কিত হওয়ার ভয়ে প্রথমটাতে কানে হাত দিস,
দ্বিতীয়টাতে, সমব্যাথীত না হওয়ার জন্য কান পাতিস -
রাত কোকিলের পিহু পিহু রবে।
তীক্ষ্ণ বৈভবের পিহু রবে
আমার অভাব অনুভব হয় ?
চেহারায় তোর অনুবেদনা প্রতীত হয় কেন ?
আমার সুর-লহরীর উচ্চতান
আর কোকিল কন্ঠের তীক্ষ্ণতা ;
এই দুয়ের মধ্যে সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছিস ?
নাকি যেভাবে তোর, নগ্ন বুকের উপর
নাকি যেভাবে তোর, নগ্ন বুকের উপর
মধ্যমা দিয়ে আমার নাম লিখতাম,
সেই ভাবেই পিহু রবের তীক্ষ্ণতা
তোর মনিকোঠায় আবার
সেই নাম খোদাই করছে ?
প্রেম-প্রস্তাবের সেই রৌদ্রোজ্জ্বল, নাতিশীতোষ্ণ, মৃদুমন্দ বায়ুপূর্ণ শরৎ সকাল, তোর স্মৃতিচারণায় মেঘাচ্ছন্ন, ঝঞ্ঝাপূর্ণ, স্যাঁতসেতে হয়ে উঠছে কেন ?
লাগুক দাবানল, পুড়ে যদি ছারখার হয়
তোর অবহেলায় এ কল্পনা সংসার
সাধবো আমি তবে মিঁয়া-মলহার,
জমায়েত হবে মেঘ -
আকাশে, তোর মানসপটে।
অঝোর বর্ষণে শস্য-শ্যামলা করবে
তোর হৃদয়হীন মরুভূমি,
ফোটাবে অনুবেদনার ফুল
হয়ে উঠবে -
সাধকের তীর্থভূমি !
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post