অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি



। । "অলীক পাতা শারদ সংখ্যা ১৪৩১ আসছে এই মহালয়াতে। । লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ ই আগস্ট রাত ১২ টা ।.."বিশদে জানতে ক্লিক করুন " Notice Board ট্যাব টিতে"

Showing posts with label মুক্ত গদ্য. Show all posts
Showing posts with label মুক্ত গদ্য. Show all posts

Friday, August 30, 2019

মুক্ত গদ্য-ভালোবাসা'র সাতকাহন-সম্পা দত্ত

ভালোবাসা'র সাতকাহন

সম্পা দত্ত

চিত্র ঋণঃ লেখিকার মাধ্যমে অর্পিতা


ভালোবাসা,চারটি অক্ষর বড়োই যন্ত্রণা
শীত কালীন অধিবেশন মুলতবি রেখে__ভালোবাসা প্রবলভাবে প্রকট হচ্ছে___ভালোবাসার বহিঃ প্রকাশ  ঘরের কোন ছেড়ে ময়দানে নেমেছে__আহা মরি মরি সুন্দরী___ভ‍্যালেনটাইন ডে এখনো একমাস দেরী___এক একটি ডাচ_চাইনিস_টিনি_মিনি_জংলী গোলাপ উঁকি ঝুঁকি মারছে __কখন কোন প্রেমিক প্রেমিকার মনের কোণে__ তুমুল বৃষ্টি ঝরিয়ে হৃদয় জুড়ে প্রতিক্ষণে হারাই হারাই করে খোঁপা তে গুঁজে ____লন কিংবা লেকের ধারে পা গুটিয়ে মেকি ভালোবাসার মিষ্টি মিষ্টি বুলি আওড়াতে আওড়াতে ভিজিয়ে দিবে___

ভোগানভেলিয়ার তখনই রুপের আগুন ধরিয়ে 
প্রেমের দাপাদাপি করছে ___অন্তাক্ষরি খেলছে প্রেম প্রেম পাগলামী করা কিছু প্রেম পর্যায়ে দাদরা তালে___
দ্রুত লয়ে___আরোহ _অবরোহ_মীড়_পকড়ে___সোসালমিডিয়াতে লাইভ শো চলছে___
খমক_গিটকিরি_ঠুংড়ি_ঠেকা_তবলা লহরীর ঝাঁপতালে___
পৌষের কড়া রোদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সৎসাহস নেই বুড়ো শিমূলের____
"বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রৌ"
পর্ণমোচী শিমূল হলদে পাতা ঝরাতে ব‍্যস্ত___ঠিক তখনই মরশুমি ফুলের উপর ভ্রমরের গুঞ্জনে প্রজাপতির আনাগোনা____

প্রজাপতি জানেনা মরশুমি ফুলের স্থায়ীত্ব ক্ষনিকের___রুপের হাটের সুন্দর সওদাগর তারা___বসন্তে শিমূল একবুক ভালোবাসা নিয়ে, লাল টুকটুকে নববধূর সাজে ভালোবাসার সিম্ফনির টুংটাং শব্দে পিয়ানোর সুরে জলতরঙ্গে জলছাপ নিয়ে শরীরি বিভঙ্গে হেঁটে চলে যায়____
 Back to Index

















            

















Sunday, March 31, 2019

মুক্ত গদ্য -বসন্ত-কথা -শম্পা সান্যাল


বসন্ত-কথা 

শম্পা সান্যাল


ছয় ঋতুর মাঝে গ্ৰীষ্মের দাপট, বর্ষার মাস্তানি অতিক্রান্ত শরৎ-হেমন্ত-শীত নিজ নিজ আচরণ সেরে ফেলতে না ফেলতেই তোমার আগমণ, হে বসন্ত। ঋতুরাজ যে-রাজকীয় প্রবেশ।‌‌‌ এসেই বলো যাই, যাই।  কোকিলের কলতান,
ভ্রমরের গুঞ্জন, রামধনু রঙে সাজিয়ে রাখা যে আয়োজন!
সেতো কেবল তোমার জন্য, ঋতুরাজ!
দখিনা বাতাসে-
-কেন পাই উষ্ণ দীর্ঘশ্বাস!
-বেনে-বৌ খোঁজে কেন .....
 -উথাল পাথাল হৃদয় নিয়ে কেন কাঁদে সে?
আমার মন কেমন করে।
-তবু এসো, ঋতুরাজ।
যৌবনের ধ্বজা উড়িয়ে, ছড়িয়ে দাও
তোমার সাতরঙা মন
সবখানে, সবখানে।
প্রতীক্ষার অবসানে এবারো মিলেছি, জানি হারিয়ে যাবে। যে পরশটুকু পেলাম, আগলে নিয়ে বাঁচবো, থাকবো অপেক্ষায়।

অনেক গুলো বসন্ত পেরিয়ে এসে মনে আসে, আরো একটি বসন্ত পেরিয়ে গেলাম তবে।
http://aleekpatamagazine.blogspot.com/2019/03/index-spring-number-2019.html

































আজকের ভাবনা -প্রয়াস- ঊর্মিমালা মজুমদার

প্রয়াস.. 

