অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি



। । "অলীক পাতা শারদ সংখ্যা ১৪৩১ আসছে এই মহালয়াতে। । লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ ই আগস্ট রাত ১২ টা ।.."বিশদে জানতে ক্লিক করুন " Notice Board ট্যাব টিতে"

Friday, November 24, 2017

শম্পা সান্যাল

 আকাঙ্ক্ষা
Image Courtesy:Motherhood - Art by Rae Chichilnitsky


___না, বললাম তো না।
___না! কেন না শুনি!?
___ কেনোর কি আছে, আমি আর ঐ কষ্ট সহ‍্য করতে পারবো না। ব‍্যস্।
___পারবো না, ব‍্যস্!! আমি কিন্তু কথা দিয়েছি মনে রাখা হয় যেন।
___আমাকে জিজ্ঞাসা না করে কথা দিলে কেন?
___ওরে আমার হরিদাসি এলেন রে! বলেই রতন বোঝে রাগলে হবে না। শান্ত হয়ে বলে ___ ওরা কত বড়লোক, মালিক আমার। কারো কাছে শুনে আমাকে ডেকে বলেছেন, আমি না বলি কি করে!
___উফফ্, থামবে তুমি? এখন এতো সাধাসাধি আর তখন?? কত আকথা কুকথা শুনেছি, ভুলে গেছ? তুমি বলতেও ছাড়োনি।
___তা তখন এতো উৎসাহ ছিল কেন শুনি!  কোন্ রসের নাগর...
___চুপ। একদম চুপ। আর একটা বাজে কথা বলো যদি ।
___আচ্ছা, আচ্ছা আমার অন‍্যায় হয়ে গেছে, মাফ চাইছি। হলো তো! এবার রাজি হয়ে যাও।আরে রাজি হলেই তো হবে না, আগে ডাক্তারবাবু দেখে পরীক্ষা করে দেখবেন তবেই না আর ভেবে দ‍্যাখ্ ভালো ভালো খাওয়া থাকা উপরি পাওনা__তোমার মা না হ‌ওয়ার দুঃখ থাকে না, দুটো পয়সাও আসে সংসারে।
___দুঃখ! থাকেনা! সেই, তোমরা চেনো শুধু টাকা।
___আরে চাইলেই কি আবার এ সুযোগ আসবে?
___চাই না, চাই না এমন সুযোগ।
___হ্হ‍্যা, তাহলে আর কি, ঘরে বসে অন্ন ধ্বংস করো।
আশ্চর্য মানুষ, তখন কত বাধাই না দিয়েছে আর যেই রক্তের স্বাদ পেয়ে গেছে একেবারে আদা-জল খেয়ে পিছনে পড়ে। রাগে দুঃখে গা জ্বলে যায় তুলসীর।

