অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি



। । "অলীক পাতা শারদ সংখ্যা ১৪৩১ আসছে এই মহালয়াতে। । লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ ই আগস্ট রাত ১২ টা ।.."বিশদে জানতে ক্লিক করুন " Notice Board ট্যাব টিতে"

Showing posts with label 22nd Edition. Show all posts
Showing posts with label 22nd Edition. Show all posts

Saturday, April 25, 2020

গল্প-ঘর আপন-আপন ঘর- সান্ত্বনা দাস


ঘর আপন  আপন ঘর
সান্ত্বনা দাস
অলঙ্করণঃ মিঠুন দাস

সুবোধ চেঁচিয়ে স্ত্রীকে  বলল 'কাল থেকে কিছুদিন অফিস বন্ধ সুজাতা, দেশের পরিস্থিতি খুব ভালো নয়।'  'ও তাই বুঝি, আমার ভাল হল সকালে তাড়াহুড়ো করতে হবে না।' পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনে সুজাতার বড় অনুযোগ ছিল স্বামী সবসময় অফিসের কাজে ব্যস্ত, একদম ছুটি পায়না। বড় কর্পোরেট অফিসে চাকরি, উঁচু পদ। মুখ বুজে সব মেনে নেয় সুজাতা।
        সুজাতা চা নিয়ে ঘরে ঢুকল, বলল 'ভালই হল, একসঙ্গে বসে চা খাওয়াপরে'।দু'দিন কেটে গেল সুবোধের শুয়ে ঘুমিয়ে। তিনদিনের দিন উঠে বাইরে বেরলো। হাঁটতে হাঁটতে মোড়ের মাথায় পৌঁছনো। দু'জন ক্লাবের ছেলে এগিয়ে এল, 'সুবোধদা অফিস ছুটি তো?
-“হ্যাঁ গো”।
-“বেরিয়েছেন যে? কিছু দরকার?
-“না না রাস্তাটা দেখতে বেরোলাম”।
-“দয়া করে বাড়ি চলে যান, ঘর থেকে দেখুন”।
ছেলেদের উক্তি।
সুবোধ বাড়ি এল। সুজাতা বাসন মাজছে, তারপর রান্না করবে। কাজের দিদি আসছে না। দেখে সুবোধ ঘরে এল। সামনে একটা বই খুলে ঝিমোতে লাগল।
খবরের কাগজ, টিভি র খবর শেষ। খাবার ‌টেবিলে একজন ক্লান্ত একজন বসে বসে বিরক্ত। বেশী কথা হল না।
একদিন পরে আবার সুবোধ বেরোল। দু'টো বাড়ীর পরেই অতীন বাবুর বাড়ী। ভাবল একটু গল্প করে আসি।অতীনবাবু বারান্দায় বসা, গেটে তালা দেওয়া।
-“কি অতীন বাবু কি করছেন ?হাঁক দিল সুবোধ” ।
-“যা দু"একটা লোক যাচ্ছে দেখছি”, অতীন বাবু উত্তর দিলেন।
-“চাবিটা একটু খুলুন, বসি”, সুবোধ বলল। বিব্রত মুখে অতীনবাবু বললেন, “চাবিটা খুঁজে পাচ্ছি না”।
বাড়ী ফিরল সুবোধ। দেখল বৌ বাসন মেজে রান্না বসিয়েছে, মুখ গম্ভীর। সুবোধকে দেখে ফোঁস করে উঠল সুজাতা “রাস্তায় না ঘুরে কড়াটা হাঁড়িটা একটু সাবান ঘষে দিতে পারতো”।
সুবোধ উত্তর দিল,“আমি কি ওসব পারি নাকি!”
    সেদিন একসঙ্গে লাঞ্চ খাওয়া হল না। ষষ্ঠদিনে অশান্তির মেঘ কালো হয়ে উঠল। সুজাতা মাকে ফোন করল “মা আমাকে নিয়ে যাও”।
মায়ের উত্তর সুজাতার আশাপ্রদ লাগল না। মা বলল “কি করে যাব? গাড়ীতো বন্ধ”, “তাছাড়া জামাইতো ভাল ছেলে, একটু বুঝে থাক মা”।
মনে মনে আর কখনো বাপেরবাড়ি যাবেনা প্রতিজ্ঞা করল সুজাতা। পরে দিদিকে ফোন করল, “জামাইবাবুকে বল আমাকে বাইকে করে তোর কাছে  নিয়ে যাবে”।
       দিদির উত্তর, “ও বাবা! এখন বেরোলে রাস্তায় পুলিশ ধরবে”।সুজাতা উকিলবাবুকে ফোন করল সুবোধকে ডিভোর্স করবে মনস্থ করে। উকিলবাবু আশাব্যঞ্জক কিছু বললেন না। এখন নাকি কোর্টের কাজ হবে না। রেগে গিয়ে সুজাতা সুবোধকে বলল “অগ্নি সাক্ষী করে সাতপাক ঘুরে তোমার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে, এই গ্যাসের সামনে এই পোড়া হাঁড়ি কড়া ছুঁয়ে তোমায় ডিভোর্স দেব”।
    ঐ কড়া আর সুজাতার হাত একসঙ্গে সুবোধ ধরল। তারপর অনভ্যস্ত হতে কড়া আর সাবান কলের তলায় দিল।
          তারপর থেকে ওদের অশান্তি আর কেউ শোনেনি। এখন চা আর খাবার ওরা একসঙ্গেই খায়। মা, দিদি ফোন করেছিল। সুজাতা বলেছে অফিস খুললে সুবোধ ওকে নিয়ে যাবে।
| Aleekpatamagazine.blogspot.in |
  |ALEEK PATA-The Expressive World |Online Magazine |
| Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |
| Special Lock-down Issue,2020 | April 2020 |হাসিরাশি সংখ্যা।
।নববর্ষ ১৪২৭| Third Year Fifth Issue |22nd Edition|
|© All Rights Reserved By The Editor and The Publisher |
|a DISHA-The Dreamer Initiative |

