অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি



"অলীক পাতা নববর্ষ সংখ্যা ১৪৩১ প্রকাশিত, সমস্ত লেখক -লেখিকা এবং পাঠক -পাঠিকাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা..."বিশদে জানতে ক্লিক করুন " Notice Board ট্যাব টিতে"

Friday, May 6, 2022

গল্প- বৈঠকি -ছোঁ মেরে ভোঁ - ইন্দ্রাণী দত্ত

গল্প- বৈঠকি

ছোঁ মেরে ভোঁ

ইন্দ্রাণী দত্ত

Collage-Swarup Chakraborty


আরে ধর,ধর ! লম্পট, চোরটাকে কে আছিস একটু ধর বলে হুড়মুড়িয়ে কোন মতে ভুঁড়ি আগলে ভরা বাজারের মধ্যে দিয়ে কিছুটা দৌড়ে গেলেন বিশ্বলোচন বাবু ! 

রঘুনাথ পুরের ভূগোলের শিক্ষক বিশ্বলোচনবাবু মানুষটা মন্দ নয়,তবে বেশ কড়া গোছের, একগুঁয়ে, অন্যের সিদ্ধান্ত তার কাছে নিতান্তই মূল্যহীন ,মাথা ভর্তি টাক জ্বলজ্বল করছে সদর্পে, পরনে ধুতি পাঞ্জাবী, চোখে গোল গোল কালো মোটা ফ্রেমের চশমা ৷ এরকম একটা রাশভারী লোক এ চত্বরে খুব একটা চোখে পড়ে না ৷ তবে এ সকল বিবরণ শুধু বাইরের মানুষদের কাছে ,বাড়ির ভিতরের চিত্রটি বেমালুম উল্টো ! ঘড়ির কাঁটা সকাল ন-টার ঘরে গেলেই প্রতিদিন হাঁকডাক পড়ে যায় বিশ্ববাবুর বাড়ি,

 গিন্নি,অ গিন্নি আসনটা বিছালে নাকি?

গিন্নি ,অ গিন্নি জলটা  দিলে নাকি ?

গিন্নি শুনছো পোস্ত বাটার ওপর একটা সবুজ দেখে কাঁচা লঙ্কা গুঁজে দিও তো, চিবিয়ে, চিবিয়ে খাবো একটু !

ও গিন্নি মাছের বড়াটা একটু বেশি তেল দিয়ে ভাজতে ভুলো না যেন !

দশবার হাঁক দিলে একবার সাড়া দেন বাড়ির কর্ত্রী, আসলে স্ত্রী লোকের হাতে যে ক্ষমতা থাকে তার সম্পূর্ণ প্রয়োগ করে নিজের দম্ভ প্রকাশ করতে মেয়েমানুষরা ভালোই জানে বোধকরি ৷ ঘড়ির কাঁটা ঠিক নটা পনেরোর ঘরে গেলেই আর একটা আওয়াজ শোনা যায় যথারীতি,

ভাত পড়েছে পাতে, খেতে এসো, জলের বোতল নিয়ে এসো সঙ্গে করে, গেলাস দিচ্ছি !

বিশ্ববাবু এই সময়টার জন্যই ওঁৎ পেতে বসে থাকেন, কখন ডাক পড়বে, ব্যাস আয়েস করে দুটো খেয়ে দেয়ে বেরিয়ে পড়া ইস্কুলের উদ্দেশ্যে, আর যেটা বাড়িতে হয় না, না মানে ইস্কুলে গিয়ে যে হম্বিতম্বি দেখান তা তো আর বাড়িতে চলে না ! বউ এর কাছে তিনি অসম্ভব শান্ত নিরীহ গোবেচারা, ওই দিকে ইস্কুলে রঘুনাথ পুরের ভূগোলের সহকারী শিক্ষক বলে কথা ! সেখানে তো আর বউ থাকে না যে মেপে মেপে কথা বলতে হবে ! সেখানে কথা হয় ম্যাপে ম্যাপে, হিমালয়ের উৎস সন্ধান থেকে শুরু করে গুজরাটের কচ্ছের রণে গিয়ে থামেন, গিন্নি সেখানে থাকেন না, থাকে নিজের একটা আস্ত চেয়ার, দুপুরের মালপোয়া ভর্তি টিফিন বক্স, আহা সে যে কি শান্তি ! আর কিছু অনুগত ছাত্রছাত্রী,বাকি কিছু দুষ্টু ছেলেমেয়েও আছে তাদের অবশ্য তিনি হিসেবে ধরেন না বললেই চলে  ৷

