অক্ষর প্রেম
সুদীপ পাঠক
দিনের শেষে
কবিতা এসে
বলল কানেকানে
দেখো আমায়
পাঠিয়েছিলে
সম্পাদকের কাছে
এবার কেমন
পৌঁছে গেলাম
পাঠকের দরবারে ।
পড়বে সবাই ,
বাসবে ভালো !
আদর পাবো বলছ ?
সার্থক তবে
জন্ম আমার
তোমার লেখনী
হবে ধন্য ।
অক্ষর প্রেম
সুদীপ পাঠক
দিনের শেষে
কবিতা এসে
বলল কানেকানে
দেখো আমায়
পাঠিয়েছিলে
সম্পাদকের কাছে
এবার কেমন
পৌঁছে গেলাম
পাঠকের দরবারে ।
পড়বে সবাই ,
বাসবে ভালো !
আদর পাবো বলছ ?
সার্থক তবে
জন্ম আমার
তোমার লেখনী
হবে ধন্য ।
আলো
রতন বসাক
পাতার ফাঁকে আসছে আলো
দিচ্ছে দিবাকর,
সেই আলোটাই পড়ছে দেখো
বিশ্বে সবার ঘর।
ধনী গরিব বিভেদ ভুলে
আলো দিয়ে যায়,
এই জগতে সেইতো শুধু
সবার ভালো চায়।
বারো ঘন্টা আলো দিয়ে
আরাম করে নেয়,
ফিরে এসে জীব জগতে
নতুন আশা দেয়।
এমন ভাবে চলছে খেলা
দেখা যাচ্ছে রোজ,
কেমন করে হচ্ছে এসব
নিতেই হবে খোঁজ।
বসন্তের
দোলা
অসীম কুমার
চট্টোপাধ্যায়
বসন্ত এসে দোলা দেয় হৃদয়ের বন্ধ দরজায়
বুকের পাঁজরে ঘেরাটোপের ভেতর
ঘুমিয়ে থাকে ফেলে আসা দুরন্ত প্রেম।
শীতে কুন্ডলী পাকানো সরীসৃপ
উষ্ণতার ছোঁয়ায় যেভাবে বেরিয়ে
আসে নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে
আমার সুপ্ত প্রেম জেগে ওঠে
সকাল আর সন্ধ্যায় দয়াময় দেবতার নামে।
প্রেমের কি বয়স হয় ?
দেহের হয় জানি।
প্রেম কি জানে দেহের বয়স কত ?
দিনের শেষে লাল সূর্যটা
পশ্চিম আকাশ থেকে
যেভাবে নিঃশব্দে নেমে যায়
ঠিক সেই ভাবে প্রেম কি দেহ
ছেড়ে নেমে যেতে পারে ?
আমি এখনো প্রেমে পড়ি
তবে এই প্রেম দেহের নয় আত্মার।
পরম পিতার সাথে মিলনের আকুতি
নিয়ে
বেঁচে থাকে প্রেম।
এখন কালবেলা
রঞ্জন
চক্রবর্ত্তী
উদাসীন দেয়ালে মরচে ধরা
পেরেকে ঝুলছে বিবর্ণ মানচিত্র
কিছু অস্পষ্ট সীমানা নির্দেশ, কিছু
নিষ্প্রভ মুখের সারি
গোটা মানচিত্র জুড়ে স্পষ্ট
শুধু নদী আর রেল লাইন
আশে-পাশে আর কোনও চিহ্ন আঁকা
নেই,
পুরো ব্যাপারটা ঠিকমতো বুঝে
ওঠার আগেই
পড়ন্ত বিকেলের গায়ে আবছা
অন্ধকার মাখিয়ে দিচ্ছে কেউ
গাঢ় কুয়াশা ধীরে ধীরে ঢেকে
ফেলছে তোমাকে,
রোজ তোমার এভাবেই চোখের
আড়ালে চলে যাওয়া —
এই ঘটনার পর ভেঙে যাচ্ছে
পারস্পরিক সংযোগের সেতু
পরিচিত এলাকা ছেড়ে চলে যাব
