অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি



। । "অলীক পাতা শারদ সংখ্যা ১৪৩১ আসছে এই মহালয়াতে। । লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ ই আগস্ট রাত ১২ টা ।.."বিশদে জানতে ক্লিক করুন " Notice Board ট্যাব টিতে"

Saturday, January 8, 2022

গল্প-কাউন্সেলিং- শম্পা বণিক

 

কাউন্সেলিং

শম্পা বণিক

Image Courtesy: Google Image Gallery
 

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রায়ই আজকাল নিজের সাথে বিরোধ বাধে পারমিতার। জীবনের হিসেবে এত গরমিল মনে হয় কেন তার। বিদ্ধস্ত লাগে। তবে কি তার জীবন দৃষ্টিতে গোড়াতেই ভুল ছিল? অন্যায় ? না বোকামি? আজকাল এমনই প্রশ্ন ঝড়ে আলগা হতে চায় পারমিতার আত্মবিশ্বাসের ভিত । আসলে সে যে সময়ের সাথে চলতে না পারা একজন মানুষ, এটা প্রতি পদক্ষেপে বুঝতে পারে। পৃথিবীর নিরন্তর বেড়ে চলা গতিবেগে ক্লান্ত মনে হয়। “ক্লান্তি আমার ক্ষমা কর প্রভু”, এই আকুতি মনজুড়ে। কিন্তু ক্ষমাহীন সংসার উপহাস প্রিয়। উপেক্ষা অসম্মানের সদ্ব্যবহার করেই তৃপ্ত। প্রায় মধ্য পঞ্চাশে এসে এই উপলব্ধি অবসাদ আনে। পারমিতা উত্তর খোঁজে। আগে কিন্তু এসব কথা কোনদিন ভাবেনি সে। নিজেকে বেশ বুদ্ধিমতী মনে হ’ত। সংসারে নিজের গুরুত্ব সম্পর্কে অতিবোধ তাকে তাড়া করে ফিরেছে চিরটাকাল । সবাইকে নিয়ে চলা যায় না এই সত্য বুঝতে বুঝতে পার হয়ে গেছে অনেক মূল্যবান সময়। পান থেকে চুন খসলে সেই মানুষগুলোর আচরণ অচেনা মনে হয়, আঘাত লাগে। তবে পারমিতা পাথেয় সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলেও সূক্ষ দায়িত্ব পালন আর কর্তব্য বোধ সবসময় তাকে মানসিক তৃপ্তি দিয়েছে শান্তি দিয়েছে। যার কোন তুলনা হয় না। সেই শান্তিগুলো একান্তই তার নিজস্ব সম্পদ। তার মূল্যবোধ তার দুর্বলতা, বোকামি না। একথা জনে জনে বোঝানোর দায় তো তার নয়। সেদিন ছেলে যখন বলল,

_ মা নিজেকে অত গুরুত্বপূর্ণ ভেবো না। যে যা ভালো বোঝে করুক। তোমার কথা তো শুনবে না। নিজে তারপর কেঁদেকেটে প্রেসার বাড়াবে। ওর বাবা বলে,

_পারিস তো বোঝা। আমি তো বলে বলে হাল ছেড়ে দিয়েছি। যেচে অপমানিত হয় প্রতিবার।

 

কী করে বোঝাবে সে এ বয়সে নিজেকে বদলানো যায় না। ভিতরের শিক্ষাকে অস্বীকার করা যায় না। মানবতার সংজ্ঞা প্রতিদিন পাল্টে যাচ্ছে একথা সত্য ,তবু কিছু মানুষ উষালগ্নের মূল্যবোধ কিছুতেই ত্যাগ করতে পারে না । মনে হতেই পারে নির্বোধের অলংকার। বৌমা বোঝায়,

_ তুমি এত ভেবো না মাম্মি। সবাই নিজের ভালো বোঝে। তুমি কাউকে ভালোর জন্য বলতে যাবে সে ভাববে জ্ঞান দিচ্ছ। আর একবার যদি ধরে নেয় তুমি জ্ঞান দিচ্ছ। সে তোমাকে যে ভাবেই হোক অপমান করবে। যুগটাই এমন। আমি জানি বলেই বলছি।

 

পারমিতা বোঝে। বহুবার তার বিশ্বাস ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে। আবার জোড়া লাগিয়ে বারবার বেলতলায় যাওয়াটাই তার স্বভাব।

পারমিতার একাকীত্ব সাধ করে বরণ করা। বা ওর অক্ষমতা । সমাজ আমাদের মিলিটারী ক্যাম্প নয় তা বলে নৈতিক চরিত্র এত নেমে যাবে কেন ! হয়তো এই অধঃপতন শুরু হয়েছে অনেক আগেই এখন তার খোলামেলা নির্লজ্জ আত্মপ্রকাশ। মনে কর- একজন বাবা বা মা তাদের সদ্য হাঁটতে শেখা বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তায় হাঁটছে। রাস্তা থেকে ওই শিশুর নাকে উচ্চতা কতটুকু! পারমিতা এগিয়ে গিয়ে বলল,

_ ওকে কোলে নাও । কত দূষিত হাওয়া ওর নাকে ঢুকছে।

_ আপনার কি? খেয়েদেয়ে কি কাজ নেই?