 সূচি পত্র / Index















গল্প-লকডাউন- শম্পা সান্যাল


লকডাউন
শম্পা সান্যাল
অলঙ্করণঃ মিঠুন দাস

তোমার এতো কথা কেন শুনি!
‘মানে?’
‘সারাদিন আমি বাড়িতে কি করছি না করছি, কি দরকার সবাইকে বলার?
‘ওমা! এতে দোষের কি আছে! করো বলেই বলতে পেরেছি! কেন? কি হয়েছে কি তাতে?’
‘ছাদে গেছি তো পাশের বাড়ির সরকারবাবু বলছেন-‘খুব কাজটাজ হচ্ছে শুনলাম!’
বললাম-‘হ্যাঁ, ঐ একটু; সময়‌ কাটাতে আর তাছাড়া মালার একার পক্ষে এখন তো আর সবকাজ করা...’
‘তাই শুনে তো আমার গিন্নি  আমাকে অষ্টপ্রহর আপনার গুণকীর্তন করে খোঁটা দিচ্ছে মশাই, গৃহযুদ্ধ বাধাচ্ছেন তো!’
-‘হাঃ হাঃ হাঃ আমি তাহলে আপনার মাথা ব্যথার কারণ এখন?’
-‘দেখুন মশাই ওসব মেয়েলী কাজ আমার আসে না, সোজা কথা। আপনার গিন্নিকে একটু বলবেন তো’
-‘সরকারদা বললেন?’
-‘তা নয়তো কি?’
-‘চোখ নেই? দেখতে পায়না ভেবেছো?  মোটেও আমার বলার জন্য বলেনি’
-‘তুমি তোমার কথাবার্তা বন্ধ রাখোতো; যেটুকু দরকার সেটুকুই বলোনা’
-‘হ্যাঁ সারাদিন মুখ বন্ধ করে গাধার খাটুনি খেটে যাই- বলেছি তো বেশ করেছি’
-‘হ্যাঁআআ! বারণ করছি কিনা’
বহুদিন পর দুজনে, একান্তে। অজান্তে, কি, জেনেবুঝেই হোক্ একটু প্রগলভতা করেই ফেললাম। 
-‘আরে! মনে নেই, বিয়ের সময় কি বলেছিলাম দু'জনে?’
-‘ক্বিইই!’
‘দোষ ঢাকবো, গুণ প্রকাশ করবো’,কি বলেছিলাম না? তুমি না বললে কি হবে, আমি তো...’
-‘থামো তো’ 
-‘থামবো না! " হাম্ তুম্ এক্ কামরে মে ...”
-‘আঃ! আস্তে! কি হচ্ছে কিইইই!’
-‘আস্তে বললে কানে যাবে!’