                                       বিয়ের পাঁচ বছরেও তুলসী সন্তান-সুখ পায়নি। পেয়েছে লাঞ্ছনা গঞ্জনা, বাঁজা অপবাদ। তাবিজ-মাদুলি ব‍্যর্থ। ডাক্তার‌ও দেখিয়েছে, আর সেখানেই হয়েছে সমস্যা। তুলসী সুস্থ অত‌এব স্বামীকে ডাক্তারবাবু দেখতে চান। শোনামাত্র রেগে যায় রতন। 
___কেন, আমি কেন যাবো? আমি কি বিয়োবো?
___আরে, আমি কি অত কিছু জানি! ডাক্তারবাবুই তো বললেন....
___আমার সময় নেই। যত্তসব......
তুলসী আর এগোতে পারে না। দূরপাল্লার বাসের কন্ডাক্টর রতন। সবদিন বাড়ি থাকে না তার উপরে আছে নেশা।  এভাবেই দিন কাটছিল। পরিচিত একজন কাজের খবর দেয়। শ্বাশুড়ি অসুস্থ, বাচ্চা ছোট তাই সারাদিনের জন্য একজন লোক খুঁজছে। তুলসীও ঘরে-বাইরে অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে রাজি হয়। শ্বাশুড়ি, স্বামীও বাধা দেয় না দেখে একটু অবাক‌ও। বৌদি কথা প্রসঙ্গে একজন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। রতনের হাতে-পায়ে ধরে রাজিও করায়। দুদিন যেতে হয়েছিল এবং রতন নেশা, অনিয়মিত জীবন যাপনের ফলে সুস্থতার সাথে বীজ বপনে অক্ষম জানার পর রত্নকে শত চেষ্টা করেও আর চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে তুলসী পারেনি। রতন‌ও দূরত্ব রেখে চলে সেদিন থেকে। ওলোটপালোট হয়ে গেল বৌদির এক প্রস্তাবে। হতভম্ব তুলসী। এমনিতেই''দিন ধরে মনটা ভালো নেই। মেজো ননদের সাধে বাড়ির সবাই গেল, ওকে রেখে গেল বাড়ি দেখাশোনা করার জন্য। মন খারাপ হয়েছিল খুব কিন্তু কয়েকদিন আগে একটি ঘটনায় এতটাই আহত হয়েছে, ছোট ভাই-বৌ এর সাধ। মা আমন্ত্রণ জানিয়ে বললেন"তুমি বিকালে এসো"।
___কেন মা, ঐদিন আমি ছুটি নেবো, সকালেই চলে যাব।
___না,না তুমি বিকেলেই এসো।
___মা!! ও, বুঝেছি। ঠিক আছে, আমি যাবো না।
___রাগ করছিস কেন! আসবিই না কেন!
যায়নি তুলসী। বোনেরা ফোনে ডাকাডাকি করেছিল, ও শুধু ভেবেছে ওর বিয়ের আগে দিদি, বড় বৌদির তো বাচ্চা হয়েছে আর আজ ও অপয়া হয়ে গেল!


                                         বৌদির বোনের বাচ্চা হ‌ওয়ার সমস্যা। ও নাকি পারে সমাধান করতে। বৌদি যেভাবে বোঝালো তাতে দোষ নেই কিন্তু রতনকে বলে কি করে। ও দিকে বৌদি ব‍্যস্ত, কি যে করে। শোনামাত্র নেশাখোর রতন 
___ক্বি! কি বললি! মা ,ও মা__
___কিরে, চিল্লাচিল্লি করছিস কেন?
___শোনো, তোমার গুণধর বৌমার কীর্তি শোনো। এই জন্য বাইরে যায়কি কাজের দ‍্যাখো.....
___ছি, ছি বৌমা এতবড় কথাটা বলতে পারলে!! অন‍্যের বাচ্চা পেটে ধরবে? বা়ঁজা...
___তুলসীর আর সহ্য হয় না, চিৎকার করে বলে"আমি, আমি বা়ঁজা না কে শুনবে?
বাড়ির লোকজন, আশেপাশের লোকজন, কৌতুহলী মানুষের সামনে তুলসী অসহায়, বৌদির মতো করে বোঝাতে পারে না যে এতে কোনো দোষ নেই। অবশেষে বৌদির মধ‍্যস্থতায় প্রধানতঃ নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকার লোভে বাড়ির মত মেলে। তুলসীর বাবা-মাও দু-কথা শোনাতে ছাড়ে না।


