গল্প
‘সি.এ’ এবং সুপারম্যান
অমিত কুমার জানা
Image Source : Internet |
সৌরেন এবং বিকাশ বাল্যকাল
থেকেই বেশ সৎ এবং সমাজপ্রেমী। সৌরেন বিকাশের থেকে দু বছরের ছোট হলেও বাল্যকাল থেকে ওদের
মধ্যে বেশ বন্ধুত্ব।
দুজনেই বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছে। সৌরেন বাইক চালানোয় খুব এক্সপার্ট, আবার
বিকাশের কম্পিউটার ও স্মার্টফোন নখদর্পনে। সৌরেন এখন দ্বাদশ শ্রেণীতে পিওর সায়েন্স নিয়ে পড়ছে এবং
বিকাশ সদ্যে কেমিস্ট্রিতে অনার্স পাশ করে নিজের বাড়িতে একটা ছোটখাটো ল্যাবরেটরি
বানিয়েছে।
সৌরেনের বাড়ি বিকাশের বাড়ি থেকে মাত্র দু কিমি দূরে।
সৌরেন মাঝেমধ্যেই বিকাশের
ল্যাবে চলে আসে।
রসায়নের প্রতি তার তীব্র আকর্ষণ, কিন্তু তার
মাথায় কিছু ঢোকে না।
বিকাশের অনুপস্থিতিতে যখনই তার মনে হয় সে একাধিক রাসায়নিক দ্রবণ টেস্ট টিউবে
মিশিয়ে কি হয় তা পরীক্ষা করে।
এদিন বিকাশ সৌরেনকে বললো, "তুই এখানে থাক আমি একটু বাজার থেকে ঘুরে আসি।" এই
সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে সৌরেন ভিনিগার এবং সুক্রোজের দ্রবণ কিছুটা নিয়ে টেস্ট টিউবে
নিয়ে তাতে কিছুটা ডিস্টিল্ড ওয়াটার মিশিয়ে গ্লাস রড দিয় নাড়াচ্ছিল। কিছুক্ষণ
পরে সে দেখতে পেলো টেস্ট টিউবের তলায় ধূসর বর্ণের একটা পদার্থের থিতিয়ে পড়েছে। সে
তৎক্ষণাৎ টেস্ট টিউবের উপরিভাগের জলীয় অংশটা ফেলে দিল এবং থিতিয়ে পড়া পদার্থটাকে
ডিস্টিল্ড ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে ফেললো। তারপর ভয়ে ভয়ে ঐ পদার্থের সামান্য অংশ আঙুলের ডগায় নিয়ে
জিভে ঠেকালো। কি
অদ্ভুত এর স্বাদ নোনতা-মিস্টি। এরপর সে রিস্ক নিয়েই এক চামচ খেয়ে ফেললো।
কিছুক্ষণ পর বিকাশ বাজার থেকে
ফিরে এসে দেখলো সৌরেন ল্যাবরেটরিতে চেয়ারে বসে আছে,তার
সারা শরীর বেয়ে ঘাম পড়ছে।
তার চোখ মুখ রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। বিকাশ বললো, "কি রে তোর
কি হয়েছে? আর টেস্ট টিউব নিয়ে কি করছিলি? তোকে কতবার বলেছি যে আমার পারমিশন ছাড়া যা তা করবি না।"
বিকাশের এই শেষ কথাটা
শোনামাত্র সৌরেন তার গালে সপাটে এক চড় মারলো। বিকাশ ছিটকে গিয়ে পড়লো দশ হাত দূরে,সে এখন বেহুঁশ। প্রায় ছয় ঘন্টা পর তার জ্ঞান ফিরলো। সে দেখলো সৌরেন তার পাশে দাঁড়িয়ে। সে বললো, "সরি বিকাশদা, আমি তোমাকে
এক চড় মেরেছি। সো
সরি।"
বিকাশ উঠে দাঁড়িয়ে শান্তভাবে
সৌরেনকে জিজ্ঞেস করলো, "তুই টেস্ট টিউবে কি করছিলি
ভাই।"
বিকাশ এখন সৌরেনের হাতের নাগালের বাইরে ,কেননা এখনো
তাই ভয় কাটেনি।
সৌরেন অঙ্গুলি নির্দেশ করে
বললো যে সে ঐ দুটো বোতলের বিকারক মিশিয়ে টেস্ট করছিল এবং এক চামচ খেয়ে ফেলেছিল। বিকাশ তার
রিস্ট ওয়াচের দিকে তাকিয়ে দেখলো ঘটনাটা ঘটেছে আনুমানিক ছয় ঘন্টা আগে। অর্থাৎ
বিক্রিয়াজাত যে পদার্থটি সৌরেন খেয়েছিল সেটা তার শরীরে ছয় ঘন্টা ধরে কাজ করছিল। এখন
