অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি



। । "অলীক পাতা শারদ সংখ্যা ১৪৩১ আসছে এই মহালয়াতে। । লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ ই আগস্ট রাত ১২ টা ।.."বিশদে জানতে ক্লিক করুন " Notice Board ট্যাব টিতে"

Showing posts with label 20th Edition. Show all posts
Showing posts with label 20th Edition. Show all posts

Wednesday, October 2, 2019

সম্পাদকীয়- শারদ সংখ্যা ১৪২৬ (III RD Yr. III RD Issue-XXTh Edition)


সম্পাদকীয়

শারদ সংখ্যা -২০১৯



শরতের  আকাশে কখনও কালো গম্ভীর  ঘনঘটা, আর কখনও বা পেঁজা তুলোর লুকোচুরির মাঝে বর্ষা ঠিকঠাক বিদায় নেবার আগেই এসে হাজির বাঙালির প্রানের উৎসব-  শারদোৎসব, ১৪২৬, আবার কিছুদিনের ছুটি ব্যস্ত জীবন বহন থেকে, ছুটি - দুঃখ, বেদনা, নিরাশা থেকে, মেতে ওঠা আনন্দে, কারণ আমাদের ঘরের মেয়ে উমা আসছেন তাঁর পিত্রালয়ে, তাই, মেয়েকে হাসিমুখে বরণ করতে  আমাদের সকল হতাশা, দীনতা কে কাশফুলের আর শিউলির গালিচা দিয়ে ঢেকে  আমরা প্রস্তুত। 

 একই ভাবে অলীকপাতাও সেজে উঠেছে, মেতে উঠেছে সৃষ্টি যজ্ঞে, মায়ের জন্য এই আমাদের  প্রাণের অর্ঘ্য , অলীকপাতা পরিবারের সকল সদস্য সদস্যা মিলে একসাথে যত্ন সহকারে সাজিয়ে তুলেছেন এই অর্ঘ্যের ডালি, মেলে ধরেছেন তাঁদের মননের ও সৃষ্টি সত্বার মাধ্যমে, তাঁদের সৃষ্ট রূপকথা, এবং 'চুপকথা' রা মিলে ঝলমলিয়ে দিয়েছে অলীকপাতার প্রতিটি পাতা।

এবারের অলীকপাতা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে আরো অনেক বৈচিত্র্য ,  পুরনো সদস্যদের সাথে যোগ দিয়েছেন অনেক নতুনরাও, নুতন পুরাতন সকল সদস্যদের আমরা জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ। 

এবার আসি পাঠক পাঠিকাদের কথায়, কারণ এই সমস্ত কর্মকাণ্ড বিশেষ করে আপনদের জন্যই, যিনি লেখক তিনিও পাঠক, আর, বিশুদ্ধ পাঠক তো আছেনই, সমস্ত ' লেখক পাঠক' এবং 'পাঠক পাঠক' দের কাছে আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ রইল সব কয়টি সৃষ্টির স্বাদ আস্বাদন করতে, আর, অবশ্যই লিখুন আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে, কারণ আপনাদের সুচিন্তিত মতামতই আমদের একমাত্র পারিশ্রমিক।

