অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি



। । "অলীক পাতা শারদ সংখ্যা ১৪৩১ আসছে এই মহালয়াতে। । লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ ই আগস্ট রাত ১২ টা ।.."বিশদে জানতে ক্লিক করুন " Notice Board ট্যাব টিতে"

Showing posts with label Tour Journal. Show all posts
Showing posts with label Tour Journal. Show all posts

Tuesday, October 13, 2020

ছুটি ছুটি- ভ্রমণ - হঠাৎ বেরিয়ে পড়া আলেপ্পীতে- কৌশিক বসু



হঠাৎ বেরিয়ে পড়া আলেপ্পীতে
কৌশিক বসু



  

অনেক ফোরামে এত সুন্দর ভ্রমণ কাহিনী পড়ে আমারও লেখার একটু ইচ্ছে হলো হঠাৎ করা ট্রাভেল প্ল্যান এবং কিছু চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা নিয়ে, বছর আষ্টেক আগের । সত্যি কথা বলতে এভাবে কোনোদিন লিখিনি, তাই কোনরকম ভূলভ্রান্তি মার্জনা করে দেবেন দয়া করে । 

 

অফিসের এক সহকর্মীর  সঙ্গে পরিবার সহ আগে বেড়িয়ে এসেছি কাজিরাঙ্গা আগের বছর তাই দুর্গা পূজার আগেই অফার এলো কানহা যাওয়ার - ডিসেম্বরের শেষের দিকে। কিন্তু অফিস থেকে আমাকে বলে রাখা হয়েছে যে কোন সময়ে ইংল্যান্ড যেতে হবে, তাই কানহা যাত্রা কানা করতে হলো। কিন্তু নভেম্বরের শেষের দিকে উপলব্ধি হলো যে ইংল্যান্ডের যাওয়া জানুয়ারির আগে হচ্ছে না, তখন একটা শেষ চেষ্টা করলাম কানহা যাত্রার, কিন্তু  পাওয়া গেলো না ট্রেন বা হোটেল বুকিং। অগত্যা নিজেই কিছু করার একটা শেষ প্রচেষ্টা করলাম। খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ অফিস এর একটি গেষ্ট হাউস খালি পেয়ে গেলাম মুন্নার এ দুদিনের জন্য, নেহাৎ ভাগ্যের জোরে বলতে হয় - সঙ্গে সঙ্গে বুক করে ফেললাম। এখানে একটু উল্লেখ্য হলো আমাদের ভ্রমণে একটু পাহাড় না থাকলে গিন্নীর মুখ ভার হয়ে থাকে, তাই মুন্নার নিয়ে গিন্নীর  ভেটো জুটবে না তা জানতাম। কিন্তু মুন্নার অনেক দূর, ট্রেনে যাওয়া মানে চার পাঁচদিন বেরিয়ে যাবে, অত ছুটিও পাওয়া যাবে না, তাই ফ্লাইট বুকিং করবো ভাবলাম। কাছাকাছি বিমানবন্দর কোচিন কিন্তু কলকাতা থেকে ভাড়া দেখে মাথা ঘুরে গেল। অগত্যা ম্যাপ ঘেঁটে দেখলাম ব্যাঙ্গালোর থেকে যাওয়া যেতে পারে, বাস আছে মুন্নার যাওয়ার। কিন্তু ক্রিসমাসের সময় টিকিটের দাম আগুন, তাই দুদিন এগিয়ে একটু ঠিকঠাক দামের টিকিট বুক করে ফেললাম - ২৩ সে ডিসেম্বরের এ যাওয়া আর ১ লা জানুযারি ফেরা। এবারে বাকি দিনগুলো ভরার কাজ। কেরলে যখন যাচ্ছি তখন আরেকটু কেরল কেমন হয়? গিন্নীকে কয়েকটা জায়গার নাম দিলাম, উঠে এলো আলেপ্পী এবং বুকিং হলো হোটেল এবং বাস ব্যাঙ্গালোর থেকে। পড়ে রইলো আরো তিনদিন। ব্যাঙ্গালোর এর ভিড়ভাট্টা ছেড়ে ঠিক করলাম থাকবো মাইসোর এ, একটি দিন কূর্গ ঘুরে আসবো, তারপরে ব্যাঙ্গালোর এ ফিরে এসে বাসে করে আলেপ্পী। গিন্নী ছাড়া আমার চার বছরের ছেলে তাই তার দিকটাও ভাবতে হবে, তাই ঠিক করলাম প্রথমে বানের ঘাটা দেখে মাইসোর যাবো। এই হলো প্ল্যানিং বৃত্তান্ত। 