                       ডাক্তার দেখাতেই কয়দিন গেল। কত কি যে পরীক্ষা তারপর সব দেখে শুনে অবশেষে তুলসী গর্ভবতী। খাওয়া দাওয়া, ওষুধ-পত্র, নিয়মিত গাড়ি করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া___ সবাই তাজ্জব হয়ে দেখে। বাঁকা কথাও শোনায় কেবল রতন আশ্চর্য রকম চুপচাপ। প্রসবের কিছু আগে নার্সিংহোমে ভর্তি করে রাখার কথা ওঠে তখন রতনকে না বলে পারে না তুলসী। এই কয়দিন খুব ভয়ে থাকতো যদি মারধোর করে।
___একটা কথা ছিল
___আবার কি কথা?
___আমাকে মাস দেড়েক আগে নার্সিংহোমে ভর্তি হতে হবে।
___তো!! আমি কি করবো?
___না, মানে, তোমাকে বলে রাখলাম আর কি।
রতন ওর শারীরিক পরিবর্তন অদ্ভুত দৃষ্টিতে দেখে। তুলসী ভাবে চিকিৎসা করালে তো ও রতনের সন্তানের‌ই মা হতে পারতো।
___আমি না ডাক্তারবাবুকে আমাদের সমস‍্যার কথা বলে ছিলাম।
___হ‍্যা ,হ‍্যা স্বামী অপদার্থ পাঁচকান করতেতো ভালোই লাগে।
___কি যে বলো! বললেন এর‌ও চিকিৎসা আছে। আমরাও মা-বাবা হতে পারি। তবে মেলা টাকার ধাক্কা।
__হু,তা ঐ টাকাটা কবে দেবে?
___দেবে, সময় হলেই পাবে।
গর্ভাবস্থায় প্রথম থেকে সবার যা দেখে এসেছে সেগুলো তুলসী যেন অমৃত-সম উপভোগ করে। সুখানুভূতিতে আচ্ছন্ন তুলসী স্ফীত পেটে হাত রেখে বলে তুই ছেলে না মেয়ে রে! আমি তোকে সোনাই বলেই ডাকবো যাই হোস না কেন।বৌদিদের সাথে ডাক্তার কথা বলে তুলসীকে দেখে অভিমত প্রকাশ করেন। তাহলে আর দেরি করার দরকার নেই, পরশু সকালে বলে চলে যান
___কি হলো তুলসী, ভয় লাগছে? কোন ভয় নেই।
না, সত্যি আর ভয় নেই। ইঞ্জেকশনের কত ভয় ছিল। আসলে মাতৃত্বের দুগ্ধধারায় অবগাহন সুখ-সাগরে ভাসিয়ে রাখে তুলসীকে।


                         আচ্ছন্ন অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েই মনে পড়ে ক্রন্দনরত শিশুর আওয়াজ। দ্রুত উঠে বসতে গেলে হা হা করে ছুটে আসে আয়া।
___বাচ্চাটা....
___ভালো আছে, ঘুমাও।
___মেয়ে হয়েছে না!!
___হ‍্যাঁ, কথা বলো না, ঘুমাও।
রতনকে ফোন করে আসার জন্য বারবার বলেছিল তুলসী। তখন ধানাইপানাই করলেও রতন এসেছিল। ছটফট করে তুলসী কিন্তু বাচ্চাটাকে চোখের দেখাও দেখতে পায়না। নার্স আসে, পাম্প করে বোতলে দুধ নিয়ে যায়, বলে অন‍্য ওয়ার্ডে আছে। বৌদি আসে দেখতে, তুলসী বাচ্চাটাকে দেখতে চাইলে জানতে পারে ডাক্তারের বারণ আছে।
___কেন!!
___দেখলে আর‌ও কষ্ট পাবে তাই।
প্রবল এক ঝাঁকুনিতে স্বপ্নজাল ছিঁড়ে যায়। ট‍্যাক্সিতে উঠেও তুলসী ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে, ওর নাড়ি-ছেঁড়া ধন ওখানে নেই জেনেও।
___তুমি দেখেছো??
___কি
___মেয়েটাকে?
___অ‍্যা, হ‍্যাঁ দেখেছি
___কেমন দেখতে গো?
___ কেমন আবার! একটা কাপড়ের পুটলি ঐ একটু দেখালো সবাইকে, ওতে আর কি বুঝবো।
টাকা পেয়ে গেছে রতন, বৌদিরা সন্তান। মেয়াদোত্তীর্ণ ভালোবাসার তারিখ‌ও।আর যোগাযোগ রাখেনি বৌদিদের সাথে। একরাশ মন খারাপ নিয়ে দিন কাটে তুলসীর। এর‌ই মাঝে রতনের প্রস্তাব।
___আমি অন‍্য কাজ করবো কিন্তু মিথ‍্যে মা আর সাজতে পারবো না।
___সে দেখা যাবে। মেলা ভ‍্যান ভ‍্যান করিস না বলে রাখলাম সাফ কথা, মনে থাকে যেন।
তুলসী বেশ কিছুদিন ধরে শ্বাশুড়ি, রতনের আচরণে অবাক হচ্ছিল, আজ বোঝে কারণটা।
তুলসীর মাতৃত্ব বিকিয়ে যায় অর্থে। তবে এবার একটাই শর্ত রেখেছিল তুলসী, ছয়মাস ওর কাছে সন্তান দিতে হবে। মালিকপক্ষ, ডাক্তার কোন ভাবেই টলাতে পারেনি ওকে অবশেষে লিখিত চুক্তি অনুযায়ী ও বাচ্চার দেখাশোনার জন্য মালিকের বাড়িতে থাকার অনুমতি পেয়েছে। 