পুজো ভালো কাটান , ভালো থাকুন, সৃষ্টিতে মাতুন।

আজ আসি
ইতি- স্বরূপ চক্রবর্তী
হারিদ্বার
২/১০/ ২০১৯



পড়ার জন্য ক্লিক করুন এখানে





অণুগল্প-ইচ্ছে পূরণ- সিলভিয়া ঘোষ


ইচ্ছে পূরণ


সিলভিয়া ঘোষ




Photograph: Silvia Ghosh:: Editing: Swarup Chakraborty

রথযাত্রার দিন বাগ বাজার, শোভাবাজার, আহিরীটোলার গঙ্গার ঘাটে শ'য়ে শ'য়ে লোকের ভীড় হয়। তাদের মধ্যে কুমারটুলির মৃৎ শিল্পীর সংখ্যাই বেশি হওয়া সত্ত্বেও   মফঃস্বলের মৃৎ শিল্পীরাও ঐ দিন গঙ্গার ঘাটে ভীড় করেন না এমন নয়। তেমনই  গঙ্গারামপুরের মতো  শহরতলীর  একদল  মৃৎশিল্পী ঐ দিন যান ভোর ভোর স্নান করে গঙ্গা মাটি সংগ্রহ করে  আনতে। কাঠামোতে  মাটি পড়বে, শুরু হবে প্রতিমা গড়ার কাজ। মাস তিনেক লাগে  স্থানীয়  বারোয়ারী  ঠাকুর তৈরী করতে। এ চত্বরে  কুঞ্জ পালের  নাম ডাকই বেশি।  তবে,  কানাই,  মদন, কার্তিক পালের ও যে নাম নেই তা নয়,  তবে হাতের  সূক্ষ্ম  কাজের জন্য  কুঞ্জ পালেরই সেরা।  এ বছর  তিন তিনটে বারোয়ারী পুজোর  বায়না নিয়েছে সে। তিনমাসের মধ্যে তা শেষ করতে হবে। মালা, অবশ্য  হাত লাগাতে চায় এ কাজে, কারণ ছোটবেলায়  কুমারটুলিতে  বাপ,  দাদাদের সাথে  পাল্লা দিয়ে সে  নিজেও কত মা দুগ্গার  ছোট ছোট  পুতুল গড়েছে, চোখ এঁকেছে, শাড়ী পরিয়েছে। সে সব দিন কবে  চুকেবুকে গেছে তার। আজ সে মাটি  দিয়ে নতুন নতুন পুতুল গড়ে   যা  দূর থেকে   চেয়ে চেয়ে মনে মনে তারিফ করতে  থাকে , তা বলে  মেয়  মান্সের হাতে মা দুগ্গা সাজবে!
বারোয়ারী পূজার  পল্টু দেখতে আসে  প্রতিমা কতদূর তৈরী হয়ে ছে... সে   তো পুরো  অবাক।    এবারের  পুজোতে  তারাই পাচ্ছে  শারদীয়ার  সেরা পুরষ্কার। যখন  সে দেখে এবং শোনে হঠাৎ করেই  কুঞ্জ পাল  স্ট্রোক হয়ে মারা গেছেন। তার জায়গায় মালা পাল  অনেক কুসংস্কার, অনেক বাঁধা পেরিয়ে হাতে তুলে  নিয়েছেন রঙ,  তুলি,  স্প্রে,  ড্রায়ার।  স্বামীর দেওয়া  কথা রাখতেই মূলতঃ তিনি এ কাজে নামেন। বাকী রইলো তার অনেকদিনের ইচ্ছা  যা পূরণ করতে মন প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন, তবেই না তার ইচ্ছে পূরণ   হবে!
 


| Aleekpatamagazine.blogspot.in |
  | Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |
|ALEEK PATA-The Expressive World |Online Magazine |
|a DISHA-The Dreamer Initiative |
|Special Puja Issue,2019 | September-October, 2019 |
| Third Year Third Issue |20Th Edition|
|© All Rights Reserved By The Editor and The Publisher |



 Return To Home Page

















কবিতা-নদী -হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়


নদী

হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

 
Picture Courtesy: Pinterest.com

নদী আমার মায়ের নামে নাম
নদী নানা কথকতায় ভরা
নদী আমার ঘরে ফেরার ডাক
জন্মগ্রামের হৃদয় ভরা সুর ।

নদী তুমি আমাকে ভাই বলো
আমরা দুজন কতদিনের চেনা
সাতসকালে আমরা দুজন উঠে
হারিয়ে গেছি মাচানতলার বাঁকে ।

নদী তোমার দুঃখ আছে জানি
কে-ই বা তোমায় ডাকলো আপন করে
আমি তোমার চিরকালের সাথী
যখন তখন আমার ঘরে এসো ।

নদী আমার হৃদয় জুড়ে গান
গানের কথা তোমার শরীর জুড়ে
তুমি যখন আপন ধারায় চল
আমি তখন সুরের ধারায় ভাসি ।

