দেবাশীষ দা
Picture Courtesy: Google Image |
এই
কদিনে বোধহয় আপনি প্রস্তুত ছিলেন
দেবাশীষ
দা,
চোদ্দ তারিখের সকালবেলার
ভবিষ্যতটাও
হয়তো কয়েকদিন আগেই দেখে ফেলেছেন,
সাথে
অনুষ্ঠানটিও
এই যে
এই সাজানো কবিতামাখানো ঘর
কাগজের
ফুল দিয়ে সাজানো একটা পৃথিবী,
সবকিছু
আপনার
ঘরের ল্যাপটপ থেকে
পেনড্রাইভ
দুটি
ডেস্ক স্টপ,
এমনকি
জানলার পর্দা
সঙ্গে
নোটিশ বোর্ডটাও
আপনার
ব্যবহৃত সবকটা টোপোসিট
হয়তো
অধ্যাপক দেবাশীষ দাস ছাড়া আর কাউকে চেনে না,
বাইরে
দাঁড়িয়ে থাকা নিমগাছ,
কিংবা
পদ্মভবনের প্রবেশদ্বার থেকে ঠিক এগোতেই
তিনধাপের
সিঁড়ি বেয়ে
বেয়ে,
একটু
এগোতেই দেখলাম কোনো কিছু স্থির নেই
কেমন
যেন নতুন নতুন শব্দ ঝরে পড়ছে,
শুকনো
নিমপাতার মতো
আর
লালঘোমটা পরানো বাড়িটা
ভিজে
যাওয়া ঘোমটার আড়ালে,
কেমন
যেন অদ্ভুতভাবে হাসছে,
এতোদিন
যতগুলো চক আপনি ব্যবহার করেছেন,
যতবার
দাগ কেটেছেন সাদা কিংবা নীল রঙের বোর্ডে,
ততবার
সবকিছু নতুন হয়ে উঠছে,
সজীব
হয়ে উঠছে
আপনার
এঁকে দেওয়া গিরিশৃঙ্গ
আকাশের
তারাগুলিকে টেনে এনেছে তার মাথার কাছে,
দূরন্ত
পর্বতচূড়া চোখ এড়িয়ে লুটিয়ে পড়েছে পদ্মভবনের
কোণের
ঘরটার ছাদে,
বিভাগের
আঠাশটি দরজা,
কিংবা
ওই ত্রিশ চল্লিশটা জানলা,
প্রায
একশ কুড়িটা টা টুল,
কিছু
চেয়ার টেবিল
আর
বলতে পারেন আমরাও,
প্রফেসর
দাসের মন খারাপের কথা এখনও জানতে পারেনি,
দীর্ঘ চল্লিশ
টা বছর যিনি ভূগোলকে বাঁচিয়ে রাখার দায় নিয়েছিলেন
এবং
আগামীতেও নেবেন
সেই
মানুষটিকে কি করে বিদায় দি করে বলুন তো,
এর
চেয়ে তো একটা কবিতা লেখা যেত,
তাই
না!!
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post