 

এরপরে আলেপ্পী নিয়ে একটু লিখতে চাই।  গিন্নীর ইচ্ছে ছিল হাউসেবোট এ থাকা, কিন্তু তার জলে ভয় আছে সেটা জানি ভালো করে। তাছাড়া অফিসের এক সহকর্মীর কাছে জানলাম যে হাউসবোট দিনের বেলা চলে, সন্ধে হলে পাড়ে বাঁধা থাকে, যার মানে সন্ধ্যে থেকে আটকে থাকা। তাই ঠিক করলাম পম্বা নদীর পাড়ে কোন হোটেলে থাকবো। একটু ঘাঁটাঘাঁটি করে একটি হোটেলের সন্ধান পেলাম। যা অনবদ্য মনে হলো যে একটি ১৫০ নছরের পুরনো সেগুন কাঠের তৈরী ধানের গোলা কে একটু পরিবর্তন করে হোটেলের ঘর বানিয়েছে। কনসেপ্ট টা দারুণ লাগলো, বুকও করে দিলাম। হোটেল ম্যানেজার এর সঙ্গে কথা কয়েকবার হয় দুদিনের প্ল্যান করতে। ম্যানেজার বলে দিয়েছিল যে ব্যাঙ্গালোর থেকে আলেপ্পীর সব বাস ত্রিভান্দ্রাম যায়, তাই বাসে উঠেই ড্রাইভারের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে, বুঝিয়ে দেবে কোথায় নামতে হবে, কারণ হোটেলটি ছিল আলেপ্পী শহরের বাইরে ত্রিভান্দ্রাম যাবার রাস্তায়। আমরা ব্যাঙ্গালোর বাস স্ট্যান্ড পৌঁছে গেছি বিকেল ৪ টের মধ্যে, ৬ টায় বাস ছাড়বে, সারারাত বাসে কাটাতে হবে ভোরবেলা ৬ টা নাগাদ  আলেপ্পী পৌঁছনোর কথা। কাছাকাছি দোকানে একটু খাবার কিনতে বেড়িয়েছি বাসে খাবার জন্য হঠাৎ দেখি বাসের এজেন্সির একজন আমাকে এসে বললো এখুনি বাসে উঠতে হবে কারণ আগামীকাল কেরল বন্ধ, তাই সব বাস কে ত্রিভান্দ্রাম ৬ টার মধ্যে পৌঁছতে হবে, অতএব তাড়াহুড়ো করে বাসে উঠে পড়লাম, মাঝখানের দিকে সিট পেলাম। জানতে পারলাম রাত ৩ টে নাগাদ আলেপ্পী পৌঁছবে। যাইহোক বাসে উঠেই মোবাইলে ড্রাইভারের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়েছি ম্যানেজার বাবুর, ভাষা বিন্দু বিসর্গ বুঝলাম না, তারপরে ম্যানেজার বাবু বলে দিলেন একটি গাড়ি থাকবে আমাদের পিকআপ করতে। বাসে যাইহোক সময় কাটছে কোনরকমে, কোচিন এর পর আলেপ্পী আসবে, তাই কোচিন আসছে দেখেই ড্রাইভারের সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। সেখানেই চমক - গিয়ে দেখি ড্রাইভার অন্য একজন! আমি জিজ্ঞেস করতে ড্রাইভার বললো সে জানে কোথায় নামাতে হবে, কোচিন এলে অনেকে নামবে তাই সামনের দিকে চলে আসতে। ক্রিসমাসের রাত, মধ্য কেরল ক্রিশ্চান অধ্যুষিত, তাই প্রায় প্রত্যেক বাড়ি সুন্দরভাবে আলোকিত। কিন্তু মনের মধ্যে একটু চিন্তা হচ্ছে, গিন্নীর মুখেও চিন্তার ভাঁজ। আলেপ্পী এলো এরপর, আরো কয়েকজন নামলো, কিন্তু ড্রাইভার দাদা আমাকে ইশারায় বসতে বললো। তার একটু পরে প্রায় রাত সাড়ে ৩ টে নাগাদ হঠাৎ বাস দাঁড়িয়ে পড়লো আর ড্রাইভার এবারে বললো নামতে। এই শেষরাতে প্রায় ভয়ে ভয়ে মালপত্র নিয়ে নামলাম, হালকা আলো রাস্তায়, এদিক ওদিক দেখছি, একটা ব্রীজের পাশে নামিয়েছে, নিচে পম্বা নদী বয়ে চলেছে, হঠাৎ লক্ষ্য করলাম একটা মারুতি গাড়ি দাঁড়িয়ে আর একজন বেরিয়ে এলো। কি হবে ভাবছি তখন নিজের নাম শুনলাম, পরিচয় দিলেন নিজের, তিনিই ম্যানেজার। এত রাতে ড্রাইভার আসবে না বলে উনি নিজেই এসেছেন। 

