দোলে
ভালে (
কাল্পনিক সংলাপ)
স্নেহাশিস
মুখোপাধ্যায়
এইখানে মেঘ, এইখানে রাত
আমার পাশে ছিলো।
এইখানে, এই বাড়ির
মাথায়, অনেক
দিনের চাঁদের পাশে
এইখানে মেঘ এইখানে রাত
আমার পাশে ছিলো।
কিভাবে ছিলো কোন সময়ে কেউ
জানে না কোথ্থাও।
আমিও না আমার মনের কোন আকাশে
উজানডাঙার
কোনখানে মেঘ কোনখানে রাত -
বাড়ি উধাও - ছাদের মাথাও।
আকাশে সব সময় কিছু তারার
খেলা চমকে বেড়ায়।
আকাশে আমি তারা দেখেছি, মেঘের গর্জন
শুনেছি
এইখানে এই বাড়ির ওপর, এইখানে এই
ছাদের মাথায়।
আসল কথা এইখানে নয়, মাঠের ওপর
আকাশটি নয়
আকাশে আমি তারা দেখিনি, মেঘের গর্জন
শুনিনি
আসল কথা এই দেশে নয় এই গ্রহে
নয়, ভূ-পর্যটনময়।
নিচে ছিলো, ওপরে ছিলো, বাড়া ও কমার
যুক্তি ছিলো।
প্রসার শেষে মাঠের দেশে
ভূমি ও ভূমির দরদ ছিলো।
ঘুড়ির ওপর ঘুড়ির ওপর ঘুড়ির ওপর ঘুড়িও ছিলো।
কাটা সুতোর গায়ে তখন রোদ পড়ে
দিনমাঞ্জা ধ’রে।
সকাল বলো বিকেল বলো এক হয়ে
যায় মাথায় মাথায়।
লাইটপোস্টের ধাক্কা লাগে, কে আগে আসে, মাথা না
পোস্ট - জন্ম ভ’রে?
সেই চুলোতেই রান্না হচ্ছে
প্রখর রোদের রান্নাঘরে।
সূর্য তখন উনুন আর কয়লা, ঘুঁটে কালো
মেঘ।
তার মানে সেই সাদা সুতোর
অনেকটা দৌড় ভিজতে পারে।
ভিজতে ভিজতে মাঠ ছোটো হয়, আরো ছোটো -
অনেক ছোটো।
এবার তুমি ঠিকানা খোঁজ বাড়ির
ক্রমিক সংখ্যা ঘেঁটে।
তারপরে সেই বাড়ির ঘরে নাটক
নাটক খেলতে হেঁটো।
এই নাও সেই গৃহচাকর চাঁদের
পাশে তারার মালা।
ওঁরা কিন্তু পাইক নন -
দূরের বোধ, কথার
পালা।
চাঁদের ভেতর বুড়ির পাশে মেঘের
চাকরদের জটলা।
এবার বলো মাথায় যদি আঘাত আসে
কি দোষ কার?
ছোটোকালের ঘুড়ির নেশা যথেষ্ট
কি ঘুড়ি?
মাথার ওপর অসীম আকাশ, চোখ চলে
যায়...থুড়ি।
এইখানে রোদ এইখানে দিন আমার পাশে
ছিলো।
এইখানে এই বাড়ির মাথায় চাঁদের
হাসির আগে...
এইখানে তার ছায়াবরণ গাছের
নিচে ঘুমিয়ে পড়েছিলো।
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post