          ছেলে হয়েছে এবার। তুলসী যখন স্তনপান করায় বৌটি এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। তুলসী বোঝে ,অনুভব করে ওর যন্ত্রণা। আর্থিক, শারীরিক অভাব

___দু-মুখী দৈন‍্যতা দুই মায়ের বেদনাকে বেঁধে ফেলে এক গ্ৰন্থিতে।

সারোগেসি। সারোগেট মায়ের কথা আমরা এখন জানি তবুও সঠিক ভাবে অর্থাৎ "মা" আর " মা" এর মাঝে কি কিছুই থাকে না!  থাকে, বেদনা মিশ্রিত আনন্দ। সন্তানবতী হলেও নাড়ির টান কি উপেক্ষা করা যায়! আর এক মায়ের থাকে অসহায়ের আনন্দ, অক্ষমতার দুঃখ তবু কোলে পায় সন্তান। আমার স্বল্প বিদ‍্যায় বিষয়টি অবতারণা করলাম। ভুল থাকাটাই স্বাভাবিক। সে কারণেই চাইছি সংশোধন যার থেকে আলোকপ্রাপ্ত হবো আমি, আমরা অনেকেই হয়তো।আইন আছে, মানবিক দিককে রক্ষা করে এই পদ্ধতির প্রয়োগে। আইনের ফাঁক‌ও তো আছে সেখানে কি মাতৃত্ব বিকিয়ে যায়, যাচ্ছে?? এই পদ্ধতিতে মা হতে হলে সঠিক তথ্য যাদের আয়ত্তে, অনুরোধ শেয়ার করুন সবার জন্য। আমার এই লেখা তখন‌ই সার্থকতা পাবে, আশায় থাকলাম।


আজাহারুল ইসলাম

দ্বীপটি আর নেই

Image Courtesy: Google Image Gallery


আমার কিন্তু একটা মস্ত বড় দ্বীপ আছে,
    যাকে এখন আমি আর স্পর্শ করতে পারিনা,

   লতায় পাতায় ঢেকে গেছে আমার সাধের দ্বীপটি,
  যেখানে আমি এতদিন বসে কত কবিতা লিখেছি,

কত গল্প করেছি নীল তিমি লাল পরিযায়িদের সাথে,
       কত আতর,নোনতা সৈকতে ছিটিয়েছি ,

                 সব মাছেদের ডাকতে!!! 
সমুদ্র থেকে বহুদূরে! অন্য শহরে এখন আমার বসবাস,

রাতের জোৎস্নাগুলি একা শুয়ে থাকে শুকনো সৈকতে,      
   সুনীলের কবিতায় মুখ রেখে হঠাৎ কেঁদে উঠি,চিৎকারে,

বৃষ্টি নেমে আসবে ভেবে শহরের রাস্তায় ছাতা হাতে আমি
      আমার দ্বীপে বৃষ্টি হতো,কিন্তু ছাতা লাগত না,

হাঙররা দাঁতের ফাঁকে ঢেকে রাখত,নিজেরা জেগে থেকে
          আমার দ্বীপটি আসলে আমার শৈশব,