বলা বাহুল্য এখনকার নতুন অভিভাবকরা পারমিতার ছেলের বয়সি। এখন বাড়িতেই বড়রা কিছু বলতে গেলে ছোটদের স্বাধীনতায় হাত পড়ে, আর তো বাইরের লোক। সংবেদনশীল মানুষের অপমান বোধ তীব্র। তবু সে বলে কারণ বাচ্চাটার আসন্ন অসুস্থতা তাকে ভাবায়। সে উদাসীন হতে পারে না। ছেলে বলল,

_ কেন বলতে যাও?

_ কিন্তু বাচ্চাটার কি দোষ বল?

_ তোমার বাচ্চা? ফালতু কথা শুনতে ভালো লাগে ?

 

পারমিতার ছেলে বুবাই তখন ক্লাস টু কি থ্রি তে পড়ে। খুব রোগা ছিল। স্কুলবাসের জন্য দাঁড়িয়ে মায়ের সাথে। সামনের চায়ের দোকানের বয়স্ক ভদ্রলোক দোকানী  এগিয়ে এসে বলল,

_ রোজই একটা কথা বলব মনে করি। খদ্দের এসে যায়।

_ বলুন কি বলবেন?

_ একটা কাঁচের শিশিতে খাটি মধু নিয়ে তার মধ্যে কিছু গোলমরিচ ফেলে রাখবে। কিছুদিন পর থেকে রোজ সকলে ছেলেকে খালি পেটে খাইও। ওর চেহারা ফিরবে। বড্ড রোগা।

_ ঠিক আছে।

 

অভিজ্ঞতাকে সেতো ছোট করতে পারেনি। মনে আছে মধু খেয়ে ছেলের চেহারা না ফিরলেও চট করে ঠান্ডা লাগতো না। পারমিতার কাছে সময়টা অনেক সহজ ছিল।

কেউ হয়ত জরুরি ভিত্তিতে কোন ডাক্তারের ফোন নম্বর চেয়ে নিল। পারমিতা দিল। পরে শুনল ওই ডাক্তারের ব্যবহার খারাপ। ভিজিট বেশি । অকারণে টেস্ট করায়। এই হল রিটার্ন গিফট। এতে ওর দোষ টা কোথায়!

 

আজও এমন ঘটনা ঘটে। তবে এখন ওর কাছে অনেককিছুই প্রত্যাশিত। কয়েকবছর আগের কথা, পাড়ার এক শয্যাশায়ী বৃদ্ধা মাসিমাকে দেখতে গিয়ে ওনার ছেলের বউটাকে বলল,

_ মাসিমার হাতে পায়ে একটু বোরোলিন লাগিয়ে দিতে বলো আয়াকে।

পাশের ঘর থেকে ছেলে বেরিয়ে এসে বলল,

_ মাকে ভাবছি এবার পার্লারে নিয়ে যাব। সারা পাড়ায় মায়ের এত হিতাকাঙ্খী জানা ছিল না।

পারমিতা আর কথা বলতে পারেনি। জীবন্মৃত মানুষটার গায়ে একবার হাত বুলিয়ে চলে এসেছিল।

পারমিতার মনে হয় অথর্ব মানুষদের অবসর ভাতার আইন পরিবর্তন দরকার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর অপব্যবহার হয়। ওর বর বলল,

_ ঠিক হয়েছে। বলতে গেছে কেন, ওদের মা ওরা বুঝবে।

_ যা বুঝছে দেখে এলাম তো।

 