নদী তোমায়, তোমার মতো চিনি
জীবন থেকে মৃত্যু জুড়ে আলো
তবুও সবাই বন্যা বলেই ডাকে
তোমার যেন অন্য নাম নেই ।


| Aleekpatamagazine.blogspot.in |
  | Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |
|ALEEK PATA-The Expressive World |Online Magazine |
|a DISHA-The Dreamer Initiative |
|Special Puja Issue,2019 | September-October, 2019 |
| Third Year Third Issue |20Th Edition|
|© All Rights Reserved By The Editor and The Publisher |





কবিতা -সবুজের প্রশ্নে-হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়


সবুজের প্রশ্নে


হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়






সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার ভেতর
একটুকরো চিঠি .........।" কাল এসো । "
বিছানার এককোণে আছে পড়ে
কখন সে এল, কোন পথ দিয়ে গেল চলে
একজনও তা জানে না


ব্রিজের মাথায় দাঁড়িয়ে থাকি
চারপাশ শুধু হলুদ আর হলুদ
কে এসে দাঁড়াবে এখানে, কোন ভরসায় ?
কে দেবে তাকে সাহস পথ চলার ?
তাকিয়ে থাকি পথের দিকে
আসে কে? দেখি চলে যায় সবাই
কে আসে এখানে ? কোন ভরসায় ?
তবু দাঁড়াই, দাঁড়িয়ে থাকি
ভরসার পালে দিতে হাওয়া


একটুকরো সবুজও চোখে পড়ে না
সে এসে দাঁড়াবে কোথায় ?
কোথায় এসে রাখবে নিজেকে ?
কোন মুখে দাঁড়িয়ে থাকি,
সবুজের প্রশ্নে কী উত্তর হবে ?

 | Aleekpatamagazine.blogspot.in |
  | Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |
|ALEEK PATA-The Expressive World |Online Magazine |
|a DISHA-The Dreamer Initiative |
|Special Puja Issue,2019 | September-October, 2019 |
| Third Year Third Issue |20Th Edition|
|© All Rights Reserved By The Editor and The Publisher |






গল্প- চিরন্তন সম্পর্ক -জ্যোতিকা পোদ্দার


চিরন্তন সম্পর্ক

জ্যোতিকা পোদ্দার
Collage Swarup Chakraborty


দৃশ্য ১

রাত দশটা বেজে গেল তনিমা এখন ও বাড়ি ফিরল না, গভীর চিন্তায় পড়ে গেলেন প্রণতি দেবী। খোকা ও বিদেশে গেছে দুবছরের জন্য প্রজেক্টের- কাজ নিয়ে। গোটা বাড়িতে তিনি আর তনিমা এখন একা। সকাল দশটা বাজতে না বাজতেই  মেয়ে অফিসে চলে যায়। প্রতিদিন মোটামুটি রাত আটটার মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসে তনিমা ।এত দেরি তো কখনো হয়না! বারবার ফোন করছেন, ফোন ও সুইচড অফ বলছে।
এত বড় দায়িত্ব জ্ঞানহীন মেয়ে! প্রনতি দেবী বুঝতে পারছেন না কী করবেন এখন,_ শুধু ঘর বার করছেন।নিজের বড়দিকে ফোন করতে যাবেন ই ভাবছেন ,এমন সময় বাড়ির সামনে অটো এসে দাঁড়ালো। অটো থেকে নামল তনিমা। দরজা খুলে প্রচন্ড রেগে প্রণতি দেবী  তনিমা কে বললেন,-"নিজে তো ফিরতে দেরি হবে জানিয়ে ফোন করলি ই না, উল্টে আমি বারবার ফোন করছি ,কিন্তু ফোনটা সুইচ অফ করে রেখেছিস।বলি তোর ব্যাপারটা কি? আমার বাড়িকে কি হোটেল ভেবে রেখেছিস যে ,যখন খুশি আসবি,_যখন খুশি যাবি; চলবে না ,এইসব বলে দিলাম।"
তনিমা ছুটে এসে প্রণতি দেবীকে জড়িয়ে ধরে বলে, "মা ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিল, আর তোমার প্রেসারের ঔষধ টা আমার অফিসের পাশের দোকানে পেলাম না ।একটু দূরে যেতে হল। তাই দেরি হয়ে গেল, রাগ করোনা মা প্লিজ"!
তার ঔষধ আনতে গিয়ে দেরি হয়েছে শুনে প্রনতি দেবীর রাগ একটু কমলো।  তিনি বললেন_ "যা তাড়াতাড়ি হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়। আমি খাবার গরম বসাচ্ছি"।