 

আশ্বস্ত হয়ে গাড়িতে উঠে পরলাম। একটু গিয়েই নদীর পাড়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়লো । দেখি নদীর ঘাটে একটি দেশী নৌকো রয়েছে, সেখানেই আমাদের মালপত্র তোলা হলো। ভাবছি যদি নৌকো উল্টোয় তাহলে তো বাকি টুর মায়া হবে এই জিনিসপত্রের সঙ্গে! এর মধ্যে ম্যানেজার বাবু বললেন আমাদের নৌকোয় উঠতে। আমি গিন্নীর দিকে তাকালাম প্রতিক্রিয়া দেখতে, সে তো আঁতকে উঠলো, না এত ছোট নৌকোয় উঠবো না, ভয় করছে। তখন ম্যানেজার বাবু বললেন তাহলে একটু ট্রেক করতে হবে মিনিট ১৫ র মতো। গাড়ি গ্যারেজে রেখে আমরা হাঁটা শুরু করলাম, ধানক্ষেতের আল দিয়ে হেঁটে কিছুক্ষণ বাদে পৌঁছলাম হোটেল। 

হোটেলে পৌঁছে আতিথেয়তায় মন ভরে গেল, ওই সময়ে ভোরের আলোও ফোটে নি ঠিক করে - সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হোটেলের ঘরে কফি আর বিস্কুট চলে এলো ম্যানেজার বাবুর গিন্নীর হাতে হাসি মুখে, ছেলের জন্য দুধ বা কমপ্ল্যান ইত্যাদি । তখন বুঝলাম সত্যি অন্যরকম হোটেল - ম্যানেজার পরিচয় দেওয়া ভদ্রলোক আসলে মালিক, ওদের বাড়ির ধানের গোলাকে ৪ টে বেশ বড় ঘর বানিয়েছে এটাচড টয়লেট সহ, ঘরে টিভি, ওয়াইফাই, এসি সব কিছু আছে। ঘরের ওপরে সেগুন কাঠের সিলিং, তার ওপর টালির ছাদ। ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার সবই প্যাকেজ এর মধ্যে। তিনি থাকেন মা, বাবা, স্ত্রী ও দুই সন্তান ও ভাগ্নেকে নিয়ে।  

 

ঘরে বসে একটু টিভি চালিয়ে কফিতে চুমুক দিয়েছি, হঠাৎ গিন্নীর ডাক টয়লেট থেকে। গিয়ে দেখি কিছুটা শেড দেওয়া আর স্নান করার জায়গাটায় শাওয়ার লাগানো তবে চারদিকে নুড়ি পাথর মেঝেতে আর কিছু গাছও রয়েছে।  তবে গিন্নীর ডাকের আসল কারণটা দেখলাম ওপরের দিকে তাকিয়ে, কিছুটা আকাশ দেখা যাচ্ছে গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে।  ভালো করে চারদিক সার্ভে করে দেখে নিলাম, কোনো বাড়িঘর নেই, গিন্নীকে বললাম কেউ থাকবে না কয়েকটা পাখি ছাড়া। নিজে যখন স্নান করলাম ব্যাপারটা বেশ মজার লাগলো। 

 

একটু ঘুমিয়ে উঠলাম, আরেকপ্রস্থ  কফি ঘুম কাটানোর জন্য, সঙ্গে ব্রেকফাস্টে আর লাঞ্চে কি খাব তা জিজ্ঞেস করা হলো বিকল্পের সাথে - খাঁটি কেরালীয় খাবার এবং অত্যন্ত সুস্বাদু,আণ্টি অর্থাৎ মালিকের মা র হাতে। ৯ বছর হয়ে যাওয়ায় সব খাবারের নাম মনে নেই, তবে ব্রেকফাস্টে ডিমের তরকারি দিয়ে আপ্পাম আর কারিমিন (পমফ্রেট মাছের একটা অনবদ্য খাবার)  এই দুটো মনে আছে। তাদের ব্যবহারের আন্তরিকতা এমনই ছিল যে  কিছুক্ষণের মধ্যে মনে হলো যেন কোন নিকট আত্মীয় বাড়ীতে এসেছি। ছেলেকে ঘরে আর পাওয়া যাচ্ছে না, মিশে গেছে ওদের বাচ্চাদের সঙ্গে, আমি রাজিব অর্থাৎ ম্যানেজার বা তার বাবার সঙ্গে গল্প করছি,আমার গিন্নী রাজীবের গিন্নীর সঙ্গে। 