পারমিতার মায়ের শিক্ষা ছিল ডাক্তারবাবুদের ঠিকানা সবসময় হাতের কাছে রাখবে। তাই ওর মোবাইলে অনেক ডাক্তারের নম্বর সেভ করা। একবার কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলাপ হয়েছিল তারই সমবয়সী হবে একজন মহিলার সাথে। শাশুড়ি মা কে নিয়ে এসেছে তলপেটের ইউ.এস.জি করাতে। সত্তরোর্ধ বৃদ্ধা। খুব ব্লিডিং হচ্ছিল। বৃদ্ধার ছেলে কাপড়ের দোকানে কাজ করে। ছুটি পায়নি। ছেলের বউটা মনমরা হয়ে বসে। জানে না এরপর কি করবে কাকে দেখাবে। ডাক্তার সন্দেহ করছে জরায়ু ক্যান্সার। পারমিতা ওকে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আর  অঙ্কোলজিস্ট এর নম্বর দিয়ে বলল,  এনাদের সাথে দেখা করবেন । আপনার অসুবিধা হবে না । নিজের মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ার পর থেকে এই নম্বরগুলো ওর কাছে সেভ করা। সাধারণ অসুখ বিসুখ করলে সহজেই কোন ডাক্তার দেখিয়ে নিই আমরা। কিন্তু এইসব অসুখ দিশেহারা হয়ে পড়ে মানুষ। পারমিতার সে অভিজ্ঞতা আছে। ভদ্রমহিলা ওর দুহাত ধরে কেঁদে পড়েছিল। পারমিতা ভাবে এটুকু তো করা যেতেই পারে। বিনিময়ে মন যে শান্তি টুকু পায়, তা দুর্লভ। এ তার মনের পরম পাওয়া প্রতিক্রিয়া যাই ই হোক। একবার প্রায় মধ্যরাতে এক আত্মীয়ের ফোন এল,

_ বৌদি, বাবাকে এক্ষুনি কোথাও ভর্তি করতে হবে। কথা জড়িয়ে গেছে । মনে হয় স্ট্রোক।

ভদ্রলোককে সেই রাতেই ভর্তি করা হল, কাছেরি এক নার্সিংহোমে । সে যাত্রায় মানুষটা বেঁচে ফিরলো । এবার পারমিতার রিটার্ন গিফট ,

_বৌদি। আর কদিন বাবাকে রাখতে হলে আমাদের তো পথে বসতে হোত। নার্সিংহোম না কসাইখানা! যাই হোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। কৈ এর তেলেই কিন্তু কৈ ভেজেছে। অথচ হাবভাব দেখলে মাথা গরম হয়ে যায়।

কথায় আছে স্বভাব যায় না ম'লেও। উপকারের গুঁতো কখনো দ্বিগুণ হয়ে ফিরে আসে। যার ফল ভোগ করতে হয় বর কে ছেলে কে। আজকাল সে অনেক মেপে মেপে চলে। ঘর সংসার আত্মীয় বন্ধু এই নিয়েই তো জীবন বয়ে চলে। অসুস্থ মনে হয় নিজেকে পারমিতার। অসুখ যেন তার রক্তসংবহণে।

কিন্তু ও এমন কেন খুঁজতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে অনেকগুলো বছর। একটা আট দশ বছরের মেয়ের উপর ভার তার ছোট ছোট ভাইবোনের। মা অসুস্থ তাই । সেই মেয়ে দিদি নয় মায়ের মতো করে আগলে রাখত। দায়িত্ববোধের জন্ম সেই থেকে। যতদিন গেছে তা আরও বেড়েছে। স্বভাব বা অভ্যাস বশতঃ  শ্বশুরবাড়িতেও প্রথম থেকেই দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে জড়িয়ে পড়েছে। সময়ের স্পর্শে সবাই আজ নিজের নিজের মতো সাজিয়েছে জীবন। পারমিতার প্রয়োজন ফুরিয়েছে কালের নিয়ম মেনে। কিন্তু কষ্ট সেখানে কেউ আঙুল তুললে অন্য কেউ বলে না,

_দিদিতো এমন নয়। বা,

_বৌদি একথা বলতেই পারে না। বা,

_পারমিতা এ কাজ করতে পারে না

উল্টে আঙুল গুলো দলবদ্ধ হয় জীবনের উৎসবে। পারমিতাই দোষী। সময় কোথায় যেন থেমে আছে তার।

পারিবারিক ডাক্তারবাবু ওর বরকে বলল,

_ কোথাও ঘুরে আসুন। ভালো কাউকে দিয়ে কাউন্সেলিং করানো দরকার। আমি ওষুধ দেবো না। তাতে উনি স্লো হয়ে যাবেন। উনি যে লেখালেখি করেন সেটা বন্ধ হয়ে যাবে।