ধুত্তোর! বিরক্ত হয়ে চলে আসি।  করোনা না মরোনা। চিনের সস্তা মালের মতো রোগটাও ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। বন্দী জীবন যাপন এখন। এরমধ্যে স্বরূপের বায়না দেখো! কে স্বরূপ? সে আছে একজন, ঠেলার জ্বালায় মরছি সকলে, আর, বলে কিনা একটা লাফিং ক্লাব খুলতে চাইছে। সত্যি বলতে, শুনেই কিন্তু একটু হাসি পেয়েই যাচ্ছে! ক্লাবে যোগ দিতে যেতে হবে না, অনলাইনে হাসবে সবাই। ভিডিও কনফারেন্স হবে সকাল ছ'টায়। তখন সবাই হাঃ হাঃ, হি হি, খ্যাক্ খ্যাক্  যেভাবে ইচ্ছে হেসে যাও। হেসেই যাও। শরীর, মন সব নাকি একদম তরতাজা হয়ে যাবে! ঠ্যাকা পড়েছে আমার! তখনই জম্পেশ ঘুমটা আসে! যার ইচ্ছে যোগ দিক্। সোজা কথা আমি ঐ লাফিং ক্লাবে নেইই। মনমেজাজ মোট্টে ভালো নেই। ছেলেমেয়ে, আত্মীয়-বন্ধু সবার চিন্তায় রয়েছি।এখন এই হাসি ঠাট্টা! আসে কোত্থেকে কে জানে!
     'দিন ধরে ভাবছি, এই যে চাইনিজ মালটা বিশ্ব বাজারটাকে গিলতে চাইছে, তার জেরে লকডাউন। জন্মে এ জিনিস দেখিনি। প্রত্যেকটা মানুষ সন্দেহজনক অত‌এব নো এন্ট্রি এবং নো আউটডোর বিজনেস। দেখতে দেখতে মনে এলো, আচ্ছা! একটা রচনা লিখতে যদি বলি, লকডাউন-আশীর্বাদ না অভিশাপ!? 
একটা বাঁধা রচনা পড়েছি না সবাই! বিজ্ঞান-আশীর্বাদ না অভিশাপ? ঠিক সেইরকম !
 এটা ঠিক যে প্রত্যেকের দেখা, ভাবার পরিসীমা বলবে-অর্ধেক গ্লাস খালি, আবার, কেউ বলবে-অর্ধেক গ্লাস পূর্ণ। অর্থাৎ এই  লকডাউনেরও দোষ- গুণ বেরোবে, নিশ্চিত ; আমি বলে দিলাম, হুঁ! 
কিন্তু আমরা তো অত্যন্ত সচেতন জনগণ! কান ধরে মুরগির মতো লাফ, লাঠির ঘা, কয়েদ-ঘর, জরিমানা এসব হচ্ছে যদিও, আরে কাগজ পড়তে কি একটু দীর্ঘদিনের অভ্যাস, মোড়ের চায়ের দোকানে এককাপ চা খেতে যাওয়া, হেলমেট ভ্যানিটি ব্যাগের মতো ঝুলিয়ে স্পীডে যাওয়ার মধ্যে যে হিরোইজম্ আছে বললে কে বুঝবে!  কেবলমাত্র ভীতু বাঙালি আমাদের মতন যারা তারা আপাততঃ ঘরবন্দী বেশির ভাগ সময়টাই। অনেকদিন পর সারাটা সময় একসাথে। বুড়ো- বুড়ি  বহুদিন বাদে দুজনে কূজনে...
এটা কারণ হিসেবে নির্ঘাত আশীর্বাদের ঘরে যাবে তবে-থাক্। সব প্রকাশ করার কি দরকার! এইমাত্র তো বেশি কথা বলার জন্য একচোট হয়ে গেছে!
মুশ্কিল হচ্ছে এরকম বাগবিতন্ডার  পর কম করে তিনদিন ভাববাচ্যে কথা চলে। এখন আর সে উপায় নেই। অগত্যা, এখন ঘরে এক কানে কালা ( এটা বল্লেই শুনতে হয়-কানে কালাই হয়, কানা হয় না) তিরিক্ষি মানুষ, আর, আমি হলাম গিয়ে ( আস্তে বলতে হবে। আমি দেখেছি, কালা যেটা শোনার না সেটা ঠিইইক্ শুনতে পায়) নিপাট ভালো মানুষ। ঘরভর্তি লোকজন নিয়ে হৈচৈ করতে দারুণ ভালোবাসি। অবশ্য সেটা তিনিও যে ভালো বাসেন না, না! তা না!  আপাততঃ সেসব বন্ধ। সবাইকে বাদ দিয়ে তাই... 
‘দুজনে মুখোমুখি  গভীর দুখে দুখি’

