স্বর্গাদপি
বদরুদ্দোজা
শেখু
হাঁটতে হাঁটতে মাঠের দিকেই
যাবো ।
হাঁটতে হাঁটতে কোনো বৃক্ষের
নীচে গিয়ে দাঁড়াবো।
বৃক্ষ মানে বটগাছ , অশ্বথ্থ কি আমজাম
চালতে ডুমুর ।
পুরনো গুঁড়িওয়ালা। যাতে
আগুন-রোদ্দুর
সুশীতল ছায়া ব'নে যায়।
ছায়া মানে ধূসর ধোঁয়াটে নিসর্গের
বিষণ্ণ বিতানে বিলক্ষণ
স্বর্গ। অন্ততঃ বিদীর্ণ দুপুরের
মরূদ্যান। ধ্যানস্থ। স্থবির।
স্থগিত। সচল।
আন্দোলিত। পাতায় পাতায়
মর্মরিত
বাতাস। শাখা প্রশাখার শ্বাস
প্রশ্বাস। ঝোড়ো গান ।
আর পাখপাখালির কলতান ।
ব্যস্ত। অবিন্যস্ত। চঞ্চল।
মুখর।
দুদণ্ড দাঁড়াবো। জীবন জুড়াবো।
সত্ত্বার শিকড়
হাতড়ে' দেখবো।
নিবিষ্ট। তন্ময়। আত্মমগ্ন ।
পূর্বপুরুষের জন্মলগ্ন
নববর্ষের বিস্তীর্ণ অভিধায়
দেখা হবে হয়তো-বা ,
অন্তরাত্মা অথবা এই সময়
ভয়ঙ্কর বোবা
থাকবে না এতো । এই অজ মাঠ হবে
স্বপ্নের ষোড়শী ।
বিলক্ষণ স্বর্গ নয় , স্বর্গাদপি
গরীয়সী ।
হাঁটতে হাঁটতে মাঠের দিকেই
যাবো ।
হাঁটতে হাঁটতে কোনো বৃক্ষের
নীচে গিয়ে দাঁড়াবো ।
খাঁ খাঁ মাঠ । বৃক্ষ নেই ।
তরুবর নেই । গাছ নেই ।
বিপন্ন অস্তিত্ত্বের এই
অধঃপাতে দুহাত বাড়াবো ।
হাতড়াবো , হাতড়াবো...
আকাঙ্ক্ষার সবুজের বিধ্বস্ত
নীলিমা ।
শেয়ার পলিসি বন্ড ব্যাঙ্ক
বীমা
উবে যাবে, অন্তরাল
সহচর পূর্বপুরুষের অভিজ্ঞানে ।
হেঁটে যাবো বৃক্ষের ছায়ার
জন্য শান্তি ও সুন্দরের অনুধ্যানে
এই অজ মাঠ বরাবর ।
যেখানে প্রোথিত আছে
এবং গ্রথিত আছে
অধঃস্তন সত্ত্বার শিকড় ,
মাঠের দিকেই আমি যাবো
বিমূর্ত আদিম কোনো বৃক্ষের
নীচে গিয়ে দাঁড়াবো ।
একা। সূর্য ওঠার মতো অবধারিত
।
গায়ত্রী মন্ত্রের মতো নিঃসংশয়
উচ্চকিত ।
উন্মথিত । আলোড়িত ।
অনুপ্রাণিত । অতি-প্রাকৃত ।
প্রত্ন-শীলিত । অথচ জীবিত ।
বিনীত । সৌজন্য-বাধিত ।
নিভৃত উঠানে ভাঙাচোরা পরস্পর
দৃশ্যের সভায় পরিত্যক্ত
ভিটেমাটিঘর
নিবিষ্ট দাঁড়িয়ে থাকে যেমন,তেমনি
দাঁড়াবো। জিরোবো । আর হারাবো...
হারাবো তন্ময় সত্ত্বার
প্রত্নে । পরম নির্ভর মাঠের দিকেই আমি
যাবো
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post