          এখন আমি যৌবনের দুষনে দুষিত,
এই অন্ধকার জিভ দিয়ে সেই আলোটিকে চাখা মুশকিল

     তাই যৌবনকে সাগরে ফ্যানায় মিশিয়ে দিয়ে,
   তীব্র চিৎকারে সেই দ্বীপে আবার আছড়ে পড়তে চাই,

   নরম ঢেউ এর সুরমা কে ভেজা চোখে আঁকতে চাই,
   কিন্তু সাগরের ফ্যানের সাথে অর্ধেক রাস্তা পেরোতেই

          নীল তিমি লাল পরিযায়িরা খবর আনে,
              সেই দ্বীপ আর নেই,ডুবে গেছে!!!!!

         জানি শৈশবে আর সত্যিই ফেরা যায়না।


প্রেমে নেই পূর্বাভাস 

Image Courtesy: Google Image Gallery


 প্রিয়তমার মুখটি দেখে মেপে নিলাম মনের মাপ
চোখটি কোথাও ঢুঁ মেরেছে পাহাড়ে আসে উচ্চচাপ। 

  আমি যখন একলা পথে নীল গায়ের ঐ লাল শয্যায়
  ডেঙ্গি খেতাব লিখতে বসে জ্বরকে তখন দিব্যি দেয়। 

সে তো আমার নিচ্ছে খবর,নিজেকে দেখি দিচ্ছে দোষ
দিগন্তের ঐ চুল ভিজেছে  আমার বাড়ে অসন্তোষ। 

নায়াগ্রার ঐ চুলের ঢেউ এ বরফ তখন মারে তির,
প্রেমের জানি নেই যে ঋতু,বিয়ে করার লক্ষ্য স্থির,

   এতকিছুর মাঝে দেখি সফল প্রেমের সর্বনাশ,
আমার হৃদয় তলে ঢুকে যদি একবার ফের তাকাস।






শম্পা দত্ত

একটু উষ্ণ-তার জন্য

Image Courtesy : Muniba Mazari -The Iron Lady of Pakistan

  

ধোঁয়া ওঠা কফিমাগে ঠোঁট ছুঁয়ে
তোমার উষ্ণতা মাপা যায়।
রাত্রির অন্তঃসলীলা নগ্নতায়
একাকী প্রহরী নিঃসঙ্গ নীহারিকা।
অনুষ্টুপ ছন্দে ঝরে পড়ে
উত্তপ্ত রাতবাসরে একান্ত নীরবে,
গভীর গোপনের গোপনীয়তার
নির্জনের নির্জনতায়!!!!
নিঃস্তব্ধতায় মন জোছনা মেখে
চাঁদ চলে রাতের অভিসারে।
প্রেমের স্রাবস্তীতে গড়ে তোলে
ভালবাসার রূপকথা বাতায়ন।
একটু স্পর্শএকটু উষ্ণতা
গোলাপী ঠোঁট
আর ধোঁয়া ওঠা কফিমাগ……


বিদগ্ধা

Image Courtesy: Google Image Gallery



বিদগ্ধা বিলাসিনীর প্রেম কুঞ্জবাট,
দু'কামরার ফ্ল্যাট-অন্ধ গলি-ঘুপি,
যেন, বাহলীক সাত- আল আরব দ্বীপ।
         
শানিত দেহ-পল্লবে, ছিনানি উত্তুঙ্গ সদ্যযৌবনা।
          
মাঝে আবেশী আলো- আঁধারির মাদকতা
          
নিওন আলোয়, অস্থায়ী প্রেম-কুঞ্জবাট,
দু'হাতে দেদার স্ফূর্তির চিয়ার্স
মন- মাতানো মৌতাতের তরল মদিরা,
বিলোল মাদকতা ভরা বার বিলাসিনীর ক্যাবারে
ডান্স।
            