সেদিন হয়েছে টা কি, ইস্কুলে তখন ছুটির ঘন্টা বাজলো বলে, বাইরে নেমেছে ঝিরঝির বৃষ্টি! ক্লাস নিয়ে বিশ্ববাবু স্টাফরুমে এসে বসেছেন, সবেমাত্র গল্প জমে উঠেছে, আজকের টপিক ছিল অলিম্পিকে  কি বাঙালির তাস খেলাটা ইনকুলুড করা যায় না? হট টপিক বটে! বাঙালি  তাস খেলায় কতটা এগিয়ে তা কি বিশ্ব দরবারে প্রকাশ পাবে না! সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক পটলাবাবু তো বলেই ফেললেন, দেশ এগোচ্ছে বিশ্বদা, সব কিছু ডিজিটাল, অলিম্পিক এ ডিজিটাল গেম কেন রাখা হবে না বলুন তো প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে? বৃহত্তর আন্দোলন করতে হলে তাও করবো আমরা কিন্তু সুযোগ সবাইকেই দিতে হবে কি বলেন? পাশ দিয়ে পার্শ্বশিক্ষক দিপ্তবাবু তো বলেই উঠলেন কথাটা নেহাত  মন্দ বলেন নি। জানেন ছেলেটা আমার বাড়ি বসে এ কদিন  অনলাইন গেম এ বেশ ইমপ্রুভ করেছে, পাবজি ,ফ্রী ফায়ারে ছেলে আমার সিদ্ধহস্ত। ব্যাস কথার মাঝেই সেই একটা মধুর শব্দ, বিশ্ব বাবু পকেট দিয়ে সযত্নে  আনস্মার্ট ফোনটা বার করে দেখলেন, সেই বহু প্রতীক্ষিত টুং টাং মেসেজ আসার শব্দ, মাসের পয়লা তারিখ, মাইনে এসে গেছে , এবার আর আজকের হট টপিক আলোচনায় বিশ্ব বাবুকে  পায় কে? দেরি না করে  ছাতা হাতে বেড়িয়ে পড়লেন খোশমেজাজে।

হ্যালো,হ্যালো ,শুনছো গিন্নি

মাইনে এসে গেছে,

বৃষ্টি হচ্ছে,

খিচুড়ি বসাও,

বড় সাইজের এক ছাইয়া করে কাটা গঙ্গার  ইলিশ নিয়ে যাচ্ছি,

বুঝলে ? হ্যালো

শুনতে পাচ্ছো ?

ধুর কি বলে ওপাশ দিয়ে বুঝিও না !

বেশ, বাজার এসে গেছি ফোন রাখলাম গো বলে নিজের থেকেই ধুম করে ফোনটা কেটে দিলেন ওদিকের উত্তরের অপেক্ষা না করেই  ৷

বিশ্ব বাবু বগলে ছাতাটা খুঁজে, বাজারে ঢুকেই হাতে একটা ইলিশ তুলে পেটটা বেশ টেপা টেপি করছেন,

ভাই ভালো হবে তো ?

এমতাবস্থায় মাছওয়ালা বেশ গম্ভীর ভাবেই একটু হাল্লা করেই রেগে বললেন দাদা পোয়াতি আছে, বেশি টিপবেন না, এখানেই ডেলিভারী হয়ে যাবে  !

বিশ্ববাবু আবার মাঝে মাঝে রসিকতা ভালোই বাসেন, তিনিও ওমনি বলে উঠলেন বলো কি  ভাই, তা তোমার ওই পোয়াতি গঙ্গা স্নান করে এসেছে তো ?

