অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি



। । "অলীক পাতা শারদ সংখ্যা ১৪৩১ আসছে এই মহালয়াতে। । লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ ই আগস্ট রাত ১২ টা ।.."বিশদে জানতে ক্লিক করুন " Notice Board ট্যাব টিতে"

Friday, August 30, 2019

গল্প- এক জীবনে-শম্পা সান্যাল



এক জীবনে

           শম্পা সান্যাল       






()

শোকাতুরা মিত্র পরিবারে এলো আরো বড় মর্মান্তিক সংবাদ।
অজ্ঞাত আততায়ীর হাতে নিহত ছোট জামাই বিমলেন্দু। বিশেষ রাজনৈতিক দলের একজন সক্রিয় কর্মী। এই মিত্রবাড়ির বড় ছেলে অশোকের বন্ধু ছিল। মিশুকে, ভদ্র ছেলেটি বড় আপনার হয়ে গেছিল বাড়ির। অশোকে ছোট বোন মিতালি কখন যে  ওর ভাগ্য  বিমলেন্দুর সাথে জড়িয়ে ফেলেছে ! জানাজানি হওয়ার পর বিমলেন্দুর জন্য এবাড়ির দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছিল। বিমলেন্দুদের পরিবারও গোঁড়া ব্রাহ্মণ পরিবার। সম্পর্কটা ওঁরাও মেনে নিলেন না। অশান্তি দু'পরিবারেই। বয়সে বেশ বড় বিমলেন্দুর সঙ্গে মিতালি নিঃশব্দে বাড়ি ছেড়ে গেল। লজ্জা, অপমানে উভয় পরিবার ওদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করলো। কেবল সেজদি ছাড়া। লুকিয়ে যোগাযোগ করতো। সেটাও কেবল মা-এর জন্য। মায়ের মন তো ! দুঃখ পেলেও সন্তানকে ত্যাগ করতে পারে না!! আধা বেসরকারী এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো বিমল, ইউনিয়ন করতো বেশি।  মিতালির পুত্র সন্তান হওয়ার খবর পেয়ে বিমলেন্দুর ঠাকুমা কান্নাকাটি করে বড় নাতিকে ঘরে ফেরালেন, আর তারপর বছর ঘুরতে পারলো না ___

মিতালি তখন  সবে একুশে পা রেখেছে। নাতির মুখ চেয়ে দুই পরিবার নিজেদের অবস্থান থেকে খানিকটা নমনীয় হলো। এরপর হিন্দু পরিবারে
একটি বিধবার জীবন যেমন কাটে মিতালিরও তেমনি হয়তো কেটে যেতো কিন্তু না। অলক্ষ্যে আরো একটি মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। আসুন। দেখি।


 ()

ম্যাট্রিক পাস মিতালি বিমলেন্দুর অফিসে চাকরি পেলো ; বিমলেন্দুর ইউনিয়ন এবং ওর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সৌজন্যে। শ্বশুরমশাই আপত্তি করেছিলেন, কিন্তু সহজ হলো পরিবারের অন্যদের সহায়তায়। সন্তান-সহ মিতালির ভবিষ্যতে কে দায়িত্ব নেবে! পরে পরে জেনেছিল, ভাশুর-দেওরদের উদ্যোগের কথা। যাই হোক্, মিতালিও চাইছিল। কিন্তু সমস্যা, ছেলে। তিন বছরের বাচ্চা, কোনোদিনই তো মা-কে ছেড়ে থাকেনি। তারপর চন্দননগর থেকে যাতায়াত!! কিন্তু চাকরিটা তো ছাড়া যাবেনা, অগত্যা। শেষমেষ ছেলে-সহ ফিরে এলো বাপের বাড়ি।
মিতালির নাট্যমঞ্চে দ্বিতীয় পর্বের পর্দা উন্মোচন হলো।
বিমলেন্দুর বন্ধু, সহকর্মী কমলকে বিয়ে, কন্যার জন্ম দেওয়া এবং চাকরি___ ছন্দে ফিরলো  মিতালিরজীবন। চন্দননগরের সঙ্গে সম্পর্ক একরকম মুছেই গেছে। না, দ্বিতীয় বিয়ের সময় শ্বশুরমশাই ছিলেন না, তবে আর কেউ বাধাও দেয়নি। কেবল, শ্বাশুড়ি মিতালিকে বলেছিলেন "নাতিকে পাঠিও। ওর মধ্যে আমার...." পরিপূর্ণ মধ্যবিত্ত পরিবার। এক ছেলে, এক মেয়ে, আপাতদৃষ্টিতে সুখী সংসারের চিত্র আরকি!