ঊর্মিমালা মজুমদার


মস্ত পুকুরটার পাড় ঘেঁষে সহস্র মানুষের ঢল।সদ্য তুলে আনা,সাদা থান পরা সিক্ত দেহটাকে ঘিরে অস্বস্তিকর জটলা।মেয়েটির বয়স বছর কুড়ির কম বৈকি বেশি নয়।মুখখানা লাল সিঁদুরে মাখামাখি।কানাঘুষো ফিসফিসানি, বিধবার সধবা সাজার সাধ জেগেছিল।মুহূর্তে যেন ঢাকের বাদ‍্যি,কাঁসর ঘন্টা, সিঁদুর খেলা,সুসজ্জিত মাতৃ মন্ডপ, প্রতিটি দৃশ্যকে রিওয়াইন্ড করে ফিরে গেলাম কয়েক ঘন্টা আগের অবস্থানে। মা কে বরণ করা, সিঁদুর খেলা এই সব কিছুর ফাঁকে, সবার থেকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি নিষ্পাপ,অমায়িক মুখ আমি লক্ষ্য করছিলাম অনেক্ষণ যাবত।সধবাদের আচারের মাঝে তার যোগদান করা নিষিদ্ধ। সেটি সে মেনেও চলছিল।কিন্তু হঠাৎই মায়ের বিগ্রহের সম্মুখে এসে পড়ায় ছিটকে গেলেন অনেকেই। বাড়ির বড়রা একরকম তাকে ধমকে, ঘরে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন।কাঁদতে কাঁদতে মন্ডপ ছেড়ে ছুটে বেরিয়ে গিয়েছিল মেয়েটি। সেই শেষ দেখা তার সাথে।কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকি। গ্রামের বাড়িতে এসেছি পূজোর ছুটি কাটাতে।তাই বিশেষ কাউকেই চিনিনা। পরে শুনেছিলাম ফুলপিসিমার গ্রাম সম্পর্কের আত্মীয়া ও। মায়ের বিসর্জনের পরে পরেই আবার একটি বিসর্জন। মায়ের আলতা রাঙা পা দুখানি আমাদের গৃহখানি ত‍্যাগ করে সত‍্যি সত্যিই যেন কোন সূদুরে পাড়ি দিলো।কেউ একজন ছুটে এসে খবর দিলো, মাকে বরণের পর অন্যান্য উপকরনের সাথে যে সিঁদুরের রেকাবিটা রাখা ছিলো ওটা ঘরের মেঝেতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।সবার মুখে মুখে তখন একটাই আলোচনা, এই পাগলীরই কান্ড এসব।সিঁদুরের লোভে পাপ করল আর সেই পাপেই নাকি ওর এমনভাবে অপমৃত্যু হল।কিন্তু মায়ের পায়ের আশীর্বাদি সিঁদুরে তো সবার সমান অধিকার।তাহলে সমাজের এমন অদ্ভূত নিয়ম কেন? একবারও কি মেয়েটিকে পাগলী বলে সম্মধোনের আগে তার মনের যন্ত্রনাগুলোকে উঁকি মেরে কেউ দেখার চেষ্টা করেছে? বিসর্জন মানে তো সব কিছুর শেষ হয়ে যাওয়া নয়, বিসর্জন মানে তো নতুন করে অর্জন করা। কিন্তু নানা কারণে আমাদের দেশের কোটি কোটি মেয়ের বিসর্জন হয় প্রতিদিন।তৎক্ষণাৎ স্হির করলাম, আজ থেকে আর শুধু নিজের জন্য নয়,বাঁচবো সকল মা বোনেদের জন্য।প্রয়োজনে মুখোমুখি প্রতিবাদে সোচ্চার হবো আবার কখনো বা কাগজে কলমে প্রকাশিত হবে আমার প্রতিবাদের প্রয়াস।
http://aleekpatamagazine.blogspot.com/2019/03/index-spring-number-2019.html
















মুক্ত গদ্য-আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে -কৃষ্ণা সাহা


আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে 

কৃষ্ণা সাহা



           বসন্তের এক পড়ন্ত বিকেলে ব‍্যালকনির এককোনে বসে রমা....ওই দূরে কিছুটা

ঝাপসা শিমুল গাছটার দিকে চোখ পড়তেই জীবনের ফেলে আসা প্রথম বসন্তের

অনুভূতির স্মৃতির পাতায় হারিয়ে গেল।স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে সদ‍্য কলেজের