স্বল্পবাসিনী- স্বপ্নচারিনীর দেহাতী উদ্দাম
যৌবন।
রক্তের স্বাদ নেয়া, লোভাতুর লালসা চোখ,
কামার্ত হায়নার বাঘনখে
ছিঁড়েফুঁড়ে খায়, আকন্ঠ মদিরায়......
অসামাজিক, পৈশাচিক প্রেমের বুভুক্ষু মিলন......।



কৃষ্ণা সাহা

বাঁচার রসদ

Image Courtesy: Muniba Mazari's Canvas- Left- Her creation, Right-The creator Herself




Editor's Feed :

 It a custom in Aleek Pata, to decorate creations with suitable picture-
of course with a courtesy note,acknowledging the creator.

Like wise, while decorating this poetry we feel proud to  share the painting along with the creator of it, Ms.Muniba Mazari, Best Known as Iron Lady of Pakistan, who despite of her paralyzed lower body has overcome the odds 
of life and is an inspiration to all.

শত বেদনায় বাঁচার রসদ খুঁজি
       
খুঁজি আমরা অবিরাম।
পুত্র হারা' মা' বুকের গভীর ক্ষত ভুলে
স্বামী হারা বিধবা জীবনের রঙ হারিয়ে
আবার বাঁচার রসদ খুঁজে নেয়
     
মৃত্যু বড়ই কঠিন,,,,,
মুমূর্ষু রোগীও মৃত্যু ভয়ে কাতরায়
             
বাঁচার আশায়।
পুত্র শোক  বিহ্বল পিতাও সব
ভুলে মাতৃ জঠরকে করে আবাদ
       
আবার নুতন করে বাঁচার
                 
রসদ খুঁজতে।
নূতন করে বাঁচতে বাঁচাতে
শুধু রয়ে যায় ক্ষত লোক চক্ষুর আড়ালে।
ধুঁকে ধুঁকে বাঁচা, তবুও তো বাঁচা
     
মৃত্যু বড়ই কঠিন নিষ্ঠুর।
জীবন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায়
প্রতিনিয়ত হই ক্ষতবিক্ষত।
     
তবু্ও খুঁজি বাঁচার রসদ……
সব ভুলে আবার ভরিয়ে নিই নিজেকে
কারন মৃত্যু বড়ই কঠিন ভয়ঙ্কর
     
গায় শুধু সমাপ্তির গান।


Tuesday, October 31, 2017

শিবু মণ্ডল

জীবন তো আমি নই গুণাগুণ আর মুল্য


Image Courtesy: Google Images 


               
কিছুই তো হল না এই পঁয়ত্রিশ বছরের জীবনে
বেঁচে থাকার জন্য পর্যবেক্ষণ আর অমরত্বের লোভে উৎপাদন ছাড়া

অভিজ্ঞতার সঞ্চয়ই বা কতটুকু আর মূলধনই বা কোথায়
সেই তো চলন বলনে ‘লেট-লতিফ’ একটি জীবন
আর তার আগে পিছে ঘিরে চার-পাঁচটি নদী !

তাতেই পর্যবেক্ষন-সৃষ্টি-পর্যবেক্ষন পর্যায়ক্রমে চলতে থাকে । শুধু
এতেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হলে তবুও কথা ছিলতা তো নয় – আছে
তার নিরীক্ষণগুণাগুণ বিচার- তার জন্য আছে দ্বিতীয় পক্ষতৃতীয় পক্ষ ।
সৃষ্টি তখন পণ্য – তার গায়ে কাটা দাগ,
তার শরীরে ছিদ্র,
তার চরিত্রে ঢিলেঢালা ব্যক্তিত্ব – মেধাহীন ।
কোন পক্ষের বিচারে শুধু কোন কারণ ছাড়াই ‘ভালো লাগেনি’ 

বেশির ভাগ শরীরেই বাতিল ট্যাগ হয়দুএকটি
কোন কোন পক্ষের আঙুলের ফাঁক গলে ছড়িয়ে পড়ে ।
তবুও উৎপাদন চলে । বুদ্ধিজীবীরা বলে
নতুন কিছু ভাবো বা পুরাতনই নতুন ভাবে
স্মৃতির প্রণালী বেয়ে আমি অতীতের দ্বারে – তার
কুলীন ভাব দেখে ভরসা পাইকিন্তু আমার আর আধুনিক প্রযুক্তি কোথায়যে
তাকে সমুদ্রের অতল থেকে বের করে আনি
তাই একমাত্র নদীই ভরসা আমি জানি !