 ()

সময় গড়িয়ে গেল  শুরু হলো  অত্যন্ত স্পর্শকাতর পর্ব, মিতালির জীবনে যা তৃতীয় অধ্যায়।
একদিন যে সমস্যা মিতালি পরিবারের জন্য এনেছিল, সেই একই সমস্যা এলো ঘুরে নিজের জীবনে __নিয়ে এলো কন্যা শ্রেয়া। অঞ্চলেরই একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কিত।  আশ্চর্য !! চেনা গৎ- বাঁধা সুর বাজলো যে এখানেও!! ছেলেটি সবে সবে একটা ছোটখাটো কাজে যোগ দিয়েছে। পরিবারও খারাপ নয়। অবাক ব্যাপার!! মিতালি- কমল মেনে নিলো না তো বটেই, উল্টে দ্রুত খোঁজ খবর করে একরকম জোরজবরদস্তি করে বয়সের ব্যবধানকে উপেক্ষা করে, এমনকি নিজ- অঞ্চল ছেড়ে সেজদির বাড়ি থেকে বিয়ে দিয়ে দিল শ্রেয়ার।  কেন?? শ্রেয়ার গ্ৰ্যাজুয়েশনের রেজাল্টও  বের হয়নি তখন। নাঃ, মিতালির মতোন সাহস শ্রেয়া দেখাতে পারলো না।  জামাই উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মী। বয়সের তুলনায় একটু বেশিই রাশভারি। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মেয়ে- জামাইয়ের মন কষাকষি, অবশেষে বিয়ের তিন বছরের মাথায় ছেলে-সহ ফিরে এলো শ্রেয়া। না, মিতালির মতো শাঁখা সিঁদুর খুইয়ে নয়। মানিয়ে নেওয়ার অক্ষমতা ,আদরে সোহাগে বড় হওয়া শ্রেয়ার পক্ষে বড় কারণ তো বটেই ; খানিকটা চাপা ব্যথাও কারণ। যে "ভালোবাসা'" জন্য একদিন মিতালি পরিবার ত্যাগ করতেও দ্বিধা করেনি, সেখানে মেয়ের বেলায় বিপরীত-মুখী আচরণ মেয়েও তো ভালো ভাবে নিতে পারেনি।  শিক্ষা দিতে লাগলো পদে, পদে। কোনোভাবেই স্বামী-ঘর করবে না। তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণে। মিতালির ছেলে আপন দাদার মতোন, ওর বিয়ের পর দাদারও বিয়ে হয়েছে। শ্রেয়ারআপত্তি, এখন ওদেরকে  নিয়েও।  শান্ত, নম্র ছেলেটি অশান্তি এড়াতে  বাড়ি থেকে একদিন বৌ সহ চলে গেল। যাকে ছেড়ে একদিন মিতালি কি করে অফিস করবে ভেবেছিল, আজ ত্যাগ করলো সেও। ছোটবেলা একরকম, দুই ভাইবোন বড় হতে ক্রমে ক্রমে সবই জেনেছিল। তখন কোনো সমস্যা হলো না আর আজ কি !! কেন!!
‌‌‌   মেয়েকে স্বামীর ঘরে ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল মিতালি আর কমল। মেয়ে তার প্রেমের হত্যার বদলা নিতেই কিনা কে জানেবাবা-মাকে একের পর এক যন্ত্রণায় বিদ্ধ করে চলে। কম্পিউটার কোর্স করে ছোটখাটো চাকরিও শুরু করলো। নিজের অভিজ্ঞতা মনে আসে! নাতিকে দেখাশোনা করতে হয়। চাকরি ছাড়াও বেড়িয়ে যায় যখনতখন। শ্রেয়ার দুর্ব্যবহার সহ্য করেও যে মেয়েকে স্বামীর ঘরে পাঠানোর চেষ্টা করেছিল, ব্যর্থ হলোনা। মেয়ে- জামাই বহুদিন পর  (ছেলের জন্য জামাই মূলতঃ সচেষ্ট হওয়ায় ) একত্রিত আজ।

