দশান্তর
চিত্তরঞ্জন গিরি
আগুনের আঁচ পথে নামলেই সে ভালোবেসে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়।
আমার বিদীর্ণ হৃদস্থলি যখন-তখন পথের বাঁকে এইজন্য হয়তো
ছন্দ হারায়।
যদিও ভালোবাসার মধ্যে খাদ থাকে।
পথের ধূলি কণাগুলো অনন্ত জগতের মহাজাগতিক নক্ষত্র!
দিনপঞ্জিকার স্বরলিপি প্রতিটা মুহূর্তে গোপন স্বয়ংক্রিয় মেশিন। সব ই তা লিখে রাখে।
সূর্যের জ্যোতি কিরণ সব কে যেন শুষে নিল।
বিন্দুর ভিতর বিন্দু! কচ্ছপের খোলকেই তা আটকে গেল!
জড় ভরত !নির্জীব আর এক জগত! যেখানে প্রতিনিয়ত ওঠানামা মরুর বালির পাথর আর আর জোতদারদের আসর!
তারপর শ্মশান -শ্মশান হয়েই জাগলো। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে
অবশিষ্টাংশে গীতার এক একটা অধ্যায় মনের ভিতর এক একটা বট অশ্বথের জন্ম দিল।
যোগের সংখ্যাতত্ত্ব লঘু মস্তিষ্কে ক্রমশ বিলীন হতে লাগলো।
একসময়ের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আঘাত করতে আসা পাথরগুলো একদিন তা
পর্বতে পরিণত হল।
তারপর আলোর নিঃসরণ !
পর্বত এর ভিতর থেকে জন্ম নিল এক একটা নদী
কখনো সাঁতরে কখনো ডিঙ্গা বেয়ে
কখনো অনুকূল প্রতিকূলতার আবর্তে মোহনার সন্ধানে এগিয়ে চলেছি নিরন্তর আজ অবধি।
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post