সামনে টিভি চলছে। ও বাবা! ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এই বদ্ধ জীবন যাপনে বেড়ে গেছে! আড়চোখে একবার দেখে নিলাম।  এই ফাগুনে নতুন রূপ দেখতে হবে নাকি এ বয়সে!       
 অ ভি শা প ! একদম, এটা অভিশাপের পক্ষে যাবে, এ নিয়ে কারোর দ্বিধা থাকতেই পারে না।    যদিও বা অবকাশ পেলাম তবে এখন কি কিছু তারে বলা যায়! বলাটাও কি ঠিক হবে! আবার বলিও যদি, কেবল তাকেই যা বলতে চাই, আশপাশের লোকজনও যে শুনতে পায়! তাহাতে জগতের ক্ষতি কি জানিনা তবে আমার যে বিস্তর ক্ষতি! 

দু কথা বলি যদি! 
তাহাতে আসে যাবে কিবা কার?

ওরে বাবা! আমার খুব আসে যায়, পাগল নাকি? এমনিতেই কথা বলার লোক পাচ্ছিনে; দু কথা শোনালে ছাড়বে? দেবে না দশ কথা শুনিয়ে! মনের কথা মনেই থাক্;  বাক্যালাপ যেটুকু আছে, তাই চলুক বাপু।
                           বহুদিন পর টানা রান্নাঘরে। ওরে মালতি রে! এখনো কতোদিন! খাওয়ার সময় খুব ভয়ে ভয়ে তাকাচ্ছি, ট্যারা চোখে। প্ল্যান অবশ্য একটা ভেঁজে রেখেছি , একবার খুঁত ধরেছো তো মরেছো। 
-‘বেশ, কাল থেকে তাহলে  তুমিই ...’
আরে সেও কি কম যায়? কেমন সোনা মুখ করে খেয়ে চলেছে দ্যাখো!  একটু আধটু আবার প্রশংসাও। কিসের পূর্বাভাস বুঝতে পারছি না, একটু ধরে খেলতে হবে বুঝতে পারছি। গ্যাস বাঁচানোর নামে আমিও দুদিনের রান্না একদিনে করে নিজেকে জিইয়ে রাখছি বলেই না এইসময় বসে স্বরূপের ক্লাবের সদস্যা (এখনো অবশ্য হবো কিনা ভাবছি) আমি এই একটু! ধ্যুৎ! গেল বাঁচানো সময়টুকু আবোলতাবোল বকে! যা বলছিলাম, এরমধ্যেই একদিন শুনি

-‘বুঝলে! এরপর পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে’
-‘কিরকম?’
-‘অর্থনৈতিক মন্দা এমন জায়গায় আসবে!’
-‘মহামারীর পর দুর্ভিক্ষ এই তো শুনেছি, পড়েছিও, আজ জীবনে এ অভিজ্ঞতাও হবে।
-‘খুব হিসেব করে চলতে হবে, বুঝলে?’
-‘সেতো বটেই’
-‘দরকার হলে মালতিকে ...’
-‘হরি হে! এই তবে ছিল মনে? কোপটা এসে পড়লো শেষে এই শর্মার ঘাড়ে’ 
-‘দ্যাখো! তবে আচমকা ওর কাজ চলে যাওয়া’-
গলাটা অজান্তেই নীচু স্কেলে। প্রায় হপ্তাতেই পালা করে দুজন সহায়িকার একজনকে বরখাস্ত করি, ওরাও অভ্যস্ত হয়ে গেছে। চুপচাপ নিজের কাজ করে যথারীতি পরেরদিন, অবশ্য সেদিনটা ঘনঘন ঘড়ি দেখাটা বিশেষ জরুরী হয়ে পড়ে। আসার সময় কি পেরিয়ে গেল! সত্যি সত্যি তাহলে এবার  কি? এভাবেই বহুবছর পেরিয়ে এলাম একত্রে। আজ ওদের জন্য ভাবনাও হচ্ছে। কিন্তু আজ কর্তা যা বলছেন, ‘ওরে বাবারে! এখন ওদের হয়ে সওয়াল করতে গেলেই তো আমার অস্ত্রে আমাকে কুপোকাৎ করে দেবে’
-‘কেন! প্রায়ই তো শুনি ডট্ ডট্ ডট্’-
 -‘করোনা প্লীজ! মেরো না’
সময় বুঝে ব্যাপারটা নিয়ে বসতে হবে। আপাততঃ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করাই সঙ্গত, ঠিক কিনা?
উপসংহার টেনে বলি, এখন যাই, খিদে পেলে আবার বুড়োটা মোটে সহ্য করতে পারে না। আসলে, প্রেম ভালোবাসা এসব অনেকটা ঐ ডালের মতোন। বোঝা গেল না তো? উপর থেকে জোলো ডালটা উঠে গেলে মেলে ঘন ডাল। বলে না-“ ডালের মজা তলে!” তাই বয়েস বেড়েছে দুজনের, একত্রে থাকার বয়সটাও আর তাই কখন যে তলে তলে এতোটা...
‘সে কথা আজি যেন বলা যায়...