এলো চতুর্থ পর্ব।
()
ইতিমধ্যে কমল চলে গেছেন। ছেলে তো অভিমানে মুখ ফিরিয়েই নিয়েছে। মান ভাঙিয়ে মিতালি  পারতো ছেলেকে ফেরাতে কিন্তু শ্রেয়া একদম বিরুদ্ধে। কমল থাকতেই , তবে কমলও তো চায়নি। বোঝাতে পারতো, কই!! মেয়েকে বোঝায়নিতো!! তাহলে কি কমলও মনে মনে.......!! জীবনের  চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে গড়মিল থাকেই  তবুও হিসেব তো আসে!! ঝুল বারান্দায় একা একা বসে থাকে  মিতালি। দমবন্ধ লাগে একেক সময়। আশেপাশের কে আর সঙ্গ দেয়! তবুও মফস্বল বলেই এই আশেপাশের মানুষেরাই সহায়। না, মেয়ে আসে। কি লাগবে না লাগবে দেখে যায়। প্রয়োজনই বা আর কতোটুকু!! কমল থাকতে অনেকেই আসতো। এখন আসার মতো কেউ প্রায় নেই। সন্ধ্যেবেলা চুপচাপ বারান্দায় বসা। সারাদিন একা একা কতো আর টি.ভি. দেখা যায়! কলিং বেলের আওয়াজএসময় কে!! উপর থেকেই প্রশ্ন করে মিতালি___কে??
___মা, আমি।
সারা শরীর শক্ত হয়ে যায়। বাবু!!
___দাঁড়া, আসছি।
___তোমাকে আসতে হবে না। চাবিটা ঝুলিয়ে দাও।
মিতালি হাসে। দুপুরে কাজের লোক চলে গেলেই নীচের সব বন্ধ করে আসে। চাবি ব্যাগে করে ঝুলিয়ে দেবে কাকে!
___না, সব বন্ধ। আসছি।
আস্তে, আস্তে নীচে নামে। এক এক করে খোলে দরজা। নাতনিকে নিয়ে বাবু দাঁড়িয়ে। নিজেকে শক্ত করে মিতালি বলে___আয়।
___একি! সারাবাড়ি অন্ধকার করে বসে আছো কেন!
___আর আলো জ্বালিয়ে কি হবে!
___তুমি একা!! বোন, ভাগনে
___তুই হঠাৎ?
জড়োসড়ো মেয়ের দিকে তাকিয়ে বাবু বলে__যা, ঠাম্মাকে প্রণাম কর্।  মা, আজকে মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরিয়েছে। ঝুম খুব ভালো করেছে।
মিতালি তাকিয়ে হাসে। ঝুম এগিয়ে প্রণাম করে একটা মিষ্টির বাক্স এগিয়ে দেয়। চিবুকে হাত দিয়ে চুমু খেয়ে মিতালি বলে___আয়, এখানে আমার পাশে বোস। মনে পড়ে আবছায়া হয়ে যাওয়া সমবয়সী ননদ, বিমলেন্দুর বোন আলোর কথা। ঝুমের মুখে আলোর আদল। কাকে বলবে!! নিঃশব্দে আলোড়িত মন।
___তোরা সবাই ভালো আছিস?
___হ্যাঁ, ঠিকই আছি। নীচটাও অন্ধকার দেখলাম।
___হ্যাঁ, আলো আর কে জ্বালাবে!!
___কেন? ভাড়া নেই?
___না।
___কেন?
___এমনি। ঝামেলাও বটে। ভালো লাগে না আর।
___বোনরা কই?
___ওরা কোলকাতায় থাকে। দাদুন কলেজে পড়ে।
___তারজন্য কোলকাতায়?
___হ্যাঁ, প্রদীপ এখন কোলকাতায়।  ফ্ল্যাটও কিনেছে। তুই চা খাবি তো! দাঁড়া আমি
___না,না। অফিস থেকে এসে চা খেয়েই বের হলাম। তোমাকে ব্যস্ত হতে হবে না। বোন তাহলে এখন....
___  হ্যাঁ, ঠাকুরের কৃপানাতনির দিকে তাকিয়ে বলে__দিদুন, এতোগুলো মিষ্টি , তুমি এখান থেকেই খাও। আমি তো মিষ্টি খাবো না।
___তোমার সুগার এখন নরম্যাল? প্রেসার?
বুকের ভেতর হাহাকারের আওয়াজ। কিচ্ছু নেই। আমার কিচ্ছু নেই। শান্ত গলায় মিতালি বলে___হ্যাঁ, সব ঠিক আছে। দিদুন কোথায় ভর্তি হবে?
___ওর স্কুলেই। মা, তুমি একা একা থাকো?
___হ্হ্যা। না থেকে উপায় কি!
অশান্তি এড়াতে বাবু বলেছিল, নীচে আলাদা থাকবে। শুনেছিল, ভাড়া না দিলে সংসার চলবে না। বোন বলেছিল___তুই চন্দননগরের বাড়ির ভাগ নে। বাবা-মা নির্বাক। একবারও বলেনি, কেন? ওঁরা তো বলতেই পারতেন যে ওর এখানেও ভাগ আছে। বাবু নিজে  মুখ ফুটে বলতে পারেনি ওর পদবী পাল্টে ছেলের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে অথচ.....
মা- ছেলে দুজনেই চুপ। কথা ফুরিয়ে গেছে। যাবতীয় কথা মাকে না বললে শান্তি হতো না একদিন, আর , আজ কথা হাতড়াচ্ছে দু-জনেই। উঠে দাঁড়ায় বাবু।
মিতালিও নির্বিকার ভাবে বলে__ যাবি?
___হ্যাঁ, যাই। ওকে বাড়ি দিয়ে বাজার যাবো।
___এখন কোথায় থাকিস?
একটু হেসে বাবু বলে__ মা, একটা ছোট পুরোনো বাড়ি কিনেছি এখানেই।
___বাঃ, ভালো করেছিস।
__হ্যাঁ, অন্যের বাড়িতে আর কতোদিন থাকা যায় বলো! ঠিকানা পাল্টে পাল্টে, পুরোনো হলেও নিজের তো !
কথার তীব্রতা অনুভব করতে পারে মিতালি। সত্যি তো। ভুল কি বলছে! আচমকা ঝুম বলে
___ঠাম্মা! তুমি যাবে আমাদের বাড়ি? চলো না! এখানে একা একা থাকো!
___দিদুন!! এতোক্ষণের আগল দেওয়া মনটা ঝড়িয়ে ফেলে অনেকটাই জল।
অপ্রস্তুত, বিব্রত বাবু এগিয়ে এসে কাঁধে হাত রেখে বলে___চলো না মা।
মুহুর্তে নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে কঠোর গলায় মিতালি বলে___ না,না। আমি এখানেই ভালো আছি। তোরা ভালো থাক্ সবাই।
___কেন! তুমি আমার মা নও!! আমাদের সাথে তো থাকতেই পারো!
___ চলোনা ঠাম্মা
___না রে। তোরা আসিস মাঝেমধ্যে। আমার অসুবিধা হয় না একা থাকতে।
বাবুরা চলে যায়। গেট থেকে যেটুকু দেখা যায় স্ট্রিট আলোয়, তাকিয়ে থাকে মিতালি। আপনি চোখে জলের ধারা নামে। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে___বাবু! তোর কি একেবারেই জোর নেই আমার ওপর!! কেন জোর করলি না রে! কেন! কেন!!
গান ছেড়ে গেছে কবেই! তবু মনে তো আসে।
জীবন যখন শুকায়ে যায়.....