 

ঘুরে দেখেছি সকালে পম্বা নদীতে নৌকাবিহার করে বিখ্যাত ব্যাকওয়াটারস। আর বিকেলে দেশী নৌকোয় চড়ে আয়ুর্বেদিক মালিশ করতে যাওয়া, পূর্ব অভিজ্ঞতার জেরে রাজিব ও বুঝে গেছিল আমার গিন্নীর জলে বীরত্ব, তাই দুটো প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে আমরা গেলাম আর ফিরলাম আর সারা নৌকোবিহারে উপলব্ধি করলাম অনেকেই পাড় থেকে তা উপভোগ করছিল, তাদের কৌতুক ভরা মুখে যা বোঝা যাচ্ছিল। পরের দিন আলেপ্পি শহর আর সমুদ্র সৈকত দর্শন করলাম আর বাকি সময় প্রকৃতির সান্নিধ্যে বিশুদ্ধ ল্যাদ।

 

পরেরদিন সকালে আমরা যখন চলে যাচ্ছি কোচিন এর উদ্দেশ্যে তখন সত্যি মনে হচ্ছিল ছেড়ে চলে যাচ্ছি নিকট আত্মীয়র কাছ থেকে। ছেলের মুখও দেখলাম থমথমে। তবে যাওয়ার আগের দিন সন্ধেবেলা নিজের কৌতুহল আর না চেপে রেখে রাজিবকে জিজ্ঞেস করলাম এই কিছুটা খোলা বাথরুমের পটভূমি। মুচকি হেঁসে বলল ওদের এই হোটেল কয়েকবছর হয়েছে, তার আগে সন্ধেবেলা হাউসবোট ওদের বাড়ির পাশে লাগিয়ে রাখতো, তখন কিছু যাত্রী নেমে ওদের বাথরুম ব্যবহার করার অনুরোধ করতো, সেখান থেকেই ওরা হোটেল করার প্ল্যান করে। এবং এই প্রকৃতিযুক্ত বাথরুমের পরিকল্পনা আসে এই যাত্রীদের মতামতের ভিত্তিতে, বিশেষতঃ বিদেশী পর্যটকদের কাছ থেকে।

 

কিছু ছবিও পোষ্ট করলাম, কেমন লাগলো জানাবেন।

 


 ভোরের প্রথম আলোয় পম্বার জল





এরকম একটি নৌকো এসেছিলো আমাদের মালপত্র নিতে





নৌকাবিহার






 নৌকাবিহার




 নৌকাবিহার





 নৌকাবিহার





ছোট ব্রিজের তলা দিয়ে এলাম





 হাউসবোট, যেখানে থাকিনি আমরা





চলমান ডাবের দোকান





সেগুন কাঠের ধানের গোলা কে হোটেলে রূপান্তরিত





 ধানক্ষেতে সূর্যোদয়





তাজা দোলনচাঁপা ফুল






 তাজা রঙ্গন ফুলের থোকা   

 




গাছে কচি ডাব






ল্যাদ





 আলেপ্পীর মন্দিরে





লাইটহাউস , সমুদ্রসৈকতে






আলেপ্পীর বিচ এ আমরা




বড়দিনের সাজানো চার্চ - বাইরে






চিল্লার পার্টি






বিদায় নেওয়ার আগে 

Download ALEEK PATA Mobile APP

DOWNLOAD ALEEK PATA ANDROID APP

| Aleekpatamagazine.blogspot.com |

  |ALEEK PATA- Your Expressive World |Online Magazine |
| Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |
| Special Puja Issue, 2020 | October-November 2020 | শারদ সংখ্যা -১৪২৭।
| Fourth Year Third Issue |24 th Edition|
|© All Rights Reserved By The Editor and The Publisher |
|a DISHA-The Dreamer Initiative |
পড়া শেষ? পত্রিকা বন্ধ করুন