| Aleekpatamagazine.blogspot.in |
  |ALEEK PATA-The Expressive World |Online Magazine |
| Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |
| Special Lock-down Issue,2020 | April 2020 |হাসিরাশি সংখ্যা।
।নববর্ষ ১৪২৭| Third Year Fifth Issue |22nd Edition|
|© All Rights Reserved By The Editor and The Publisher |
|a DISHA-The Dreamer Initiative |


 সূচি পত্র / Index


















গল্প- যুগোস্লোভাকিয়া - চেকোস্লোভাকিয়া...-সম্পা দত্ত দে

যুগোস্লোভাকিয়া - চেকোস্লোভাকিয়া...আমার ঠাম্মি কিছুই বোঝেনা
সম্পা দত্ত দে
অলঙ্করণঃ মিঠুন দাস
আমার ঠাম্মি ভীষণ সহজ সরল মনের মানুষ। সব কিছু সহজেই বিশ্বাস ক'রে নেয়। আমি আর দাদা মিলে খুব মজা করি ঠাম্মির সাথে। কেউ মিষ্টি করে মিথ্যা কথা সত্যি বলে চালিয়ে দিতে পারবে। যে যা খুশি বানিয়ে বানিয়ে বললেও বলবে, ‘ওমা!তাই নাকি? তাহলে কি হ‌ইবো? দুগ্গা দুগ্গা সব য্যান ঠিক ঠাক থাকে ঠাকুর’
চিলে কান নিয়ে গেছে,কান না দেখেই চিলের পিছে পিছে ছোট বাপু। বাবা ঠাকুর দার কাছে এ নিয়ে বকুনি ও কম খায়না।
“এই তো সেদিন, তাতান আমার দাদা, বলল ও ঠাম্মি লকডাউন বোঝো ? হোম কোয়রান্টাইন , আইসোলেশন , কোভিড১৯ , কোরোনা ভাইরাস এসব বোঝো?”
-‘  বাবারে এতো শক্ত শক্ত ইনজিরি কথা আমি বুইঝ্যা কি করুম? এগুলো তোদের কলেজের পড়াশোনা'র ম‌ইধ্যে আছে বুঝি?’
আমি জানুম ক্যান? আর জাইন্যাই হ‌ইবোডা কি?’
-‘ঠাম্মি তোমাকে বোঝাই কি ক'রে বলোতো! আরে করোনা ভাইরাসের জন্য অনেক লোক সংক্রমণ হ'য়ে মারা যাচ্ছে। ঠাকুর'দাদা কে একদম ঘর থেকে বের হতে দিবানা। হাত সাবান দিয়ে বা স্যানিটাইজার দিয়ে বারবার ধুতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বিশ্বের গভীরতম অসুখ এ অসুখ ভীষণ ছোঁয়াচে। খুব বেশি দরকার ছাড়া বাইরে বেরোনোর দরকার নেই। টিভি তে, খবরের কাগজে দেখেছো কি কতো মানুষ রোজ রোজ আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে কেউ কেউ সুস্থও হচ্ছে
-‘ও মা! হেইডা আবার ক্যামন রুগ, আমাগো তাই হ‌ইলে কি হ‌ইবো।  আর সাবান দিয়া বারবার হাত ধোওয়োনের ল্যাইগ্যা তগো ঠাকুর দাদা,কাকা কাকি বেবাকেই কয় আমি নাকি সুচিবামনি এ আবার নূতন কথা কি?’
না গো ঠাম্মি তুমি ধোও বারবার কিন্তু সবাই তো নাও ধুতে পারে তাই তো আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, লকডাউন মেনে চলতে হবে, মানুষের সঙ্গে মানুষের সংস্পর্শ কম হবে ভাইরাস সংক্রমিত কম হবে, কোনো ভয়ের কিছু নেই গো, আমাদের শুধুমাত্র একটুখানি সাবধানে থাকতে হবে- ঠাকুর দাদা কে সাবধানে রাখতে হবে, বয়স হয়েছে তো বুঝতে পারলে? ভয় পেয়োনা গো-এখন আমাদের এই ভাইরাস যুদ্ধে সবাই কে জিতবে হবে
"WE SHALL OVAR COME
WE SHALL OVAR COME
WE SHALL OVAR COME
SOME DAY
OHH DEEP IN MY HEART
I DO BELIEVE
WE SHALL OVAR COME
SOME DAY.