না দাদা ওটা পরের বার করার প্লান আছে, এইবার পদ্মা ঘুরে এসেছে ৷

এদিকে বৃষ্টির পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই রশিকতায় রাশ টেনে হাজার টাকা কেজি দরের ইলিশটা নেবেন বলে মনস্থির করে বললেন,

তাড়াতাড়ি কেটে দেও ভায়া, ছাতায় আর বৃষ্টি মানছে না যে তারপর পকেট থেকে কড়কড়ি শেষ দু হাজার টাকার নোটটা হাতে নিয়ে এগিয়ে দিতে যাবেন, অমনি এ কি অঘটন - মুখ বাঁধা, লম্বামত একটা বছর আঠাশের যুবক  হঠাৎ কোথা থেকে এসে ছোঁ মেরে চিলের মতো টাকাটা নিয়ে ভোঁ, দে দৌড় !

আরে ধর, ধর, আমার টাকা, ইলিশের টাকা ওটা, ধর, ধর।

মাছওয়ালা  মাছ বঁটি উঠিয়ে বেশ খানিকটা তেড়ে গেলো ছেলেটার পিছনে কিন্তু মুহূর্তে অদৃশ্য হয়ে অন্ধকারে মিশে গেল ছেলেটা, ঠিক যেন এরকমি এক অন্ধকার জীবনে।

বেশ কিছু বাজার করতে আসা মানুষজন ততক্ষনে জড়ো হয়ে গেছে বিশ্ব বাবুকে ঘিরে, বিশ্ববাবু এক নিঃশ্বাসে বাজারের মাঝখানে বসে লম্পট, চোর, পকেটমার যা নয় তাই বলে চিৎকার করে চলেছেন, সবাই প্রায় হতবাক ছিনতাইয়ের কান্ড দেখে, কেউ কেউ আবার খুব সাবধানে নিজের পকেটের মানিব্যাগটি একবার দেখে নিলো,

ধীরে ধীরে ভিড় কমে এলো, বিশ্ব বাবুও মুখ ভার করে বাড়ির পথে পা বাড়ালেন 

আজ আর সাধের পোয়াতি ইলিশ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হলো না, অগত্যা-

গিন্নি অ গিন্নি,

একটু ঝিরি ঝিরি আলু ভাজবে গো !

কটমট চোখে বিশ্ববাবুর গিন্নি বাংলার পাঁচের মতো মুখ করে খিচুড়ি আর ঝিরি ঝিরি আলু ভাজার থালাটা এগিয়ে দিলেন বিশ্ব বাবুর দিকে,


রাত যত গভীর হচ্ছে, বিশ্ব বাবু একবার এপাশ, একবার ওপাশ,

হ্যাগো শুনছো গিন্নি, শুয়ে পড়লে ?

কই গো, মাছগুলো পোয়াতি ছিলো জানো,

গিন্নি, শুয়ে পড়লে !

গিন্নীর সাড়া না পেয়ে বিশ্ববাবু  ইলিশের মায়া ত্যাগ করে একপাশ ঘুরে শুয়ে পড়লেন ৷

পরের দিন সকালে আবার সেই চেনা দৃশ্য,


ঘড়ির কাঁটা নয়ের কাছাকাছি...

গিন্নি, অ গিন্নি আসনটা বিছালে নাকি ?

গিন্নি, অ গিন্নি জলটা  দিলে নাকি ?

গিন্নি শুনছো ডাল বাটার ওপর একটা সবুজ সরু দেখে কাঁচা লঙ্কা গুঁজে দিও, চিবিয়ে চিবিয়ে খাবো।

ও গিন্নি মাছের বড়াটায় আজ বেসন দিও না যেন...

এরপর এই চেনা দৃশ্য মোড়া জীবন কেটে গেছে প্রায় একমাস, আজ আকাশের মুখ সকাল দিয়েই ভার, তার উপরে বাঙালির রবিবার, ভরপেট খেয়ে সদর দরজায় তালা না দিয়েই দুপুরে ঘুমিয়ে পড়েছেন বিশ্ব বাবু, যাকে বলে ভাতঘুম! বয়স বাড়ছে, শরীর আজকাল আয়েস চাইছে বেশি, বৃষ্টি শুরু হয়েছে তুমুল, গাড়ি বারান্দায় বসে এই সময়টা বাড়ির কর্ত্রী “সঞ্চয়িতা” পড়তে বড্ড ভালোবাসেন, তাঁর আবার ভাতঘুমে সময় অপচয় মোটেই পছন্দ নয় !