Wednesday, October 2, 2019

ভ্রমণ- মাহিষ্মতী -পৃথ্বীশ সেন


মাহিষ্মতী

পৃথ্বীশ সেন





মাহিষ্মতী নগরী, এক ইতিহাস বিখ্যাত নগরী। এখন বিখ্যাত হয়েছে বাহুবলী সিনেমার জন্য। সিনেমায় যে নগরী ঘিরে ঘটনা আবর্তিত হয়েছে সেই মাহিষ্মতী সম্বন্ধে আজ লিখতে বসেছি যদিও আমি যখন গিয়েছিলাম, মাহিষ্মতী তখনও এত জনপ্রিয়তা পায়নি কারন তখনো মুক্তি পায়নি বাহুবলী।
অমকারেশ্বর থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম তখন প্রায় সাতটা। মাহিষ্মতী এসে পৌছলাম প্রায় সাড়ে নয়টা। অমকারেশ্বর ছাড়িয়ে একটু বেরুতেই শুরু হল জঙ্গল রাস্তা, শুনলাম সিংহ চিতা ভালুক যখন তখন বেরুতে পারে। রাস্তাও মোটামুটি খালি খালি। যাইহোক আমরা তেমন কিছু দেখতে পাইনি।
মাহিষ্মতী ঢোকার আগে ড্রাইভার গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিল বলল এগিয়ে যেতে, ও আসছে গাড়ি পার্ক করে। গাইড আমাদের ড্রাইভার।

বিশাল তোরণ উপরে এখনো পাহারা দেয় প্রহরী। পেরিয়ে এলাম আমরা প্রাসাদে। ঢুকতেই বামদিকে শিবকন্যা রানী আহল্যাবাই এর মর্মর মূর্তি।

বর্তমান হিন্দু ধর্মে এনার অবদান অনস্বীকার্য।
মুসলিম আমলে নষ্ট হওয়া বেশিরভাগ মন্দির উনি গড়ে তুলেছেন নিজের খরচে- কাশী বিশ্বনাথ অমকারেশ্বর ব্দরিনাথ পুরী জগন্নাথ মন্দির সহ বিভিন্ন ঘাট প্রাসাদ মন্দিরের জন্য নিস্কর সম্পত্তি, অজস্র পাঠশালা, চতুষ্পাঠি, অতিথিশালা, যাত্রীনিবাস এসব ওনার দীর্ঘদিনের কাজের মধ্যে পড়ে।
গুনে শেষ করা যাবেনা ওনার অবদান।

এটি সেই প্রাসাদ যেখান থেকে উনি চালাতেন রাজকার্য্য। এত বিশাল সাম্রাজ্যের মালকিন থাকতেন এমন সাধারণ প্রাসাদে। খুব একটা আহামরি নয় প্রাসাদ তবে প্রাচীর আর সুরক্ষা ব্যাবস্থা দেখার মত।

রানী আহল্যাবাই এর মূর্তি পাশে রেখে ঢুকলাম ডানদিকে মূল প্রাসাদে সেখানে রানীর ঘর বিছানা অস্ত্র পালকি রান্নার পাত্র সহ নানা জিনিস রয়েছে, বর্তমানে মিউজিয়াম
পাশেই ওনার ঠাকুরঘর। বেশ বড়। দেখছি অনেক ব্রাহ্মণ বসে নর্মদা মাটি দিয়ে শিবলিঙ্গ তৈরি করছেন বসে বসে। পুজো করার পর আবার নর্মদা তে ভাসিয়ে দেওয়া বিধি, এই বিধি শুরু করেছিলেন রানী, বংশ পরম্পরায় চলে আসছে সেই পুজো।

প্রাসাদের পাস দিয়ে পূব দিকে নেমে গেছে সিঁড়ি, সেই সিঁড়ি দিয়ে একটু নামতেই দেখা মিলল একটি মন্দিরের চূড়া, খুব সুন্দর কারুকাজ করা মন্দির। নীচে নেমে ডানদিকে আবার বেশ কিছু সিঁড়ি নেমে গেছে ঘাটের দিকে, সোজা নর্মদা। আর ডানদিকে কয়েকধাপ উঠলেই রাম মন্দির, প্রভু রামের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। বিশাল মন্দির আর প্রচুর টিয়াপাখির বাস।

উল্টো দিকেই আরেকটি মন্দির মালোজি স্মৃতি মন্দির। পাশেই একটি জাফরির কাজ সেই জাফরির কাজ দেখলে বোঝা যায় মালোজি কাহিনী।
মালোজি ছিলেন রানী আহল্যাবাই এর একমাত্র সন্তান। বিয়ের কিছুদিন পরেই স্বামীর মৃত্যু হয়, তারপরে শ্বশুর মশাই এর মৃত্যুর পর আহল্যাবাই বসেন সিংহাসনে।
কিন্তু প্রজাপীড়ক ছিলেন মালোজি। বারবার অভিযোগে বিরক্ত হন রানী, শেষে কোন এক মহিলার উপর অত্যাচারের অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হলে রানী আদেশ দেন হাতির পায়ের তলায় ফেলে মালোজি কে হত্যা করতে।
সেই অনুযায়ী আদেশ কার্যকর হয়।
পাশের জাফরির কাহিনীর সম্প্রসার বলছে এটাই। পরে যেখানে হত্যা করা হয়েছিল সেখানে মালোজি স্মৃতি মন্দির বানানো হয় আর উল্টোদিকে শ্রীরাম মন্দির।