এবার অনিবার্য কারণবশত
কানা গলিটার মুখে জরাজীর্ণ
পাথরের ফলকে লেখা থাকবে —
‘একদা এখানে তিনি থাকতেন।’
অসমাপ্ত
পদ্যসমগ্র
বিকাশ মন্ডল
ভাব ও ভাবনাগুলি, কথা ও
কাজগুলি
মিলেজুলে এই আমি। অহমিকা।
যাপন।
ভাঙি। বিশ্লেষণ করি। দেখি
কোনো দ্যুতি
বের হয় কিনা। প্রতিটি
মুহূর্তের মুখ, তাপ
ও বিভা অনুভবে আসে।তাকে
শব্দে
অনুবাদ করি। মালা গেঁথে রাখি।
কবিতায়।
মন ভরে যায়
জোবাইদুল ইসলাম-(বাংলাদেশ)
মন ভরে যায় আকাশ দেখে
ভরা সাদা মেঘে,
মন ভরে যায় বাতাস দেখে
ছুটে ভীষণ বেগে।
মন ভরে যায় পাখি দেখে
উড়ে আকাশ নীলে,
মন ভরে যায় যখন দেখি
আকাশ ভরে চিলে।
মন ছুটে যায় যখন তখন
ঐ নদীটির তীরে,
যেথায় আছে শাপলা-শালুক
নদীর পানি ঘিরে।
মন ভরে যায় ফসল দেখে
মাঠে মাঠে ভরা,
মন ভরে যায় ছন্দ মালায়
লিখি নতুন ছড়া।
আশ্চর্য
ব্যতিক্রম
বিকাশরঞ্জন
হালদার
ফিকে
আঁধার, আশ্চর্য
ব্যতিক্রম। এখানে নিয়ম এক নিঃশব্দ-কোলাহল। মুছে যায় তোমার উদাসীন। বিচ্ছিন্ন
জ্যোতির মতোই ঘনিয়ে আসো, পাটকিলে প্রদোষ-কিশোরী ! নিভৃত রাঙা
সময়ের বুকে এঁকে দিই, থৈ-থৈ
অন্যমনস্কতা-মধুর দৃষ্টিপাত ! রাত কাছে
ডেকে, জেগে
থাকে ঘুম অলীক মায়ায়। স্বপ্নের গোপনে মায়ের মুখ জাগে, নরম মোম-এর
আলোয়। কখন যেন অবুঝ ডাক শুনেছিলাম অনেক দূর থেকে
...
প্রানের
ভাষা
চিত্তরঞ্জন
সাহা (চিতু)
বাংলা
ভাষা মায়ের ভাষা
মাকে
ডাকি মা মা বলে জুড়ায় যেন মনের আশা।
এই
ভাষাতেই স্বপ্ন দেখি লিখি হাজার ছড়া,
হৃদয়
কাব্যে ভরা।
এই
ভাষাতেই গানের সুরে
যায়
হারিয়ে হাওয়ায় দুরে
এই
ভাষাতেই প্রান
মিষ্টি
ফুলের ঘ্রান
এই
ভাষাকে আনতে গিয়ে জীবন দিলো যারা,
ফাগুন
মাসে আগুন ছড়ায় রক্ত পলাশ তারা।
এই
ভাষাকে শ্রদ্ধা জানাই শহীদ মিনার সাজাই,
রক্তে
কেনা অমর গানটি আমরা আজও বাজাই।
খরস্রোতা
শুচিস্মিতা
চক্রবর্তী
উষ্ণতারা
উষ্ণ থাকুক
আমি
বরং শান্ত হই;
ঝড়ের
ঝাপটা ঝেড়ে ফেলে
অঝোর
অবিশ্রান্ত হই।
কারন
বারন ভ্রান্ত যখন
খানিক
পথের পান্থ হই,
সুখ-অসুখের
নিয়ম ভেঙে
বুকের
মাঝেই ক্ষান্ত রই।
আমার
আবার যখন তখন
আদর
মাখা দু-হাত চাই,
অল্প
কাঁপা ঠোঁটের পাশে
আরেকটা
ঠোঁট আলতো পাই।
দু-কূল
ছাপা প্রেম বানেতে
একটু
হলেও ক্লান্ত হই;
উষ্ণতারা
উষ্ণ থাকুক