নরকের দেশে
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
অস্বস্তিকর স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে আছে মেঘলা আকাশ
কিছুই পড়া যায় না
আবছা আবছা হয়ে সবকিছু
চোখের সামনে দিয়ে ঝুলে থাকে
উঠোনে এসে দাঁড়ালে হৃদয়ের মতো
প্রাচীন বট কাছে আসে
শেষবেলার একফালি রোদের মতো
দুপুরের রান্না হয়ে গেছে কোনকালে
ভাতের থালার রোদে স্পষ্ট হয়ে উঠছে
একটা দুটো তিনটে চারটে পোকা
সাতসকালে ভীষণ ঝগড়ায় যাদের ঘুম ভেঙেছিল
এখন ভাতের গন্ধে তাদের শরীর থেকে মুছে যাচ্ছে
দখিনের হাওয়ায় শেষ ঘামবিন্দুর মতো খিদের কষ্ট
মিনিটের অপেক্ষাতেই মনে হয় সব পাথর হয়ে যাচ্ছে
নদীর জলের কাছে দাঁড়ায় না কেউ
উঠোনের জলে ভেসে ওঠে একটাই শুধু বাড়ি
এমন দিনকে কি করে কোলে নিই বলো
মন না থাকলে শরীর যে পাহাড় হয়ে যায়
রোদের ডানায় পাখিরা উড়ে এলে
নদীর জল পাড় ছুঁয়ে ছুঁয়ে বলে যাবে গল্প
সেই গল্পের কুঁড়েঘরে বাতাস আসে অঞ্জলি হয়ে
মেঘগান জলের আল্পনায় কুঁড়ের ক্যানভাসে
এত আয়োজনেও নিঃস্ব হলে
কথাপাখি উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে
চলে যাবে নরকের দেশে ।
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post