দৃশ্য ২

সকাল সাড়ে নটা। তনিমা আর প্রনতি দেবীর মধ্যে খাওয়া নিয়ে যুদ্ধ চলছে। তনিমা কিছুতেই খেতে চাইছে না , প্রণতি দেবী জোর করে আর একটা রুটি দিলেন। বললেন -"শিগগিরিই এই রুটিটা খেয়ে নে ;অফিসে গিয়ে তো আর তেমন কিছুই খাবি না, টিফিনটাও আধা দিন পুরো খাস না এইটুকু না খেলে চলে"। বলে জোর করে রুটির টুকরোটা মুখে তুলে দিলেন।তনিমা প্রণতি দেবীর  কথা ফেলতে পারে না ;খেয়ে নেয় ।আর হেসে  বলে _"খাইয়ে খাইয়ে তুমি আমাকে এমন মোটা করে দেবে যে, তোমার খোকা এসে আর আমাকে চিনতেই পারবে না "_এই বলে হাসতে হাসতে অফিস চলে যায়।
দৃশ্য

প্রণতি দেবী বারান্দাতে এলে পাশের বাড়ির সেনগিন্নি বললেন,- "কাল তনিমাকে দেখলাম অনেক রাত করে বাড়ি ফিরলো,দিনকাল ভালো নয়। মেয়ে মানুষ, বদনাম ছড়াতে কতক্ষণ"! এতক্ষণ চুপ করে সব শুনছিলেন প্রণতি দেবী, আর থাকতে না পেরে বললেন,"তনিমা আমার খুব দায়িত্ব জ্ঞান পূর্ণ মেয়ে ;ওর প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা_ বিশ্বাস_ ভরসা সব আছে। কেউ যদি ওর বদনাম করে ,সেটা তার ব্যাপার, আমার কিছু যায় আসে না"।শুনে সেন গিন্নি মুখ বেঁকিয়ে ভেতরে চলে গেলেন ।মনে মনে বললেন-"আজকাল কার দিনে লোকের ভালো করতে নেই"।

দৃশ্য ৪

ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ছে। এদিকে রান্নার দিদি বৃষ্টির জন্য বিকেলে কাজে আসতে পারেনি। প্রণতি দেবী ই রাতের রান্না করতে রান্না ঘরে ঢুকলেন। প্রনতি দেবী মনে মনে বললেন-"আহা ! মেয়েটা সকালবেলায় নাকেমুখে কোনমতে  দুটি গুজে অফিসে দৌড়ায়; ভালোমতো খেতেও পারে না ।আজ বরং  ওর জন্য খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজা করি। বড্ড ভালোবাসে"।
খোকার বাবা গত হবার পর থেকে আমিষ ছেড়েছেন প্রনতি দেবী। মাছ-মাংস ছোন পর্যন্ত না। রান্নার দিদি  ই সব আমিষ পদগুলি রান্না করে। আর তনিমা বাড়ি থাকলে তনিমাই  বানায়। আজ আবার অনেকদিন পর নিজে হাতে আমিষ রান্না করলেন তিনি। পরম মমতায় ডাইনিং টেবিলে রাতের খাবার সাজালেন প্রণতি দেবী। কাকভেজা হয়ে তনিমা ঘরে ঢুকতেই ইলিশের গন্ধ নাকে এলো। হাতমুখ ধুয়ে তাড়াতাড়ি খেতে বসে গেল ‌ আজ রান্নায় অপূর্ব স্বাদ পেল।বুঝল এই রান্না ,রান্নার দিদি নয় মা বানিয়েছেন তার জন্য। খাওয়া শেষে প্রণতি দেবীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেলো তনিমা। প্রণতি দেবী কপট বিরক্তিতে বললেন-"ছাড় পাগলী"।