গন্ডিতে পা রেখেছে রমা। একটু লাজুক একটু দুঃসাহসী ভাব চরিত্রে এসেছে।

কৌতুহলটা ও বেড়েছে ভীষণ ভাবে। পাশের বাড়ির রঞ্জন সেই ছোট্টবেলার খেলার

সাথী। কখনো আলাদা করে ভাবেনি ওকে। অথচ কদিন হলো একটু লজ্জা লজ্জা করতে

লাগছে ওকে দেখে।ওর সান্নিধ্য। কেন এমন হচ্ছে ? রমা ঠিক বুঝতে পারছেনা।



            সেদিন ফাগুন মাসে চারদিক ফাগের নেশা। গাছে গাছে ফাগের রঙে

রাঙিয়ে শিমুল,পলাশ, মন্দার।রমার কাছে যেন অনেক বেশি লাল মনে হলো।

কোকিলের কুহু তান অনেক বেশি মিষ্টি। বসন্ত-বৌড়ি কাছে পেতে মন চাইলো।
তাহলে কি রমার জীবনে বসন্ত আগত ? জীবনের প্রথম বসন্ত ? তবে কি তার জীবনের
বসন্তের দূত...... রঞ্জন ?



             একদিন ফাগুনের ঠিক এমন পড়ন্ত বিকেলে সূর্য যখন পশ্চিম

আকাশে সিঁদুরে লাল নববধূর কপালে টিপের মতন। চারদিকে একটু বেশি লাল আভার বিচ্ছুরণ।


ঠিক তখন নদীর ধারে রঞ্জনের সাথে দেখা।রমা যেন আজ রঞ্জনকে নুতন

ভাবে আবিষ্কার করলো।সে আজ আর সেই ছোট্টবেলার খেলার সাথী বালক রঞ্জন

নয়।তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক সুপুরুষ স্বপ্নের রাজকুমার দীঘল

চাহনিতে।রমার আজ হঠাৎ খুব লজ্জা লজ্জা করতে লাগলো।সারা শরীরে শিহরণ
বিদ্যুৎ গতিতে খেলে যাচ্ছে। বুকের ভিতর ধুকপুকানি ক্রমশঃ দ্রুত হচ্ছে।
কেন এমন হচ্ছে? তবে কি এটাই বসন্ত? একেই প্রেম বলে?



          রঞ্জন রমার হাত ধরলো রমাকে কাছে টেনে নিয়ে বললো..." রমা !

আমি রঞ্জন। কেবল মাত্র তোর রঞ্জন।রমা কিছুই বলতে পারলোনা। মন্ত্র মুগ্ধের

মত যুবক রঞ্জনের বাহুডোরে যুবতী রমা বাঁধা পড়ে গেল যৌবনের প্রথম বসন্তের
শুভ ক্ষনে।রমা তার জীবনে বসন্তের দূতের মতো রঞ্জনের অনুপ্রবেশকে অস্বীকার
করে কি করে।সেতো জড়িয়ে আছে নিঃশ্বাসের প্রশ্বাসের মূহুর্তে।



            সেই থেকে একে একে পঞ্চাশটা বসন্ত দুজনে পার করে ফেলেছে

অবলীলায়।কত পলাশ কত শিমুলেরা ঝরেছে ধরনীর মাটিতে। বসন্ত-বৌড়ি কোকিলেরা

বসন্তের আগমন বার্তা বয়ে এনেছে। তরুণ-তরুনীরা মেতেছে ফাগের খেলায়
উত্তাল হয়েছে তারুণ্য ফিরে ফিরে।



        রঞ্জনের ডাকে রমা সম্বিত ফিরে পেয়ে মনে মনে হাসে। কোথায়

হারিয়ে গিয়েছে সে। বড়ই ভালো লাগছিল ফেলে আসা বসন্তের আঙিনায় বিচরণ

করতে। পঞ্চাশ বসন্ত পার করে এলেও এখনো রঞ্জনের সাথে বসন্ত উৎসবে
মাতোয়ারা হতে রমার ভালই লাগে।ফেলে আসা তারুণ্যে হারিয়ে যায়।বার বার
তাই মনে হয়..."আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে "।
http://aleekpatamagazine.blogspot.com/2019/03/index-spring-number-2019.html






















Main Menu Bar



অলীকপাতার শারদ সংখ্যা ১৪২৯ প্রকাশিত, পড়তে ক্লিক করুন "Current Issue" ট্যাব টিতে , সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

Signature Video



অলীকপাতার সংখ্যা পড়ার জন্য ক্লিক করুন 'Current Issue' Tab এ, পুরাতন সংখ্যা পড়ার জন্য 'লাইব্রেরী' ট্যাব ক্লিক করুন। লেখা পাঠান aleekpata@gmail.com এই ঠিকানায়, অকারণেও প্রশ্ন করতে পারেন responsealeekpata@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

অলীক পাতায় লেখা পাঠান