নদী কথা
তীর্থঙ্কর
সুমিত
মুহুর্তের সঙ্গে মুহূর্ত মিশে
গেছে ;
রূপকের চারুলতা ...
যেমনভাবে নদী মেশে সাগরে
তর্জনীর চিৎকার আজ
ভেসে গেছে নদী স্রোতে
কথার পাহাড়-
ভোরের সূর্য কঠিন বাস্তব
সূত্রের সূত্র
আজ অঙ্কে মশগুল।
নদী কথা
তীর্থঙ্কর
সুমিত
মুহুর্তের সঙ্গে মুহূর্ত মিশে
গেছে ;
রূপকের চারুলতা ...
যেমনভাবে নদী মেশে সাগরে
তর্জনীর চিৎকার আজ
ভেসে গেছে নদী স্রোতে
কথার পাহাড়-
ভোরের সূর্য কঠিন বাস্তব
সূত্রের সূত্র
আজ অঙ্কে মশগুল।
শৈশব
শুভ্রব্রত
রায়
শৈশবের দিন গুলি আসবে না আর
ফিরে,
আজ সেইগুলি রয়েছে স্মৃতিতে
ঘীরে,
শৈশব পেরিয়েছে কারোর হাসি
আনন্দে,
আবার, কিছু বাল্য
শৈশবের দিন কেটেছে নিরানন্দে।
যাদের কষ্টের জীবন পার হয়েছে
অতীতে,
তাদের আনন্দের দিন আসবে ভবিষ্যতে,
শৈশব জীবনে কেউ ছিল দুরন্ত,
তেমনি অনেকেই ছিল শান্ত।
দুষ্টুমিতে ভরা জীবন ছিল এই
শিশুবেলা,
পূর্ণ স্বাধীনতায় কাটতো
আনন্দের খেলা।
ছেলেবেলায় থাকে না কোন
চিন্তাভাবনা,
সবাই শৈশবে পেলে খুশি খেলনা।
কখনোই ভোলা যাবে না সেই
শৈশবের রঙিন দিন,
জীবনের স্মৃতিতে মোড়া থাকবে
চিরকালীন।
ভালোবাসা
অভিষেক ঘোষ
অনুমান করো দেখি কেমনে সে
হাওয়া...
বয়ে নিয়ে ভালোবাসা, করে
আসা-যাওয়া !
সুবিমল, সুশীতল
বাতাসের ছোঁয়া,
মৃদু ওড়ে কেশরাশি, কাপে ওঠে
ধোঁয়া !
তোমার না বলা কথা, বয়ে নিয়ে
কানে
আপনি মেলাই সুর, যোগ করি
গানে ।
খন্ড স্মৃতি এলোমেলো, উপল-চূর্ণ
তারা
বয়ে আসে নদী স্রোতে, ভাবাবেগে
হারা !
অক্ষর প্রেম
সুদীপ পাঠক
দিনের শেষে
কবিতা এসে
বলল কানেকানে
দেখো আমায়
পাঠিয়েছিলে
সম্পাদকের কাছে
এবার কেমন
পৌঁছে গেলাম
পাঠকের দরবারে ।
পড়বে সবাই ,
বাসবে ভালো !
আদর পাবো বলছ ?
সার্থক তবে
জন্ম আমার
তোমার লেখনী
হবে ধন্য ।
আলো
রতন বসাক
পাতার ফাঁকে আসছে আলো
দিচ্ছে দিবাকর,
সেই আলোটাই পড়ছে দেখো
বিশ্বে সবার ঘর।
ধনী গরিব বিভেদ ভুলে
আলো দিয়ে যায়,
এই জগতে সেইতো শুধু
সবার ভালো চায়।
বারো ঘন্টা আলো দিয়ে
আরাম করে নেয়,
ফিরে এসে জীব জগতে
নতুন আশা দেয়।
এমন ভাবে চলছে খেলা
দেখা যাচ্ছে রোজ,
কেমন করে হচ্ছে এসব
নিতেই হবে খোঁজ।
বসন্তের
দোলা
অসীম কুমার
চট্টোপাধ্যায়
বসন্ত এসে দোলা দেয় হৃদয়ের বন্ধ দরজায়
বুকের পাঁজরে ঘেরাটোপের ভেতর
ঘুমিয়ে থাকে ফেলে আসা দুরন্ত প্রেম।
শীতে কুন্ডলী পাকানো সরীসৃপ
উষ্ণতার ছোঁয়ায় যেভাবে বেরিয়ে
আসে নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে
আমার সুপ্ত প্রেম জেগে ওঠে
সকাল আর সন্ধ্যায় দয়াময় দেবতার নামে।
প্রেমের কি বয়স হয় ?