দৃশ্য ৫

বিকেল থেকেই প্রণতি দেবীর শরীরটা ভাল লাগছিল না। ও তেমন কিছু নয় বলে নিজেই নিজেকে প্রবোধ দিলেন। তনিমা অফিস থেকে ফিরলে দুজনে রাতের খাওয়া শেষ করলেন। অন্যদিন খাওয়ার পর মা-মেয়ে দু'জনে বসে একটু গল্প করেন। আজ আর গল্প না করে প্রণতি দেবী তাড়াতাড়ি শুতে চলে গেলেন। তনিমা পিছু ডেকে জিজ্ঞাসা করল-"মা তোমার কি শরীর খারাপ লাগছে"? প্রনতি দেবী উত্তরে হেসে মাথা নেড়ে বললেন -"ও তেমন কিছু না"। প্রণতি দেবীর চলে যাওয়ার দিকে তনিমা গভীর ভাবে তাকিয়ে রইল।

দৃশ্য ৬

হঠাৎ মাঝ রাতে বুকে প্রচন্ড চাপ অনুভব করে ঘুম ভেঙে গেল প্রণতি দেবীর। বুকে অসহ্য কষ্ট হচ্ছে । তনিমা কে যে ডাকবেন সেই গলার জোর পর্যন্ত নেই। চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করলেন ।জ্ঞান হারাতে লাগলেন। পুরোপুরি জ্ঞান লুপ্ত হওয়ার আগের মুহূর্তে মনে হল যেন, তনিমা তাকে ঝুঁকে পরে দেখছে। আর কিছু মনে নেই প্রনতি দেবীর।
জ্ঞান ফিরে দেখলেন হসপিটালের বেড়ে শুয়ে আছেন তিনি। পাশে বিধ্বস্ত ভাবে তনিমা বসে।  কেঁদে কেঁদে চোখ মুখ লাল। অন্যপাশে ডাক্তারবাবু দাঁড়িয়ে।প্রণতি তার দিকে তাকাতেই ডাক্তারবাবু বললেন -"আর ভয়ের কোন কারণ নেই ।এ যাত্রায় আপনি বেঁচে গেলেন। তবে তনিমা দেবী, আপনি যদি ঠিক সময়ে ওনাকে হসপিটালে না আনতেন ,তবে যে কোনো অঘটন ঘটতেই পারত"-এই বলে ডাক্তারবাবু চলে গেলন।
 তনিমা আর নিজেকে সামলাতে পারল না;-হাউমাউ করে কেঁদে ফেলল। বলতে লাগলো-" তোমার শরীর খারাপ লাগছিল কেন বললে না?রাত্রিবেলায় আমি যদি তোমার ঘরে না যেতাম, তাহলে কি হতো ? তুমি আর সোমু ছাড়া আমার আর কে আছে ?তোমার যদি কিছু হয়ে যেত তাহলে সোমুকে আমি কি জবাব দিতাম? আমি তোমার নিজের মেয়ে নই বলে কি ,আমাকে তোমার মনের কথা বলা যায় না"?
প্রণতি দেবী তনিমার  হাত দুটো ধরে বললেন-" ধুর পাগলী !তুই তো আমার মেয়ের থেকেও বেশি রে'!
মনে পড়ে গেল, তিন বছর আগের কথা, যখন সোমু মানে তার ছেলে সোমনাথএসে বলেছিল, ক্রিশ্চান মিশনারীতে  মানুষ পিতৃ-মাতৃ পরিচয়হীন তনিমাকে সে বিয়ে করতে চায়। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবাই না করেছিল। বলেছিল যে, বাপ মার পরিচয় হীন মেয়ে পরিবার সম্বন্ধে কি জানে? কোনো দায়িত্ব নিতে  পারবে না।  এ বিয়ে  সুখের  হবে না।
প্রথমে  প্রনতি দেবীর মনও  দ্বিধাগ্রস্থ ছিল। কিন্তু ছেলে  সোমুর  মুখের দিকে তাকিয়ে ,তিনি তনিমাকে পুত্রবধূ বলে মেনে নিয়েছিলেন।
 আজ বুঝলেন, তিনি সেদিন কোন ভুল করেননি,তনিমা কে  পুত্র বধূ করে। টক-মিষ্টি স্বাদে ভরা তার‌ আর তার পুত্রবধুর সম্পর্কটি বড়ই সুস্বাদু।
আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে ফেলেছেন যে ,প্রণতি দেবী আর তনিমা হল ,শাশুড়ি -বৌমা ।আর তাদের সম্পর্ক হল, বিনি সুতোয় গাঁথা এক চিরন্তন সম্পর্ক।।