সৌরেনের অবস্থা স্বাভাবিক কিনা জানতে বিকাশ তাকে এক চড় মারলো,সৌরেন অতি শান্তভাবে বললো, "দাদা
ভুল হয়ে গেছে।"
বিকাশ বললো, "ভুল নয় রে, ভুল করতে করতে
তুই যে কতবড় ঠিক এবং প্রয়োজনীয় কাজ করেছিস তা তুই আন্দাজ করতে পারছিস না। মনে হচ্ছে
আমরা দুজনে এবার মেদিনীপুর শহরের অনেক অসামাজিক কাজ বন্ধ করতে পারবো, রেড এলাকায় রাতের অন্ধকারেও কিছু অমানুষ পাশবিক কাজ করতে ভয়
পাবে।
একদা শান্তির শহরে আবার শান্তি ফিরে আসবে।"
সৌরেন যেন দুর্বোধ বালকের মতো
গল্প শুনছিলো এতক্ষণ।
এরপর সে বাড়ি চলে গেলো।
এদিকে বিকাশ বিক্রিয়াজাত ঐ
পদার্থটি নিয়ে পরীক্ষা করতে লাগলো। বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষার পর সে
বুঝতে পারলো যে পদার্থটির নাম 'সেলুলোজ
এ্যসিটেট'। সে সংক্ষেপে এর নাম রাখলো সি.এ। তারপর সে
রাত জেগে সি.এ-এর থার্টি পারসেন্ট এ্যকুয়াস সলিউশন তৈরী করলো।( তিরিশ ভাগ
সি.এ + সত্তর ভাগ ডিস্টিল্ড ওয়াটার)।
পরদিন সকাল দশটার দিকে বিকাশ
ঔষধ দোকান থেকে বেশ কয়েকটা সিরিঞ্জ কিনে আনলো। এগুলো তার
কাজে লাগবে।
এরপর সে দশ এম.এল(m।) সি.এ-এর
সলিউশন নিয়ে নিজের হাতের শিরায় ইন্জেক্ট করলো।
ল্যাবরেটারির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে ফেললো। আগে থেকেই
শক্তি পরীক্ষার জন্য সে ল্যাবে কয়েকটা কাঠের ফালি, কাঠের
অব্যবহৃত চেয়ার মজুত রেখেছিলো।
পাঁচ মিনিটের মধ্যে তার দেহ
মন যেন অফুরন্ত শক্তিতে ভরপুর হয়ে উঠলো। সারা দেহ ঘর্মসিক্ত। এখন তার
ইচ্ছা শুধু বিধ্বংসীকে ধ্বংস করা, নিষ্ঠুরতাকে
শেষ করা।
বাল্যকালের জমানো ইচ্ছেগুলো পূরণের জন্য সে উত্তেজিত হয়ে উঠলো। অথচ সে তার
মস্তিষ্কের নির্দেশ মেনেই কাজ করতে চাইছে, অর্থাৎ
এমতাবস্থায় মস্তিষ্ক সচল আছে। আর তার মন চাইছে অসহায়কে নিঃসংকোচ
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। সে উত্তেজিত হয়ে উঠে দাঁড়িয়ে পড়লো, তারপর পর পর দু ঘুসিতে দুটো বাঁশকে ভেঙে ফেললো নিমিষেই। তাতেও তার
বল প্রয়োগের নিবৃত্তি মিটলো না। সে দুই কনুই এবং হাতের আঘাতে একটা
পুরানো চেয়ারকে টুকরো টুকরো করে ফেললো। এবার কিছুটা স্বস্তি পেলো। তারপর সে
আগের রাতে তৈরী করা সি.এ-এর এ্যন্টিডোট খেয়ে নিলো। পাঁচ
মিনিটের মধ্যে তার শরীর এবং মন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলো। একটা জিনিস
ভেবে তার অবাক লাগছে যে সি.এ নেওয়ার পর একজন মানুষের আঘাতজনিত সহ্য শক্তিও
ধারনাতীত বেড়ে যায়, শুধু তাই নয় পরবর্তীকালে ব্যাথাও
থাকে না।
তবে হাড় বা মাংসপেশীতে ক্ষত হলে এর পরিণাম কি হবে তা এখনো পরীক্ষণীয়।
এরপর সে সৌরেনকে রাত আটটটার
মধ্যে ল্যাবরেটারিতে ফোন করে ডেকে নিলো। সৌরেন তার 'দুশো
কুড়ি সিসি'-এর পালসার নিয়ে হাজির হলো। মাথায়
হেলমেট পরা।
বিকাশ তাকে বললো, "আজ থেকে 'অসামাজিকতা দূরীকরণ মিশন' শুরু। এই মিশনের
প্রধান কাণ্ডারী তুই, আর নিয়ন্ত্রক আমি। এই মাস্কটা
রাখ, এটা পরে রাত দশটার আগে রেডি হতে হবে।"