আমরা করব জয়
আমরা করব জয়
আমরা করব জয়
একদিন
এই বুকের গভীরে
আছে প্রত্যয়
আমরা করব জয়
একদিন।

সে যাই হোক চলো ভয় নেই আমরা একটুখানি মজা করি চলো-ঠাম্মি তুমি, আমি যা বলবো তাই উচ্চারণ করে বলো তো দেখি-
- ‘না বাপু তোদের মত কলেজে পড়সি নাকি! ইনজিরি জানি না বাপু...
 -‘ঠাম্মি বলো তো টিউশনি
-‘ক্য্য্য্যা টিবুশুনি
-‘হা হা হা এবার বলো তো ম্যাক্ লাক্সিগঞ্জ
-‘ম্যাকসালাকসাঞ্জ
-‘হয়েছে হয়েছে আর বলতে হবে না ইংরেজি শব্দ, এবার বাংলা শব্দ বলোতো গামলা আর বনা
-‘উঅআ আবার কি কঠিন হ‌ইল গালমা আর বগনু
আমি তো হেসে হেসে কুটি পাটি। তাতান কে বললাম-‘ আর বলিসনা রে থাক ঠাম্মির বলতে মনে হয় খুব কষ্ট হচ্ছে রে
-‘ও ঠাম্মি তুমি না কিছুই জানোনা। বলোতো যুগোস্লোভাকিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া
 ‘পারুম না রে পারুম না। ধুর ভাল্লাগে নাবলোনা তুমি ঠাম্মি
-‘বলতাসি দাঁড়াযুগোসলভাকি/চোকোসলভাকি হ‌ইসে নে অখন…’
-‘কিচ্ছু হয়নি গো কিচ্ছু টি হয়নি!!!!
-‘জানিস তাতান আমার ঠাম্মি কিছুই বোঝেনা রেচল আমরা ঘরে বসেই ক্যারাম খেলি । বাবা আর ঠাকুর দাদা কেও ডেকে নিয়ে আসি। আমাদের কি মজা সবাই বাড়িতেসবার এখন হোম কোয়রান্টিন

তাতান মনে মনে বলল তুই এখন ও অনেক ছোট রে অনেক কিছুই বুঝতে পারিস না।

| Aleekpatamagazine.blogspot.in |
  |ALEEK PATA-The Expressive World |Online Magazine |
| Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |
| Special Lock-down Issue,2020 | April 2020 |হাসিরাশি সংখ্যা।
।নববর্ষ ১৪২৭| Third Year Fifth Issue |22nd Edition|
|© All Rights Reserved By The Editor and The Publisher |
|a DISHA-The Dreamer Initiative |


 সূচি পত্র / Index

















Main Menu Bar



অলীকপাতার শারদ সংখ্যা ১৪২৯ প্রকাশিত, পড়তে ক্লিক করুন "Current Issue" ট্যাব টিতে , সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

Signature Video



অলীকপাতার সংখ্যা পড়ার জন্য ক্লিক করুন 'Current Issue' Tab এ, পুরাতন সংখ্যা পড়ার জন্য 'লাইব্রেরী' ট্যাব ক্লিক করুন। লেখা পাঠান aleekpata@gmail.com এই ঠিকানায়, অকারণেও প্রশ্ন করতে পারেন responsealeekpata@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

অলীক পাতায় লেখা পাঠান