কি আশ্চর্যএক পাতা প্রবহমানতা লিখতে গিয়ে দেখতে পাচ্ছি
সমস্তটা জুড়েই আমি ! অথচ ‘জীবন’ মানে তো আমি নই- গুণাগুণ আর মুল্য !

নদীগুলি সেরে উঠবেস্রোতের শব্দ ভেসে উঠবে শুনতে পাচ্ছি......




চিত্র ঋণ ঃwww.googles.com 

Preface-Swarup Chakraborty

PREFACE- EIGHTH EDITION

Image Courtesy: Google Images

My dear friends,
Please accept the greetings and love from our team on the occasion of Dipawali and Kali Puja.
The festival of light has passed by, but, the light of knowledge, feelings and humanity must be kept glowing, the torch should never be put out.
We, at “Aleek Pata” are in an constant endeavour of keeping the torch of “Knowledge”, and “Feelings” – glowing.
You, the family members of this group have kept the zeal intact, which fuels us to carry on and on and on………..
The first ever printed version of our E-Magazine has been appreciated by everyone, we are grateful to you all for that.
With this I must take your leave, with a hope to meet you again.





Note: Those who want the printed copy of “ALEEK PATA” - may contact us in our facebook group. You can also mail us at “responsealeekpata@gmail.com

Thank You 
With Warm Regards
Swarup Chakraborty-Team "Aleek Pata"
Haridwar, 31th October,2017




राजकुमार सिंह।



Image Courtesy : Google Images


[ Editor's Feed: Mr. Rajkumar Singh, DGM, BHEL , a person of unmatched energy, his hard work and sincerity  towards his profession is something which is enviable and respect worthy, I know him quite closely, and I feel proud to say that "ALEEK PATA" got successful in inspiring him to express his WORLD OF FEELINGS. Every word of this poem is genuine and heartfelt.
ALEEK PATA is grateful to him, we wish long lasting association with him. ]


एक साँस में भाग कर हम पेड़ों पर चड़ जाया करते थे,
एक साँस में दूध का गिलास भी ख़त्म कर जाया करते थे,
छोटी सी चीज पाने को भी यारों हम अड़ जाया करते थे,
वो भी क्या दिन थे यारों जब हम स्कूल जाया करते थे।

सर्दी हो या बरसात , मैदान में जरूर जाया करते थे,
पिता की सीख, माँ का दुलार और वह दोस्तों का प्यार
रह रह कर आज भी याद आ जाता है यार....

आज एक मंजिल की सीडीयाँ चढने में पसीना आ जाता है,
शुगर,बी पी के मारे हर पकवान देख मन ललचाता है,
नोकरी और घर की कश्मकश के बीच मन ठगा सा रह जाता है।


मन, कर्म और बचन के बीच शायद सामंजस्य बिठा पाऊँ मैं,
बचपन की उस मस्ती को शायद ही कभी भुला पाऊँ मैं।।





Main Menu Bar



অলীকপাতার শারদ সংখ্যা ১৪২৯ প্রকাশিত, পড়তে ক্লিক করুন "Current Issue" ট্যাব টিতে , সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

Signature Video



অলীকপাতার সংখ্যা পড়ার জন্য ক্লিক করুন 'Current Issue' Tab এ, পুরাতন সংখ্যা পড়ার জন্য 'লাইব্রেরী' ট্যাব ক্লিক করুন। লেখা পাঠান aleekpata@gmail.com এই ঠিকানায়, অকারণেও প্রশ্ন করতে পারেন responsealeekpata@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

অলীক পাতায় লেখা পাঠান