বিলকিসের বাৎসল্য
বেলা দে
বিলকিসের শখ হলো জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটু লোকালয় ঘুরে আসবে, বাইরে কি সুন্দর সূর্যের আলো
এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি আর খিদেও পেয়েছে খুব,একবার দেখে এসেছে সংসারী মানুষগুলি কত
ভালো খাবার খায় ডাল, ভাত,তরকারি আর
ওদের ভাগ্যে শুধু গাছপালা সেটাও আজকাল পর্যাপ্ত নয় গুটি গুটি পায়ে হেঁটে সে এগিয়ে
গেল বনবস্তির দিকে, ছোট ছোট দুটি শিশু খেলছে,
বিলকিস গিয়ে দাঁড়ায় ওদের সামনে। মংলা আর ট্যাপা আপনমনে
খেলতে খেলতে হঠাৎ দেখে কিসের একটা ছায়া,তাকিয়েই আঁতকে ওঠে, সামনে দাঁড়িয়ে এক
দৈত্যাকার কালো কুচকুচে গনেশঠাকুর। আতঙ্কে বুকের রক্ত ছলকে ওঠে, দিশেহারা হয়ে ছুটতে থাকে। মংলা লুকিয়ে পড়ে নিকটবর্তী একটা জঙ্গলে। ট্যাপা
দিগ বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুকুরে। গলা ছাড়ানো জলে হাবুডুবু খাওয়া
ট্যাপাকে দেখে খুব মায়া লাগে বিলকিসের, জলে নেমে ট্যাপাকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে তুলে সেভাবেই রেখে আসে মংলুর ঠিক পাশটিতে যেখানে
ও লুকিয়ে ছিলো। অন্তরালে দাঁড়িয়ে বন বস্তির দেহাতি মানুষগুলি অবাক হয়ে গেল
হস্তিনীর বাৎসল্য দেখে, এতকাল ওদের শুধু ভুলই বুঝে এসেছে।
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post