অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি



। । "অলীক পাতা শারদ সংখ্যা ১৪৩১ আসছে এই মহালয়াতে। । লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ ই আগস্ট রাত ১২ টা ।.."বিশদে জানতে ক্লিক করুন " Notice Board ট্যাব টিতে"

Friday, February 14, 2020

ভ্রমণ-পিন্দারে পলাশের বন -সম্পা দত্ত দে


পিন্দারে পলাশের বন

সম্পা দত্ত দে


ছবিঃ লেখিকা

বোলপুর শান্তিনিকেতনের খোয়াইএর পারে সোনাঝুরি হাট। হাটের পসরা এক এক ক'রে সাজানো হচ্ছে। রং বেরঙের কাঁথা স্টীচের পাঞ্জাবী,কুর্তা, ব্লাউজের পিস। কোথাও একতারা হাতে বাউল গানের সুর তুলে আবেগে ভাসছে। বীরভূমের বাউল গানের সুর। মন আবেগ প্রবণ হয়ে যায়।
  রকমারি দোকান রকমারি জিনিস। কার্তিক মাসের দুপুর গড়িয়ে  বিকেল। শীত গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসছে। সোনালী রোদ সোনাঝুরির পাতা ছুঁয়ে পশ্চিম দিকে হেলে পড়েছে।

আমরা সবাই বিশ্বভারতীর কবিগুরুর অমূল্য সম্পদ স্মৃতিরক্ষা সংগ্ৰহশালা দেখে, রাঙামাটির পথে ধরে লাল কাঁকর  বিছানো পথ ধরে ছুটলাম। টোটো'তে ঘুরলাম কারণ দুই পাশের সব জিনিসের উপর চোখ  পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।

এ পথে চলতে চলতে কবিগুরু সেই কবিতাটি লিখেছিলেন"গ্ৰাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ/আমার মন ভুলায় রে..."সত্যিই আমাদের ছায়া নিবিড় রাঙামাটির পথে মন ভুলিয়ে দিলো। সোনাঝুরি খোয়াইএর হাটে গাছের ছায়ায় ঢাকা দোকান পসরা সাথে উপরি পাওনা হিসেবে আদিবাসী সাঁওতালি নৃত্য। দল বেঁধে বেঁধে ওঁরা ঘিরে ঘিরে নাচছে কোমর দুলিয়ে দুলিয়ে। মাঝখানে লাল কাপড় জড়ানো ঘট আমের পল্লব সামনে পয়সার থালা।  নেচে খুশি হয়ে পর্য‌টক বাবুদের কাছে বকশিশ।

সামনে এগিয়ে যাওয়ার পর দেখলাম বাঁশ বাগানের ছায়ায় ওঁদের ম্যাজিক গাড়ি পার্কিং করা। পাশের সাঁওতাল গ্ৰাম থেকে এসেছে। আমাদের দেখে খুশি হয়ে ডাকছে বাবুরা এসো গো,মা মামনি সব্বাই এসো লাচবো গাইবো। খুশিতে আত্মহারা আমরা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়ে নাচলাম। কত টুকু নাচ হলো জানিনা তবে আনন্দ হলো প্রচুর।

"পিন্দারে পলাশের বন...গানের সাথে গলা মিলিয়ে দেদার মজা। আমার মেয়ে সুন্দর গাইলো সুন্দর নাচলো। একজন বলে উঠল মামনি তুমি এই গান টি জানো গো । কি সোন্দর গাইলে গো। আমাদের বয়স হয়েছে বাতের ব্যথা। বেশি নাচলে মুশকিল। ওদের খুব সুন্দর মিষ্টি ব্যবহার মিষ্টি কথায় অভিভূত হলাম সবাই।

নেচে খুশি হয়ে সাতশো টাকা বকশিশ পেয়ে ওদের আনন্দ ধরে না। নিজেদের বাদ্য যন্ত্র ছেলেদের হাতে তুলে দিয়ে বললো ফোটো তুলনা কেনে বাবু তুরা।

সবাই ভীষণ মজা আনন্দ করলাম ছবি তুলে নিলাম ওদের সঙ্গে। অনেক আনন্দ স্মৃতি নিয়ে ফিরে এলাম। সত্যিই মন এখনো গেয়ে ওঠে "পিন্দারে পলাশের বন...নেংটি ইঁদুরে কাটে ঢোল কাটে রে গতরে পিরিতের ফুল ফুটে..."


 একটুখানি আনন্দ অনেকখানি বাঁচার অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারলাম। এ স্মৃতি ফিরে আসে মনে বারেবারে।।



| Aleekpatamagazine.blogspot.in |
  | Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |
|ALEEK PATA-The Expressive World |Online Magazine |
|a DISHA-The Dreamer Initiative |
| Winter Issue,2010 | January 2020 |
| Third Year Fourth Issue |21st Edition|
|© All Rights Reserved By The Editor and The Publisher |

   Back To Index- সূচিপত্র













No comments:

Post a Comment

Please put your comment here about this post

Main Menu Bar



অলীকপাতার শারদ সংখ্যা ১৪২৯ প্রকাশিত, পড়তে ক্লিক করুন "Current Issue" ট্যাব টিতে , সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

Signature Video



অলীকপাতার সংখ্যা পড়ার জন্য ক্লিক করুন 'Current Issue' Tab এ, পুরাতন সংখ্যা পড়ার জন্য 'লাইব্রেরী' ট্যাব ক্লিক করুন। লেখা পাঠান aleekpata@gmail.com এই ঠিকানায়, অকারণেও প্রশ্ন করতে পারেন responsealeekpata@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

অলীক পাতায় লেখা পাঠান