কতখানি প্রজা দরদী হলে এমন কাজ সম্ভব সেটাই ভাবছি।
সুদূর মহারাষ্ট্রের সাধারণ পরিবারে জন্ম রানী আহল্যাবাই এর। সেই সময়ে মেয়েদের লেখা পড়ার চল না থাকলেও উনি শিখেছিলেন। পরে বিয়ে হয় হোলকার বংশে। রানী হবার পর খুবই দক্ষতার সাথে উনি চালিয়েছেন রাজকার্য্য। প্রচুর ধনসম্পদের মালকিন হওয়া স্বত্বেও খুব সাধারণ জীবন কাটাতেন।
বহু যুদ্ধে উনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যেমন বীর তেমনি প্রজাপালিকা ছিলেন। মধ্যপ্রদেশে উনি শিবকন্যা হিসেবে পরিচিতা।

বেরিয়ে এলাম চওড়া ঘাটে। পর পর সিঁড়ি নেমে গেছে নর্মদা নদী অব্দি। এখানে মোটামুটি চওড়া নদী। নদীর জল নিলাম চোখে মুখে মাথায়। এখান থেকে প্রাসাদ দারুন লাগছে দেখতে।

এগিয়ে চললাম প্রাসাদকে ডানদিকে রেখে নদীর ধারে বরাবর। এল শাস বহু মন্দির। শাশুড়ি বউ এর সমাধি মন্দির।
রানী আহল্যাবাই ও তার শাশুড়ী দুইজনের অস্থিভস্ম রয়েছে এই দুটি মন্দিরে। শাশুড়ি মারা গেলে তার উদ্দেশ্য রানী বানান মন্দির আর তার পাশে আরেকটি মন্দির। নিজে মারা গেলে পরে স্মৃতি মন্দির বানানো হয়।
শোনা যায় ভেতরে থাকা শিবলিঙ্গটি রাণী পুজো করতেন নিজ হাতে।

মন্দির জোড়া পেরিয়ে প্রাসাদের পাস বরাবর ঘুরে এলাম আরেকটু। দেখি পরপর বসেছে বিভিন্ন ছাতা আর তার তলায় চলছে মানসিক উদযাপন, শ্রাদ্ধ কাজ। অনেকটা বারাণসী ঘাটের মত।

ফিরে এলাম রাম মন্দিরের সামনে উপরে উঠে মূল ফটকটিকে পাশে রেখে আরেকটি রাস্তা বেঁকে গেছে এবারে ধরলাম সেই রাস্তা।
একটু পরেই এল বামদিকে একটা মন্দির ভেতরে কিছুটা নেমে গিয়ে একটি শিবলিঙ্গ, ঋষি জমদগ্নি পুত্র পরশুরাম করতেন পুজো।
পরশুরাম শিবমন্দির পরশুরামপন্থী সাধুদের কাছে খুবই প্রিয় ও পবিত্র। পরশুরামপন্থী সাধুদের হাতে একটি কুঠার থাকবেই। প্রয়োজনে পরশুরামপন্থী সাধুরা বিভিন্ন সময়ে যবনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। এনারা যখন যুদ্ধ করেন তখন হয়ে যান ভয়ঙ্করতম, কারন না সাম্রাজ্যের লোভ, না জিতলে পরে প্রাপ্তিযোগ, না কোন ভোগের চিন্তা, শুধুই লক্ষ্য ধর্ম রক্ষা।
অসাধারণ এক অনুভূতি লাগছে যখন পুজো করেছিলাম আর দুদন্ড বসে ভালো করে দেখছিলাম সেই পরশুরাম শিবলিঙ্গটি।

পরশুরাম মন্দিরের অদূরেই আছে কার্ত্যবীর্য্য অর্জুন মন্দির। ইনি ছিলেন মাহিষ্মতীর আসল প্রতিষ্ঠাতা। শিবকে তপবলে সন্তুষ্ট করে উনি হাজার হাতের শক্তি লাভ করেছিলেন। রাবনকে পরাজিত করে বেঁধে রেখেছিলেন বলে রামায়নে পাওয়া যায় বর্ননা। অসাধারণ বীর আর যোগী রাজা ছিলেন তিনি।
মাহিষ্মতী নগরী তার সময়ে এক গৌরবময় নগরী ছিল বলে জানা যায়। সেই প্রাচীন নগরীর ধংসবশেষ এর উপর বর্তমান মাহিষ্মতী অবস্থিত বলে মনে করা হয়।

