নীলকণ্ঠ
স্বান্ত্বনা দাস
পৃথিবীর ভারসাম্য
রক্ষা করতে অনেকের সাথে
বিধাতা গড়েছেন পাখি,
প্রকৃতি রক্ষা পাক
এই ছিল তাঁর কাম্য।
গাছের পাতার ফাঁকে
অথবা কোন ঘুলঘুলিতে
ওরা গড়ে নেয় বাসা
ঐখানেই ওদের স্বপ্ন
ওখানেই ওদের আশা।
শীষ দেয় দোয়েল শ্যামা
গান শোনায় কালো বুলবুল ।
প্রভাতী সূর্যকে
আবাহন করে কোকিল
তার মিষ্টি কুহুস্বরে।
বসন্তের আম্রকুঞ্জে
নাম না জানা হলুদ পাখি
ছড়িয়ে দেয় তার ডাক
আকাশের দিকে।
তখন দ্বিপ্রহর
তীব্র কর্কশ শব্দে
ডেকে ওঠে দাঁড়কাক
ছিন্নভিন্ন নীরবতা।
বৌ কথাকও গাছের ডালে
সারস দিঘীর জলে।
ঐ যে দূরে মেঠো পথে
শালিকের ঝাঁক
করছে হুটোপুটি লুটোপুটি
এখন পড়ন্ত সূর্যের আলো
ওদের এখন ছুটি।
মাছরাঙা উড়ন্ত গাংচিলের মতো
ছোঁ মেরে তুলছে মাছ।
ধ্যান গম্ভীর শ্বেত শুভ্র বক
এক পায়ে তপস্যায়ে রত।
কিন্ত নীলকণ্ঠ
কখনও দেখিনি তাকে
সেতো প্রায় অবলুপ্ত,
হয়ত আছে কোথাও
কোন বনে পাতার ফাঁকে।
ছোট ছোট শরীরে
বিচ্ছুরিত নানা রঙের খেলা
আমি অবাক হয়ে দেখি।
পাখি আমার প্রিয়।
বন্ধু,
পারতো আমাকে একটা
নীলকণ্ঠ এনে দিও।
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post