দেহের হয় জানি।
প্রেম কি জানে দেহের বয়স কত ?
দিনের শেষে লাল সূর্যটা
পশ্চিম আকাশ থেকে
যেভাবে নিঃশব্দে নেমে যায়
ঠিক সেই ভাবে প্রেম কি দেহ
ছেড়ে নেমে যেতে পারে ?
আমি এখনো প্রেমে পড়ি
তবে এই প্রেম দেহের নয় আত্মার।
পরম পিতার সাথে মিলনের আকুতি
নিয়ে
বেঁচে থাকে প্রেম।
এখন কালবেলা
রঞ্জন
চক্রবর্ত্তী
উদাসীন দেয়ালে মরচে ধরা
পেরেকে ঝুলছে বিবর্ণ মানচিত্র
কিছু অস্পষ্ট সীমানা নির্দেশ, কিছু
নিষ্প্রভ মুখের সারি
গোটা মানচিত্র জুড়ে স্পষ্ট
শুধু নদী আর রেল লাইন
আশে-পাশে আর কোনও চিহ্ন আঁকা
নেই,
পুরো ব্যাপারটা ঠিকমতো বুঝে
ওঠার আগেই
পড়ন্ত বিকেলের গায়ে আবছা
অন্ধকার মাখিয়ে দিচ্ছে কেউ
গাঢ় কুয়াশা ধীরে ধীরে ঢেকে
ফেলছে তোমাকে,
রোজ তোমার এভাবেই চোখের
আড়ালে চলে যাওয়া —
এই ঘটনার পর ভেঙে যাচ্ছে
পারস্পরিক সংযোগের সেতু
পরিচিত এলাকা ছেড়ে চলে যাব
এবার অনিবার্য কারণবশত
কানা গলিটার মুখে জরাজীর্ণ
পাথরের ফলকে লেখা থাকবে —
‘একদা এখানে তিনি থাকতেন।’
অসমাপ্ত
পদ্যসমগ্র
বিকাশ মন্ডল
ভাব ও ভাবনাগুলি, কথা ও
কাজগুলি
মিলেজুলে এই আমি। অহমিকা।
যাপন।
ভাঙি। বিশ্লেষণ করি। দেখি
কোনো দ্যুতি
বের হয় কিনা। প্রতিটি
মুহূর্তের মুখ, তাপ
ও বিভা অনুভবে আসে।তাকে
শব্দে
অনুবাদ করি। মালা গেঁথে রাখি।
কবিতায়।
মন ভরে যায়
জোবাইদুল ইসলাম-(বাংলাদেশ)
মন ভরে যায় আকাশ দেখে
ভরা সাদা মেঘে,
মন ভরে যায় বাতাস দেখে
ছুটে ভীষণ বেগে।
মন ভরে যায় পাখি দেখে
উড়ে আকাশ নীলে,
মন ভরে যায় যখন দেখি
আকাশ ভরে চিলে।
মন ছুটে যায় যখন তখন
ঐ নদীটির তীরে,
যেথায় আছে শাপলা-শালুক
নদীর পানি ঘিরে।
মন ভরে যায় ফসল দেখে
মাঠে মাঠে ভরা,
মন ভরে যায় ছন্দ মালায়
লিখি নতুন ছড়া।