ঝড় দেখেছিল তিলোত্তমা
স্বান্ত্বনা দাস
তিলোত্তমা ঝড় দেখেছিল
মন্দির প্রাঙ্গণে তিলোত্তমা একা
সুসজ্জিতা।
কঙ্কনে সীতাহারে
আর লাল বেনারসীতে অপূর্বা
সূর্যের জন্য অপেক্ষারতা।
সূর্য আসবে, তাকে
করবে জীবনসঙ্গিনী
সিঁদুর দানের পর
তারা পাড়ি দেবে নতুন পথে
স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার করেছে সূর্য।
তখন গোধূলি
সূর্য আসার আগে সে এল
কালবৈশাখী
গোধূলির আলো নির্বাপিত
আকাশে অশনি সংকেত,
প্রাঙ্গণের আমগাছ
নারকেল গাছের সারি প্রবল
বেগে মাথা ঝাঁকাল
ছোট ফুলগাছগুলি মাটির কাছাকাছি
মাথা নোয়ালো
হাওয়া তীব্রতর হল
ঝড় উঠল।
তিলোত্তমার কবরী স্খলিত হল
সজ্জিত বসন ভূষণ
ধূলার আবরণে ঢাকা পড়ল
বৈশাখী ঝড় স্পর্শ করল
তিলোত্তমাকে।
তীব্র আলোক রেখায় বজ্র নামল
আচম্বিতে।
আঁধার চিরে মূহুর্মূহু বজ্র নামল
প্রকৃতির বুকে
একজোড়া কবুতর ঝটপট করে উঠল
প্রাঙ্গণের পাশে শীর্ণ স্রোতস্বিনী
উত্তাল হয়ে উঠল।
দূরে নারকেল গাছের মাথায়
তীব্র আলোক রশ্মি
জালের মত জড়িয়ে ধরল
তার জ্বলন্ত আলিঙ্গনে
নারকেল গাছের শীর্ষস্থান
অঙ্গারে পরিণত হোলো।
ভীত কম্পিত তিলোত্তমা
বার বার সূর্যকে ডাকল
তার ডাক ঝড়ের গর্জনে
চাপা পড়ল।
হঠাৎ
দিকে দিকে সতর্ক শঙ্খধ্বনি
ধ্বনিত হল।
বৃষ্টি নামল অঝোর ধারায়
সিক্ত হোলো তিলোত্তমা
অশ্রুজলে আর বৃষ্টির ছোঁয়ায়।