ধারাবাহিক
ভ্রমণ কাহিনী (পর্ব ২ )
কৌশিক
বসু
অলীকপাতা
শারদ সংখ্যা থেকে ধারাবাহিক ভাবে শুরু হওয়া আধ ডজন ভ্রমণ কাহিনীর দ্বিতীয় কিস্তি
আগের
পর্ব পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে ( পর্ব ১)
এবারের
পর্ব ব্যাঙ্গালোর-
মহীশূর
এবারে ফিরছি আবার সেই হঠাৎ প্ল্যান করে
বেরিয়ে পড়া নিয়ে - আমাদের ব্যাঙ্গালোর আর মহীশূর বৃত্তান্ত। সকাল সাড়ে সাত টা
নাগাদ কলকাতা থেকে ফ্লাইট ছিল ব্যাঙ্গালোরের,
পৌঁছলাম সকাল দশটা নাগাদ।
একটু সময় লেগেছিলো গাড়ি পেতে, এয়ারপোর্টও ব্যাঙ্গালোর
শহর থেকে একটু দূরে, তার ওপর ব্যাঙ্গালোরের
কুখ্যাত ট্রাফিক, মাঝখানে গাড়ি বদল, লাঞ্চের
জন্য একটু দাঁড়ানো - সবমিলিয়ে বানেরঘাটা পৌঁছতে ভালোই সময় লেগে গেল - দুপুর প্রায়
দেড়টা।
পৌঁছে আগেই টিকিট কেটে সাফারি বাসের লাইন এ
দাঁড়ালাম আমরা। বাস এ যখন উঠলাম পেলাম একদম পেছনের শেষ সিট। মুখ চুন করে বসে
আছি এই ভেবে আর কি ছবি তুলবো তখন বাস এর
ড্রাইভার আর হেল্পার এলো, হেল্পার ভাইয়ের আমার চুন
করা মুখ দেখে আর কোলে ছোট ছেলে দেখে বোধ
হয় দয়া হলো, আমাকে ড্রাইভার এর পাশে নিজের
সিট ছেড়ে দিয়ে বললো বাচ্চা নিয়ে সামনে আসতে। গিন্নী পেছনের সিটের জানলার ধারেই
থাকতে চাইলো, আমি ও ছেলে সামনে চলে এলাম
ড্যাং ড্যাং করে, বাকি লোকজনের ঈর্ষার পাত্র
হয়ে। অনেক ধন্যবাদ জানালাম তাকে ও ড্রাইভারকে। বাস থেকে নামার পর ভালো বাকশিস ও
দিয়েছিলাম। অনেক ছবিও তুলেছিলাম, ছেলেও মহানন্দে জন্তু
জানোয়ার দেখলো জানলায় বসে - কালো ভাল্লুক,
হরিণ, সিংহ, বাঘ, সাদা
বাঘ। এবং এটাই ছিল আমার প্ল্যান প্রথমে ছেলের মনমতো জিনিস দেখিয়ে বাকি ট্রিপ সেই
নিয়ে গল্প করতে করতে কেটে যাবে। তারপরে পাখির আলয় এ গেলাম আমরা,
কিন্তু তখন প্রায় সন্ধে
হয়ে যাচ্ছিল তাই পাখি বিশেষ ভালো দেখা গেল না ছবি তোলার মতো।
ওখান থেকে বেরিয়ে আমরা মাইসোরের বা মহীশূর এর
জন্য রওনা দিলাম। মহীশূর পৌঁছতে রাত নটা বেজে গিয়েছিল, আর
আমাদের হোটেল ছিল একটু ভিতরে, তবে রাস্তায় আলোকিত
প্যালেস দেখে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুললাম। এক অনেক ভোরে উঠে এতটা এসেছি, তার
ওপর পরের দিন সারাদিনের প্ল্যান কুর্গ ঘোরার,
তাই আর বেশি দাঁড়ায়নি।
পরের দিন সকালে বেরিয়ে পড়লাম কুর্গ জয় করতে,
তবে তা পরে বিশদে লিখবো।
পরের দিন সকালে ব্যাঙ্গালোর ফিরে আলেপ্পির বাস ধরা বিকেলে, সময়
হাতে ছিল, তাই রাস্তায় একটু প্যালেস এর সামনে দাঁড়িয়ে সিকিউরিটি
গার্ডকে অনুরোধ করে গেটে ঢুকে কয়েকটা ছবি তুলে
ফেললাম । গিন্নী ও আমি আগে মহীশূর প্যালেস দেখেছি, তাই
অর্ধেক দিন খরচ করে দেখার প্ল্যান ছিল না। ব্যাঙ্গালোর পৌঁছে গেলাম কয়েক ঘন্টা পরে
, সেখানে এক পুরোনো বন্ধুর বাড়িতে গুছিয়ে লাঞ্চ, আর
কি চাই!
কিছু ছবিও পোষ্ট করলাম, কেমন
লাগলো জানাবেন।
দিবানিদ্রা |
চলো একটু হেঁটে আসি |
গোপন আলোচনা |
ভীত চিঙ্কারা |
দম্পতি |
রাজা ও মন্ত্রী |
চিন্তান্বিত মন্ত্রীমশাই |
সকালে মহীশূর প্যালেস এর আরেকটি গেট |
আলোকিত মহীশূর প্যালেস |
একটু উঁকি মেরে প্যালেস দেখা |
ছবিঃ লেখক
আগামী পর্বে – কুর্গ...
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post