হঠাৎ সন্ধ্যার নিভু আলোয় “সঞ্চয়িতার” নেশা কাটতে না কাটতেই বিশ্বলোচনবাবুর স্ত্রী দেখলেন একটি ছেলে কাকভেজা অবস্থায় ঘরের সামনে কিছু একটা রেখে সদর দরজা দিয়ে চলে যাচ্ছে বাইরে..

শুনছেন !

কোথায় যাচ্ছেন? কে আপনি? থামুন বলছি, সেকেন্ডের মধ্যেই ভ্যানিশ, তড়িঘড়ি করে বিশ্বলোচনবাবুর  গিন্নি গেলেন বিশ্ববাবুকে ডাকতে,

এই যে শুনছো ?

হুমম!

কি হলো শুনছো?

বলো শুনছি

কেউ একজন গেটের কাছে কিছু রেখে চলে গেল এইমাত্র,

কি! বলে লাফিয়ে উঠলেন বিছানা ছেড়ে বিশ্ববাবু, মানে তুমি তাকে আটকালে না, কি সর্বনাশ! কি সর্বনাশ! আমার তো শত্রুর অভাব নেই গিন্নি, বিস্ফোরক নাকি, কি হবে এবার!

আরে না, না বৃষ্টিতে বিস্ফোরক থাকলে  ভিজে গেছে তো, ভয় নেই, এখন চলো শিগগির !

হুম কথাটা খারাপ বলোনি, আচ্ছা চলো দেখি গিয়ে,


বাড়ির দরজার সামনে একটা ভারী প্যাকেট, ওজন নেহাত কম নয়,সঙ্গে একটা এনভেলপ প্লাস্টিকে মোড়া যাতে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট না হয়।

বিশ্ববাবু এনভেলপ ছিঁড়ে একটি সাদা কাগজে নীল কালি দিয়ে লেখা চিটিটি পড়তে শুরু করলেন এক নিঃশ্বাসে-

প্রণাম নেবেন মাস্টারমশাই,

আমি আপনার এক অধম, অসভ্য, লম্পট ছাত্র ৷

আজ থেকে সতেরো বছর আগে আমাদের ভূগোলের ক্লাস নিতে নিতে আপনি ভারতের বিস্তার পড়াতে গিয়ে আমাদের জীবনে মায়ের বিস্তার যে সবটা জুড়ে  খুব ভালো ভাবে বুঝিয়ে ছিলেন৷ আর বলেছিলেন নিজের  মা আর দেশ মায়ের জন্য জীবন দেওয়াটাও গর্বের, আনন্দের, এই কাজে কখনো যেন পিছপা না হই।

এই সব কথার অর্থ এখন অবধি বিশ্বলোচন বাবুর বোধগম্য হলো না , কিছুক্ষণ থমকে

রইলেন তারপর আবার বুক ভর্তি বায়ু নিয়ে পুনরায় চিঠির বাকি অংশ পড়তে শুরু করলেন,

সেদিন মায়ের শরীরটা খুব খারাপ হয়ে পড়েছিলো, আমার মা দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত, ডাক্তারবাবুর টাকাটা মিটিয়ে দেওয়ার পর জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন কেনার টাকা ছিলো না, প্রায় হাজার দুয়েক টাকা, বাজারে  মাল বইয়ে দেবো বলে অনেককে অনুরোধ করলাম তার বিনিময়ে যদি কিছু টাকা দেয় কিন্তু সেদিন কেউ আমাকে সাহায্য করলো না জানেন, মায়ের সময়ও কমে আসছিলো আমি বুঝতে পারছিলাম, আচমকাই আপনার হাতের টাকাটা,

তারপর চিঠির কিছু অংশ ফাঁকা,

 