সৌরেন পুরোটা বুঝতে পারছিলো
না।
বিকাশ বললো, "রাতের শহরে কিছু মদ্যপ অসভ্য যুবক
মুখে মাস্ক পরে চেন ছিনতাই, মেয়েদের
শ্লীলতাহানি, লুটপাট করেই চলেছে। অথচ পুলিশ
প্রশাসন কিছু করতে পারছে না বা ইচ্ছাকৃতভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সমাজের
প্রতি আমরা দায়বদ্ধ, তাই আজ থেকেই আমরা দু জন এই
স্বেচ্ছাচারিতা মুছে ফেলার অভিযান শুরু করবো। তোর কাছে
থাকবে মেটাল ডিটেক্টর, হেলমেট, মুখে
মাস্ক, মোটা নাইলনের দড়ি, মনে অসীম সাহস আর শরীরে অপ্রতিরোধ্য শক্তি। আর এই
শক্তির জোগান দেবে 'সি.এ' এর
সলিউশন।
বিশেষ করে বীরেন্দ্র সেতুর আগে মোহনপুরে প্রতিদিন কিছু মদ্যপ বাইকার যা কান্ড করে
তাতে সাধারণ মানুষ নাজেহাল হয়ে উঠেছে। আর আজ ওখান থেকেই শুরু হবে অভিযান।"
এবার সৌরেনের শিরায় শিরায় যেন
উষ্ণ শোণিত প্রবাহিত হতে লাগলো। আবেগময় উত্তেজনায় তার হৃদস্পন্দন
খানিকটা বৃদ্ধি পেলো।
পৌনে দশটার সময় বিকাশ সৌরেনকে
দশ মিলিলিটার সি.এ-এর সলিউশান ইন্জেক্ট করলো। এরপর তাকে
বললো , "আমি যা নির্দেশ দেবো তা তোকে মানতে
হবে। ইজ
দ্যাট ক্লিয়ার?"
..."ইয়েস
বস।"
এবার বিকাশ সৌরেনকে মাস্ক এবং
হেলমেট পরিয়ে দিলো।
সঙ্গে দিলো স্মার্টফোন এবং ব্লুটুথ হেডফোন। পিঠে একটা ব্যাগ। সৌরেন তার
প্রিয় পালসার গাড়িতে স্টার্ট দিলো,গাড়ি ছুটছে
মোহনপুরের দিকে ।
বাইকের এতো স্পীড শহরবাসী বোধহয় ইতিপূর্বে কারোর দ্যাখেনি। কিন্তু
নিখুঁত ড্রাইভিং, সৌরেন তো রোমাঞ্চিত এবং বিস্মিত। পনেরো
মিনিটের মধ্যে সে গন্তব্যে পৌঁছে গেলো। সে দেখতে পেলো সত্যিই তো তিনজন যুবক বাস স্টপেজে
অপেক্ষারতা দুটো মেয়ের সাথে কটূক্তি করেই চলেছে। একটা মেয়ে
যেই প্রতিবাদ করেছে,অমনি এক যুবক তার ওড়না টেনে ফেললো। স্টপেজের
উল্টোদিকে রাস্তার ওপারে দুটো পান দোকান। কিন্তু কারোর মধ্যে প্রতিবাদ করার
ইচ্ছা পরিলক্ষিত হলো না।
এবার সৌরেনের চোখদুটো লাল হয়ে
উঠলো,শরীর অসীম শক্তি। সে বাইক
দাঁড় করিয়েই ঐ যুবকটাকে একেবারে শূন্যে তুলে আছড়ে ফেললো স্ট্রিট লাইটের নীচে। তা দেখে
বাকি দুজন ষণ্ডামার্কা যুবক ক্রোধে ক্ষেপে উঠে বললো, "এই
তুই কে রে? তোর এতো সাহস! "
ওদের হুশিয়ারি শেষ হতে না
হতেই সৌরেনের দুটো ঘুসির আঘাত পড়লো দুই যুবকের মুখমন্ডলে। ওদের নাক
দিয়ে রক্তধারা বেয়ে পড়লো। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুজনের তলপেটে আরো দুটো ভয়ানক ঘুসি যা
ছিল অসহ।
এখন তিনজন যুবক রাস্তার পাশে কাতরাচ্ছে।
এই সময় বিকাশের ফোন। সৌরেন
রিসিভ করতেই বিকাশ পরবর্তী কাজের নির্দেশ দিলো। সৌরেন বললো, "ওকে বস"।
পরদিন সকালে আনন্দবাজার
পত্রিকার মেদিনীপুর পেজের শিরোনাম: এম.এলের ছেলে রকি সহ আরো দুজন যুবককে বাঁধা
অবস্হায় খড়্গপুর থানার সামনে পাওয়া গেছে। তারা এখন পুলিশি হেফাজতে। এম.এলের
বাড়ি মেদিনীপুর শহরে। অনেক অভিযোগ সত্ত্বেও পুলিশ রাজনৈতিক চাপে পড়ে রকি এবং তার
সাঙ্গপাঙ্গকে গ্ৰেফতার করতে পারেনি। কিন্তু খড়্গপুর থানার এ.এস.পি
