সুধী বন্ধুরা,
একটু দেরী ক’রে হলেও
এসে গেলো অলীকপাতার শীত সংখ্যা, ২০১৮, আপনাদের অশেষ ভালোবাসা আর সাহচর্য পাথেয় করে
প্রকাশিত হল এবারের সংস্করণ, সপ্তদশ সংস্করণ, আমরা মোটামুটি সাবালক হয়ে উঠছি বলা
যায়, কি বলেন?এই ভাবেই এগিয়ে চলার, সতেরো থেকে সত্তর হবার আশা রাখি, ভাবছেন বয়স
বাড়লে বুড়ো হয়ে যাবে অলীকপাতা? না, অলীকপাতার রক্তে তা নেই, আমরা সবাই সজীব,
চিন্তায়, মননে সৃষ্টিতে- চিরনবীন। আর তাই, এবারের বিষয়, শীতকাল হলেও শীতল হয়নি
আমাদের লেখক লেখিকাদের কলম, তারই চিহ্ন দেখতে পাবেন অলীকপাতার পাতায় পাতায়, প্রতিটি
সৃষ্টিতে।
বিশেষ ভাবে কিছু বলা না থাকলেও শ্রীমতি বর্ণালী গাঙ্গুলীর প্রচ্ছদে এবং আমাদের
পরিবারের লেখক লেখিকাদের কলমে, ক্যামেরায় সমাজের প্রতিটি দিক -ভালো, মন্দ, সব, ফুটে উঠেছে খুব
সুন্দর ভাবে, এক অদ্ভুত নিঃস্পৃহতার মাধ্যমে তাঁদের চিন্তার বিষয় গুলি তাঁরা
ফুটিয়ে তুলেছেন, “দাগিয়ে তোলেন নি” । কোনও কিছু আরোপিত নয়, সব পরিমিত, আর, এটাই
অলীকপাতার একটা নিজস্ব “ফ্লেভার” বলুন বা “জাত”, অথবা “আইডেন্টিটি”, গড়ে তুলছে ধীরে
ধীরে...
আমার নিজের বিশ্বাস, “কোনও কিছু সৃষ্টির সাফল্য আসে তখনই যখন স্রষ্টা তাঁর
নিজের সাথে কথা বলেন, নিজের অনুভব বলেন, নিজের ভাষায় বলেন, ধার করা আবেগ, ভাষা বা মাধ্যম
দিয়ে সেটা প্রকাশ করা যায়না..., তবে, আগেই বলেছি, এটা আমার নিজের বিশ্বাসের কথা,
সবাই একমত নাও হতে পারেন”।
সম্পাদকীয় লেখার সময় আমার কখনই থাকেনা, এটা আমার বিনয় বা ন্যাকামি নয়, কারন
পৃষ্ঠা গুলি তৈরি হলেই সাত তাড়াতাড়ি “পাবলিশ” বোতামটা টেপার জন্য হাত নিশপিশ করে,
ফলে, শুধুমাত্র “সম্পাদকীয়”র নামে কথার কচকচি বা সম্পাদকের “দাদাগিরি”র জন্য দেরি
করা কোনও ভালো জিনিষ নয় বলেই আমি মানি,তবে হ্যাঁ, এই অছিলায় আপনাদের সঙ্গে কথা
বলতে বেশ ভাল লাগে, তাই...।
স্রষ্টার কথা বলেছি, কিন্তু, এই প্রথমবার, এই সংখ্যার সৃষ্টি গুলির কথা বলতে খুব
ইচ্ছে করছে, কিন্তু আমার শত্রু হল ঘড়ির কাঁটার টিকটিক, তাহলে আসুন এক কাজ করা যাক,
এবারের প্রকাশিত সমস্ত লেখার শিরোনাম গুলিই শুধু লিখে দিই, দেখা যাক, কি দাঁড়ায়।
“ ‘এই তো জীবন’, ‘স্মৃতির সাতকাহন’ দিয়ে তৈরি অনেকটা যেন
‘বৃদ্ধাশ্রমের স্মৃতির সেই দিন গুলোর” মতো ‘কল্পলোকে’
বসবাস। ‘মা, ও মা’ তোমায় বড্ড মনে পড়ে, ‘অপরাজিতার হলুদ গাঁদা’
আজ বইয়ের পাতার ভাঁজে খোঁজে ‘ একটু উষ্ণতা’; ‘শীতের আমেজ’
আনে ‘ইচ্ছে জ্বর’, ‘একচক্ষু হরিনের’ মত আমরা শুধু
দেখি ‘দাবানল’ আর ‘চন্দ্রগ্রহণ’ । ”আমার বেলা যে যায়” , ভাবি চিৎকার করে ‘যদি বলতে পারতাম’ , ‘দেবাশীষ দা’ এই শীতের ‘মরশুম’এ
লেখোনা চিঠি ‘আকাশের ঠিকানায়’, লেখো ‘দার্জিলিঙয়ের এক সকাল’
এর গল্প, চলুক ‘অলীকপাতা আর রূপক কর্মধারা’ ...কারন......, ‘শীতকালটা
এসেই গেলো’......
আপাততঃ থাক, আজকের মতো আসি, ভালো থাকুন,সৃষ্টিতে মাতুন, আশাকরি তাড়াতাড়ি আবার দেখা হবে......
স্বরূপ চক্রবর্তী
হরিদ্বার, ২৫শে ডিসেম্বর,২০১৮
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post