দাবানল
Picture Courtesy: Google Image |
হেমন্তের
দুয়ার আঁটা,
সদর খুলতেই
হুড়মুড়িয়ে
ঢুকে পড়লো
শীত।
গৃহস্থের
শ্যাওলা ধরা উঠোনে
পাপড়ি ভাঙা
রঙের প্রলেপ,
পাহাড়েও
বরফকুচি আর সান্তাক্লজ টুপি।
কমলালেবুর
খোসা ছাড়ানো রোদ্দুরে
শুরু হয় বনভোজন,
বড় পিচ্ছিল পথ
চড়াই উৎরাই, সাবধানে---
এই যা! বেলুন
ওড়ানো বাসটা সোজা
তিস্তার
জলে।আজ নদীর বনভোজন,
তাই দেখে
পাহাড়ের ও ক্ষিধে পায়!
অরণ্যে জ্বলে
ওঠে দাবানল,
তলপেটে মোচড়
দেওয়া ব্যথাটা ফিরে এলে
হায়নারা জেগে
ওঠে।
প্রসারিত
রাত্রির বুকে নিঃসঙ্গ মৃত্যুর ছায়া,
যে ছায়াপথ
দ্রৌপদী মাড়িয়েছে একদিন
শতাব্দী
প্রাচীন কান্না জমে যায় বরফ কণায়।
পিছমোড়া করে
বাঁধা একটা শরীর,
উন্মত্ত
বুভুক্ষা মানুষ
দাবানলে সেঁকে
ফেলে হাড়মাস সব।
কুয়াশার আবরণ
সরে গেলে
খুব শীত,বড়ো
শীত কাঁপুনি ধরায়
বিবস্ত্র
সকালে পৃথিবী খোঁজে এক লজ্জাবস্ত্র।