কালবৈশাখী
সান্ত্বনা দাস
কালবৈশাখী
তুমি কাল তুমি ধ্বংস
নিয়ে আস মারনের জাল
তৃপ্ত জগতের ভাল
হয়ে যায় ভীত ক্লান্ত কম্পমান
ধেয়ে আসে ঝড়, কাল বৈশাখী।
বৈশাখেতে জন্ম কিংবা চৈত্রের শেষ
গলিত লাভার নিভন্ত অঙ্গারের মতো
ধেয়ে আসে মেঘরাশি পৃথিবীর বুকে
শুরু থেকে শেষ
না শেষ থেকে শুরু
মেঘের গর্জন গুরু গুরু
অকস্মাৎ বজ্র নামে
কঠিন শৃঙ্খল, তীব্র আলোক রশ্মি
আচম্বিতে ছুঁয়ে যায় পৃথিবীর মাটি।
তরুন কৃষক,ক্ষেতে গেছে
ধান তুলে বাঁধে গোছা আঁটি।
বজ্র পড়ে খোলা মাঠে
সোনালী ধান আর তরুন বালক
কেউ আর ফিরল না ঘরে
চিরদিন চিরকাল তরে।
রুদ্ধ গৃহ ঝড়ের তান্ডব
বিরাট বৃক্ষ মাটি থেকে উৎপাটিত
ভূমিশয্যা নিয়ে নেয় ভীষ্ম যেমন
বাঁচাবার অঙ্গীকার না রাখতে পেরে
নিয়ে ছিলেন ভূমিশয্যা
মৃত্যু মহাকাল দাঁড়াল আসি শিয়রে।
যাযাবর যত
পথ ছেড়ে ছুটে যায়
আশ্রয়ের খোঁজে।
পক্ষীকুল আনন্দিত কলরবে
চঞ্চল ছিল ,
কালবৈশাখীর ঝড়
এনে দিল অস্থিরতা মৃত্যুভয়ে
খুঁজে নিল গৃহস্থের ঘর।
অরণ্যে শ্বাপদকুল
ব্যস্ত ত্রস্ত দিক ভুল
ছুটে যায় অন্য কোথা
আরও বহু দূর।
বৃষ্টি নামে ঝমঝম পাগলিনী প্রায়
তীব্র গতি শব্দ অতি
জলস্রোতে সব ভেসে যায়।
নারকেল গাছগুলো
পাতাগুলো এলোমেলো
ঝড় শুধু ঝড় বয়ে যায়
স্তব্ধ হয় পৃথিবীটা
কম্পমান দীপশিখা
লেখা নেই সাদা পাতা
আঁধারেতে আমি একা
বসে আছি এই নিরালায়।
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post