পারমিতার কিছু ভালো লাগে না। সবসময় দোলাচল মনের মধ্যে। ঠিক হল হাওয়া বদল করতে যাওয়া হবে দক্ষিণভারত । পারমিতার প্রিয় গন্তব্য । প্রায় কুড়ি বাইশ দিন বেড়ানো শেষে এবার বাড়ি ফেরা। যশোবন্তপুর স্টেশন । দুরন্ত দেয়নি এখনও। পারমিতারা চারজন ওয়েটিং রুমে বসে। বছর পাঁচেকের ছোট্ট মেয়েটি ছুটে বেড়াচ্ছে। ওর মা বসে পারমিতার পাশে। বাবাটা একটু দূরে দাঁড়িয়ে কারো সাথে কথা বলছে। ওরাও দুরন্ত এক্সপ্রেস ধরবে। ওদের বাড়ি শিলিগুড়িতে। ব্যাঙ্গালোরে এসেছে ট্রিটমেন্ট করতে। ভদ্রলোকের ব্রেন টিউমার অপারেশন হয়েছে। ডাক্তার বলেছে রেডিওথেরাপি করতে হবে । একমাস হোটেলে থেকে টাকাপয়সা শেষ। ভদ্রলোকের দিদি থাকে ব্যান্ডেলে। এখন সেখানেই উঠবে। তারপর কোথায় কিভাবে পরের চিকিৎসা হবে পুরোটাই অনিশ্চিত। তবে ডাক্তার বলে দিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রেডিয়েশন শুরু করে দিতে । পারমিতার বৌমা পাশেই বসে শুনছিল ভদ্রমহিলার কথাগুলো। বলল ,

_আপনাদের কত নম্বর কম্পার্টমেন্ট?

_ বি২

_আমাদেরও । ট্রেনে উঠে কথা হবে।

 

দুরন্ত তে ওঠা মাত্র এটা সেটা খাবার দেওয়া শুরু হয়ে যায়। লাঞ্চের পর পারমিতা জানালায় বসে বাইরে তাকিয়ে। কিছুটা আনমনা। বৌমার ডাকে ঘুরে তাকাল। সাথে ওই ওয়েটিং রুমের ভদ্রমহিলা-

_ মাম্মি আমি বলেছি তুমি নিশ্চয়ই হেল্প করবে।পারমিতা তাকিয়ে বৌমার দিকে।

_ বলে দাও কোলকাতায় গিয়ে কোথায় কিভাবে কি করতে হবে।

পারমিতা যেন জানালায় বসে এ কথাই ভাবছিল। তখনই প্রয়োজনীয় ঠিকানা ফোন নম্বর দিয়ে কিভাবে যেতে হবে সব বুঝিয়ে দিল। মনটা অনেক হালকা লাগছে। সন্ধ্যার দিকে ভদ্রলোক ভদ্রমহিলা দুজনেই এল । বলল

_ ডাক্তারের সাথে কথা হয়েছে। আগামী পরশু থেকেই রেডিওথেরাপি শুরু করা যাবে। কেস হিস্ট্রি ফোনে যতটা সম্ভব বলেছি। বললেন কোন ভয় নেই । দিদি কাল গিয়ে টাকা জমা দিয়ে আসবে । ধন্যবাদ না অন্তরের কৃতজ্ঞতা রেখে গেলাম।

 

ওরা চলে গেলে পারমিতা আবার জানলায় চোখ রেখে বসে রইল । সে যেন অনেক দূর থেকে বাড়ি ফিরছে আজ। মনে আসছে কান্ত কবির লেখা প্রিয় লাইন-

"প্রভু, বিশ্ব -বিপদহন্তা ,

তুমি দাঁড়াও ,রুধিয়া পন্থা ;

তব, শ্রী চরণ তলে নিয়ে এস, মোর

মত-বাসনা গুছায়ে !

মলিন মর্ম মুছায়ে"

ফিরুন সূচিপত্রে



| হিম সংখ্যা-১৪২৮| aleekpata.com|
  |ALEEK PATA- Your Expressive World |Online Magazine |
| Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty|
 Winter , 2021 | August -December 2021 | Fifth Year  Second  Issue |28 th Edition|
|© All Rights Reserved By The Editor and The Publisher |
|a DISHA-The Dreamer Initiative |

2 comments:

  1. This comment has been removed by a blog administrator.

    ReplyDelete
  2. This comment has been removed by a blog administrator.

    ReplyDelete

Please put your comment here about this post

Main Menu Bar



অলীকপাতার শারদ সংখ্যা ১৪২৯ প্রকাশিত, পড়তে ক্লিক করুন "Current Issue" ট্যাব টিতে , সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

Signature Video



অলীকপাতার সংখ্যা পড়ার জন্য ক্লিক করুন 'Current Issue' Tab এ, পুরাতন সংখ্যা পড়ার জন্য 'লাইব্রেরী' ট্যাব ক্লিক করুন। লেখা পাঠান aleekpata@gmail.com এই ঠিকানায়, অকারণেও প্রশ্ন করতে পারেন responsealeekpata@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

অলীক পাতায় লেখা পাঠান