ইতিহাস এখানে ঘোরাফেরা করছে প্রতিটি কনায়, চোখ বুজলেই শোনা যায় কার্ত্যবীর্য্য অর্জুন এর পদ ধ্বনি, পরশুরামের পুজো করার সময়ের ঘন্টা ধ্বনি, রানী আহল্যাবাই এর সুকোমল কন্ঠস্বর। সবই রয়ে গেছে এই মাহিষ্মতীর প্রতিটি কোনে কোনে।

ড্রাইভার তাড়া লাগাচ্ছে, যেতে হবে মান্ডু।

পথ নির্দেশ:
বর্তমান নাম মহেশ্বর।
মধ্যপ্রদেশের খারগণ জেলায় অবস্থিত।

অমকারেশ্বর দর্শন করে একটা গাড়ি নিয়ে যাওয়া সবচেয়ে সুবিধার। মাত্র ৬৫ কিমি রাস্তা।


।। সমাপ্ত ।।

| Aleekpatamagazine.blogspot.in |
  | Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |
|ALEEK PATA-The Expressive World |Online Magazine |
|a DISHA-The Dreamer Initiative |
|Special Puja Issue,2019 | September-October, 2019 |
| Third Year Third Issue |20Th Edition|
|© All Rights Reserved By The Editor and The Publisher |

















ভ্রমণ- সাগরপারের কারাগার সেলুলার -কৃষ্ণা সাহা


আমার চোখে সাগরপারের কারাগার 
সেলুলার

কৃষ্ণা সাহা

Photo Courtesy : Writer:: Edited by  Swarup Chakraborty

ছোট বেলায় ভূগোল পড়ে ভাবতাম, আন্দামান একটা দ্বীপ যেখানে সেলুলার জেল আছে,আর কেউ সেখানে গেলেই তাকে জেলে ঢুকিয়ে অত্যাচার করা হয়।বড় হবার পর ভুল ধারণাটা ভেঙ্গে গেলেও মনের গভীরে ভয়টা যেনো রয়েই গিয়েছিল । আর সেটার প্রমাণ পেলাম আন্দামান পৌঁছানোর কয়েক মূহুর্ত আগেই। আকাশ থেকে তাকে দেখে কিন্তু এটাই মনে হয়েছিল স্বপ্নের দেশ।
সেলুলার জেল-ঔপনিবেশিক কারাগার বা কালাপানি। ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত একটি বহুল আলোচিত একটি কারাগার। ১৯০৬ সালেএই কারাগারটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ-বটুকেশ্বর দত্ত, উল্লাসকর দত্ত  ও বিনায়ক দামোদর সাভারকার এবং আরো অনেককে এই কারাগারের দীর্ঘদিন বন্দী করে রাখা হয়েছিল। এখন এই দালানটি জাতীয় স্মারক হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
         বিপ্লবের অগ্নিযুগের প্রচারের প্রথমসারিতে এলেও দ্বীপান্তর শুরু হয়েছিল সিপাহী বিদ্রোহের পরেই। গ্রেট ব্রিটেনের জন্য দ্বীপান্তর ছিলো অস্ট্রেলিয়ায়। নুতন উপনিবেশ স্থাপনের সময় ব্রিটিশরা এক সঙ্গে দ্বীপান্তরও খুঁজে রাখতো। ভারতের জন্য তাদের সেই অনুসন্ধান ছিলো আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।    
বাংলা তথা ভারতে যখন ব্রিটিশ বনিকদের মানদন্ড ধীরে ধীরে রাজদন্ড হয়ে গেছে। ততদিনে কালাপানি পেরিয়ে দ্বীপান্তরে নির্বাসিত হয়ে গেছে বহু বন্দী। মূলত, কুখ্যাত অপরাধীদের জন্য এই দ্বীপ নির্ধারিত হয়েছিলো, কিন্তু ঠগী,ফাঁসুড়ে ডাকাতদের বদলে এই দ্বীপ হয়ে উঠলো ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকারীদের বন্দী বাস।
সিপাহী বিদ্রোহের পরবর্তী সময়ে অন্তত ২০০ জন বিদ্রোহীকে পাঠানো হয়েছিল। সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে যাঁরা সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরের কাছে পিটিশন দায়ের করেছিলেন তাদেরকেও নির্বাসিত হতে হয়েছিল কালাপানি পেরিয়ে সুদূর আন্দোলনে।
এই দ্বীপকে বাছার পিছনে অনেক যুক্তি ছিলো ব্রিটিশদের।সেই সময়ে এই দুর্গম বিপদসংকুল দ্বীপে জীবন ধারণ ছিলো অসম্ভবের নামান্তর। তাছাড়া এখান থেকে পালানো ছিলো অত্যন্ত কঠিন।আর যদিও বা পালানো সম্ভব হতো, কালাপানি ফেরত ব্যাক্তিকে গ্রহনে তখন প্রস্তুত ছিলোনা হিন্দু সমাজ।
Photo Courtesy : Writer:: Edited by  Swarup Chakraborty