পরের অংশে লেখা, আমি মায়ের জন্য জীবন দিই নি কিন্তু ছিনতাই করতে দুবার ভাবিনি, ক্ষমা করতে পারবেন না আপনার এই চোর, ছিনতাইবাজ ছাত্রটিকে? জানেন মাস্টারমশাই আপনার কথা সেদিন রেখাপাত করেছিলো জীবনে, মাকে বাঁচাতে তাই ছিনতাই করাটা আমার কাছে কঠিন ছিলো না একদম৷ কিন্তু  আপনার সব কথা সত্যি নয়, একদিন পিঠ চাপড়ে বলেছিলেন না, এরকম রেজাল্ট করলে একদিন খুব বড় চাকরি করবি, আজ দেখুন না আমার দেওয়া শেষ ইন্টারভিউতে চাওয়া দু লাখ টাকা আমি দিতে পারিনি, আমার উচ্চ শিক্ষার সব ডিগ্রি এখন একটা সামান্য কাগজ, বাবা নেই, জানিনা মা এ যাত্রায় বেঁচে গেলেও আর কতদিন বাঁচিয়ে রাখতে পারবো ,পারলে ক্ষমা করবেন আমাকে, এই একমাসে আপনার দু হাজার টাকা আমি জোগাড় করতে পেরেছি  দিনমুজুর খেটে, এটা ছিনতাইয়ের নয় কারন মা এখন একটু ভালো আছে সেদিনের ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর, সেদিন আপনার যে টাকাটি ছিনতাই করে ধার নিয়েছিলাম, পরে আপনাকে চিনতেও পারি মাস্টামশাই, টাকাটি আজ দিয়ে গেলাম আর সাথে একটা ইলিশ মাছ, বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, আপনি  এসব কিছু নিলে আমার একটু হলেও প্রায়শ্চিত্ত হবে ৷ জানি, আপনার মতো অত বড়ো ইলিশ হয়তো আমি কিনতে পারিনি, তবুও স্বাদ একটু কম হলেও আপনি যদি খান আমার বুকের ভিতর দিয়ে একটা পাথর চাপা কষ্ট একটু হলেও কমবে৷ ভালো থাকবেন মাস্টারমশাই ! আর হ্যাঁ মাস্টারমশাই আপনারা পারেন না বিদ্যালয়ে পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক শিক্ষায় জোর দিতে? তাতে অন্তত আমরা গরীব ঘরের ছেলেরা কিছু করে খাবারটুকু  জোগাড় করতে পারবো, কোর্স করার টাকা সবার যে থাকে না !

ইতি

আপনার গর্বিত চোর ছাত্র

ইলিশটি গিন্নির হাতে তুলে দিয়ে ততক্ষনে বিশ্ব বাবুর চোখ ছলছল করে উঠেছে তারপর একগাল হাসি নিয়ে বিড়বিড় করে বললেন পাগল ছেলে ! এই ইলিশের স্বাদ সেদিনের থেকে তিনগুন বেশি হবে ,তুই বুঝবি না !

তারপর...

তারপর...

সদর দরজায় তালা দিতে দিতে শোনা গেল সকালের সেই চেনা হাঁক ডাক বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায়-


গিন্নি,অ গিন্নি বারোটা বাজাবে নাকি !

গিন্নিঅ গিন্নি কড়া করে ভাজবে আমার পিসটা ,

গিন্নি শুনছো সেদিনের মতো খিচুড়িতে তেজ পাতাটা দিতে ভুলো না যেন,

শুনছো তো না কিইইই...!

| বর্ষ বরণ সংখ্যা-১৪২৯ | aleekpata.com | 29th Edition |

| ALEEK PATA- Your Expressive World |Online Magazine |

| Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |

| Bengali New Year, 2022 | April-June 2022 | Fifth Year Third Issue |

© All Rights Reserved by The Editor and The Publisher |

| a DISHA-The Dreamer Initiative |


No comments:

Post a Comment

Please put your comment here about this post

Main Menu Bar



অলীকপাতার শারদ সংখ্যা ১৪২৯ প্রকাশিত, পড়তে ক্লিক করুন "Current Issue" ট্যাব টিতে , সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

Signature Video



অলীকপাতার সংখ্যা পড়ার জন্য ক্লিক করুন 'Current Issue' Tab এ, পুরাতন সংখ্যা পড়ার জন্য 'লাইব্রেরী' ট্যাব ক্লিক করুন। লেখা পাঠান aleekpata@gmail.com এই ঠিকানায়, অকারণেও প্রশ্ন করতে পারেন responsealeekpata@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

অলীক পাতায় লেখা পাঠান