পুজোর চাঁদা
রসিদ বই আর
কলম হাতে একডজন ছেলে,
সন্ধ্যাবেলায়
ঘরে এল, চমকালো পিলে।।
এবার আমাদের
সুবর্ণ জয়ন্তী জানেন নিশ্চয়?
মাছবাজারের
দরদাম এবার কিন্তু একেবারেই নয়।।
প্যান্ডেল হবে
তাজমহল, মূর্তি পঁচিশ
ফুট!
চন্দন নগরের
লাইটও হবে সাথে মায়ের সোনার মুকুট।।
সাজসজ্জার
দায়িত্বে এবার কলকাতার শিল্পীরা,
শারদ সম্মান
প্রতিযোগিতায় নামছি এবার মোরা।।
ক্লাবের পুজো
হলেও এটা আপনার বাড়ীরই পুজো দাদা,
রাত-বিরেতে
দরকারে আমাদেরই পাশে পাবেন সদা।।
তাছাড়া বালক
সংঘের সংগে মোদের লড়াইটা এখনো আছে বাকি,
তাই আপনাদের
সাহায্য চাই খাওয়াতে ওদের খাবি।।
তাই বলছি
আপাতত আপনি হাজার টাকাই দিন,
যদি কিছু কম
পড়ে, আসব না'হয় আরেক
দিন।।
বহু কষ্টে
মিনমিনিয়ে বললাম ভাই এবার আমারটাও শোনো,
এবার আমাদের
বোনাস নেই তোমরা সবই তো জানো।।
তার ওপর
বাড়ীতে আছে তোমাদের ভাইপো ভাইঝি,
পুজোয় ওদের
নতুন জামা কিভাবে দেব সেটাই ভাবছি!!
হুংকার দেয়
ছেলের দল থামান ওসব প্যানপ্যানানি গান,
প্রতি বছর
আপনি সেই একই কথা কপচান।।
খসখস করে রসিদ
কাটে পাশের বাড়ির খাঁদা,
হাজার টাকার
কমে হবে না আগেই বলেছি দাদা।।
ভগ্ন হৃদয়
নিয়ে গেলাম অন্দরমহললে,
গিন্নির থেকে
লুকিয়ে রাখা নোটগুলো দিলাম ওদের হাতে তুলে।।
হাসি মুখে বলল
ওরা এবার আসি তবে?
দাদা আমাদের
দেবতুল্য আসছে বছর আবার হবে।।
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post