অন্তিম পর্ব
()

দুই পরিবারের সৌজন্যে প্রাপ্ত দুই সন্তানের মা মিতালি কোনো পরিবারেরই নয়। পিতৃ- পরিবার, সেও আর নেই অনেকদিন হলো। কমলদের পরিবারও  মন থেকে ওকে  গ্ৰহণ করেনি। শ্বশুরঘর এখানেও পায়নি তবে ভাশুর- ননদদের সাথে সম্পর্ক ছিল। খুব না হলেও আসা-যাওয়া ছিল। এখন সম্পর্ক সূতোয় ঝোলা ___
আনমনা মিতালি হাজার মুখের মিছিলে অংশ নেয়, আলো আঁধারীতে ঘেরা নির্জন বারান্দায় সুখী পরিবারের চালচিত্র আঁকা। যা চেয়েছিল, যা পেয়েছিল আর, হারিয়ে গেছে যা, তাও , সব মিলেমিশে মিতালিকে রাখে বর্তমান থেকে অতীতের প্রাঙ্গণে ; যেখানে ভবিষ্যৎ নেই, আছে কেবল....যা   মিতালির একান্ত নিজ পরিবারের অঙ্গন, হেলায় ছেড়ে যাবে  একদিন মিতালিও।

মানসিক প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসার আলয়ে মিতালি থাকে এখন সম্ভবতঃ শেষ ঠিকানা। মিতালি নতুন পরিবারের সদস্য। আবার।





 Back To Index






No comments:

Post a Comment

Please put your comment here about this post

Main Menu Bar



অলীকপাতার শারদ সংখ্যা ১৪২৯ প্রকাশিত, পড়তে ক্লিক করুন "Current Issue" ট্যাব টিতে , সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

Signature Video



অলীকপাতার সংখ্যা পড়ার জন্য ক্লিক করুন 'Current Issue' Tab এ, পুরাতন সংখ্যা পড়ার জন্য 'লাইব্রেরী' ট্যাব ক্লিক করুন। লেখা পাঠান aleekpata@gmail.com এই ঠিকানায়, অকারণেও প্রশ্ন করতে পারেন responsealeekpata@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

অলীক পাতায় লেখা পাঠান