দ্বীপান্তরে নির্বাসিত বন্দী ভার সামলাতে কারাগার নির্মাণ ছাড়া আর পথ ছিলোনা ব্রিটিশদের। ১৮৯৬ থেকে ১৯০৬ ,দশ বছর ধরে নির্মিত হয়েছিল সেলুলার জেল। বার্মা থেকে আনা ইট দিয়ে গাঁথা হয়েছিল শোষনের এই স্মারককে। নির্মমতার প্রতীক এই জেলের সেল থেকেই এর নাম করন হয় " সেলুলার ।
সাইকেলের চাকার যেমন স্পোক হয় তেমনি এই কারাগারের সাতটি বাহু। প্রতিটি
তিনতলা। সারিবদ্ধ সেলগুলোকে ঘুপচি ঘর বললেও কম বলা হবে।এমন ভাবে ৬৯৩টি
সেল বানানো হয়েছিলো।বহু উঁচুতে থাকতো একটা ঘুলঘুলি।আলো আসতো নামমাত্র।
এরকম পেলে একা একা থাকতে হতো বন্দীদের,যাতে কেউ কারো মুখ দেখতে না পায়। সারাদিন কঠোর পরিশ্রম , অকথ্য অত্যাচারের মধ্যে তাদের দিন কাটতো। খাবার
হিসেবে যা দেওয়া হতো তা এককথায় পরিমাণে সামান্য ও অখাদ্য। নির্মমতার এখানেই শেষ নয়। সূর্যাস্তের পর থেকে ১২ঘন্টা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারতেন না বন্দীরা। অপেক্ষা করতে হতো পরদিন সূর্যোদয় অবধি।
বন্দীরা কোনো সংবাদপত্র হাতে পেতো না, চিঠিপত্র এলে বারবার পরীক্ষা করা হতো। বহু বন্দী উন্মাদ হয়েও যেতেন। এই কারাগারের অত্যাচারের কথা বলে শেষ করা যাবে না। লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় বন্দী হলেন ভগৎ সিং এর সঙ্গী মহাবীর সিং। জেলের অবস্থা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন মহাবীর, শুরু করেছিলেন অনশন আন্দোলন। তাঁর অনশন ভঙ্গ করতে ব্রিটিশ প্রশাসন তাঁর মুখে জোর করে দুধ ঢেলে দেয়।সেই দুধ তাঁর ফুসফুসে প্রবেশ করে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান মহাবীর। তারপর তার দেহ পাথরে বেঁধে
ছুড়ে ফেলা হয় সমুদ্রে, কালাপানিতে।
সবকিছুর পরও কালাপানি ছিলো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে পূণ্যভূমি। নিজেদের বর্তমান ওখানে সমর্পন করে তাঁরা চেয়েছিলেন দেশবাসীর ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে।



।। সমাপ্ত ।।

| Aleekpatamagazine.blogspot.in |
  | Editor: Swarup Chakraborty | Publisher: Debasree Chakraborty |
|ALEEK PATA-The Expressive World |Online Magazine |
|a DISHA-The Dreamer Initiative |
|Special Puja Issue,2019 | September-October, 2019 |
| Third Year Third Issue |20Th Edition|
|© All Rights Reserved By The Editor and The Publisher |






























Main Menu Bar



অলীকপাতার শারদ সংখ্যা ১৪২৯ প্রকাশিত, পড়তে ক্লিক করুন "Current Issue" ট্যাব টিতে , সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

Signature Video



অলীকপাতার সংখ্যা পড়ার জন্য ক্লিক করুন 'Current Issue' Tab এ, পুরাতন সংখ্যা পড়ার জন্য 'লাইব্রেরী' ট্যাব ক্লিক করুন। লেখা পাঠান aleekpata@gmail.com এই ঠিকানায়, অকারণেও প্রশ্ন করতে পারেন responsealeekpata@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

অলীক পাতায় লেখা পাঠান