বৃদ্ধাশ্রমে স্মৃতির সেই দিন গুলো
|
এখন
আমার নির্বাসন,
পোষাকী
ভাষায় যার নাম বৃদ্ধাশ্রম।
দশ বাই
দশের এক ঘর,
মাঝখানে
রোদ ঢোকার সরু একফালি জানালা।
যাতে
শ্বাসরোধ না হয়,
বাঁচার রসদ জোগাড় করতে-
একমনে
তাকিয়ে উপভোগ করা বলতে,
এক
চিলতে ঋতুপরিবর্তিত স্বচ্ছ্ব নীলাকাশ।
স্মৃতির
সরনী বেয়ে নেমে আসা দিনের কথা
ছবি ,প্রতিশ্রুতি ,ড্রয়িং রুমের দেয়ালে টাঙানো
হাসি
খুশি মুখে ছেলের সাথে ছবি,
পুরীর সমুদ্র সৈকতে বালিয়াড়ি ফিসফিস,
চুপি চুপি প্রেমের অভিসার।
আমারও
ছিল রঙিন বসন্তে সেদিন সোনাঝুরি সকাল।
জরায়ুতে
তুই বাড়ছিলি তিলতিল করে।
এক
অনাস্বাদিত আহ্লাদ অনুভূতি ঘিরে রেখেছিলো আমার মণপ্রাণ জুড়ে।
একদিন
আমার ই চোখ দিয়ে দেখলি পৃথিবীর আলো।
চলতে
শিখলি বুঝতে শিখলি সব।
অনেক
জল গড়িয়ে গেছে সময়ের সাক্ষী মুহূর্ত রা বন্দী ফ্রেমে।
পরিবার
পেলি শুধু আমি ই সরে গেলাম দূরে।
ঘরে মা'কে নিয়ে বড্ড অশান্তি,
নিজের
ঘরে হলোনা কিছুতেই ঠাঁই।
খোঁজ
নিয়ে জানতে পেলি ,
সেখানে মা থাকবে ভালো,
নাম তো সবার জানা বড্ড সেবা পরায়ন।
বাবা
রে তুই আমায় দিলি নির্বাসন।
যার
পোষাকী নাম “নবজীবন বৃদ্ধাশ্রম”।
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post