।। সমাপ্ত ।।


| Aleekpatamagazine.blogspot.in |
  | Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |
|ALEEK PATA-The Expressive World |Online Magazine |
|a DISHA-The Dreamer Initiative |
|Special Puja Issue,2019 | September-October, 2019 |
| Third Year Third Issue |20Th Edition|
|© All Rights Reserved By The Editor and The Publisher |






















কবিতা-ফেরিওয়ালা - ফিরোজ আখতার


ফেরিওয়ালা

ফিরোজ আখতার

Image Courtesy: Google Image Gallery




নিঝুম দুপুরে
যে ফেরিওয়ালা'র হাঁক
জাদুকরের জাদু'র থেকে
কোন অংশে কম না

কিন্তু,
কোন জাদুকরই আমাকে
ছোটবেলায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে না

ফেরিওয়ালা এখন
অনলাইন মার্কেটিং-এর পিদিমে বন্দী






| Aleekpatamagazine.blogspot.in |
  | Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |
|ALEEK PATA-The Expressive World |Online Magazine |
|a DISHA-The Dreamer Initiative |
|Special Puja Issue,2019 | September-October, 2019 |
| Third Year Third Issue |20Th Edition|
|© All Rights Reserved By The Editor and The Publisher |





























কবিতা-অতল - মৌসুমী চৌধুরী


অতল

মৌসুমী চৌধুরী


Image Courtesy: Google Image Gallery:: Collage: Swarup Chakraborty



ফুল-লতাপাতা আঁকা তোরঙ্গ থেকে
উঠে আসছে তোমাকে লেখা চিঠিগুলো।
ইথার তরঙ্গে ভেসে আসছে ক্ষয়াটে শব্দেরা।
উথলে উঠছে  নদীকথার সুগন্ধি পংক্তিরা
বাতাস বিলাপ করে  মন...

শুধু বর্ণমালা ছেঁচে উঠে আসে
একটি কথা, এক অক্ষর-শ্বাস...
যার কম্পিত থরো থরো চূড়ে
জমাট বাঁধে আল্পসের বরফ।
যার অতল আহ্বানে
জেগে রয় হাজার অমরাবতী।

দুয়ারে দিয়েছো কাঁটা
কোথায় দাঁড়াই আমি......?



| Aleekpatamagazine.blogspot.in |
  | Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |
|ALEEK PATA-The Expressive World |Online Magazine |
|a DISHA-The Dreamer Initiative |
|Special Puja Issue,2019 | September-October, 2019 |
| Third Year Third Issue |20Th Edition|
|© All Rights Reserved By The Editor and The Publisher |





















Main Menu Bar



অলীকপাতার শারদ সংখ্যা ১৪২৯ প্রকাশিত, পড়তে ক্লিক করুন "Current Issue" ট্যাব টিতে , সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

Signature Video



অলীকপাতার সংখ্যা পড়ার জন্য ক্লিক করুন 'Current Issue' Tab এ, পুরাতন সংখ্যা পড়ার জন্য 'লাইব্রেরী' ট্যাব ক্লিক করুন। লেখা পাঠান aleekpata@gmail.com এই ঠিকানায়, অকারণেও প্রশ্ন করতে পারেন responsealeekpata@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

অলীক পাতায় লেখা পাঠান