কোনরকম রাজনৈতিক ভয়ের তোয়াক্কা না করে ওদের গ্ৰেফতার করেছে। কেননা
দড়িতে বাঁধা অবস্থায় একটা লিফলেট পাওয়া গেছে যাতে লেখা আছে " আশা করি এই
অমানুষদের বিরুদ্ধে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেবে।"
এ.এস.পি মেদিনীপুর কোতয়ালী
থানায় ফোন করে কনফার্ম হয় যে সত্যিই ওরা অপরাধী এবং ওদের নামে থানায় নানান অভিযোগ
রয়েছে।
এদিকে এম.এল.এ সাহেব মেদিনীপুর
পুলিশকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, "যে আমার
ছেলের এই অবস্থা করেছে তাকে একদিনের মধ্যে খুঁজে বের করো।"
কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে যা
পেলো তা বড়ো অদ্ভুত। যে ছেলেটা ঐ তিন অপরাধীকে পিটিয়েছিলো তার বাইকের নাম্বার
প্লেট নেই।
তাকে সনাক্তকরণ করা সম্ভব হলো না কারণ তার মুখে মাস্ক এবং মাথায় হেলমেট পরা ছিলো। পুলিশ ঐ
এলাকার দু একটা দোকানী এবং লোকজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো যে সুপারম্যান টাইপের
ঐ ছেলেটাকে চেনা অসম্ভব ছিল। দু একজনের মতে "তাছাড়া ও যা
করেছে ভালোই করেছে।
মেয়ে দুটোর আত্মসম্মান রক্ষা করেছে। ভগবান ওর মঙ্গল করুক।"
পরদিন রাতের ঘটনা। মেদিনীপুর
শহরের নতুন বাজারের গলিতে "সনকা জুয়েলারিতে" কয়েকজন ছিনতাইবাজ এসেছিল
রাত দশটা নাগাদ।
অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জুয়েলারির প্রায় সমস্ত গহনা ব্যাগে ভরে ফেলেছিল। ঠিক তখনই
সেখানে আবির্ভাব হয় সুপারম্যানরূপী সৌরেনের। সৌরেনের ঘুসির আঘাতে ছিনতাইবাজরা
এখন মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। জুয়েলারির মালিক সৌরেনকে ধন্যবাদ
জানিয়ে জিজ্ঞেস করে, "তুমি কে বাবা? পরিচিতি জানালে খুশি হতাম।"
সৌরেন বললো, " আমার পরিচয় জানালে আমি বিপদে পড়বো এবং আপনারাও সুরক্ষিত
থাকতে পারবেন না।"
এই বলে সৌরেন ল্যাবরেটারিতে ফিরে আসে।
এম.এল.এ-এর বেয়াদপ ছেলে এবং
তার সাঙ্গপাঙ্গরা এখন কারাবাসে। আর মেদিনীপুর শহর এখন আগের মতোই
শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরে পেয়েছে।
মেদিনীপুর পুলিশ ঐ
সুপারম্যানের খোঁজে ব্যস্ত। কিন্তু তাকে খুঁজে বের করা যে বড়ই
কঠিন।
তাছাড়া আপামর জনতা তাকে এখন সাপোর্ট করছে। সবার মুখে এখন সুপারম্যানের জয়জয়কার।
বিকাশ সৌরেনকে বললো, "তুই তো এখন শহরের রক্ষাকারী, শহরের
আগন্তুক দেবদূত।"
সৌরেন বললো, "আমি নই তুমি এবং 'সি.এ' সলিউশন।"
| ALEEK PATA- Your Expressive World | Online Magazine |
| Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |
| Bengali New Year 2024 | April-24 | Seventh Year First Issue |
| © All Rights Reserved by The Editor and The Publisher |
| Published By : Aleek Publishers- www.aleekpublishers.com |
| a DISHA-The Dreamer Initiative |
No comments:
Post a Comment
Please put your comment here about this post