অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি



। । "অলীক পাতা শারদ সংখ্যা ১৪৩১ আসছে এই মহালয়াতে। । লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ ই আগস্ট রাত ১২ টা ।.."বিশদে জানতে ক্লিক করুন " Notice Board ট্যাব টিতে"

Sunday, December 24, 2017

শিবু মণ্ডল


আমি লিখছি আমার অনুলিপি



চিত্রঋণঃ Google.com




আমি লিখছি
আমার অনুলিপি
হাওয়ায় ভাসতে থাকা স্পর্শ
পরতে পরতে জমতে থাকে মননে ।

আমি দেখছি
লক্ষ বছর ধরে
কেমন করে পথ চলেছি
পিচ্ছিল মৌচাকের প্রকোষ্ঠ বদলে বদলে ।

আরও দেখছি
জীবনের বিবর্তন
কেমন করে সে
মায়া – ভালোবাসার
কত আবেগ – অনুভূতির
যাবতীয় খোলস ছাড়ে একটা একটা করে ।

আবার, এক জীবনেই আমি
লক্ষ জীবনের প্রতিলিপি দেখি ।




Friday, December 22, 2017

শুভদীপ ঘোষ

আমি সমাজ


Image Courtesy:Google Images
দাড়াও পথিকবর!

একবার চেয়ে দেখো মোর পানে;
চলিলে কোথায়?কিসের এত তাড়া?
ভাবনার সংকীর্ণতা কেন?
মোর কান্নায় দাও একটু সাড়া।

দাড়াও পথিকবর!

মোর অনুভূতিতে অনুতপ্ত হও।
নিষ্পাপ চিতাগুলিকে একবার চাক্ষুষ করো।
ডুবতে বসেছি আমি আজ রক্তস্রোতে;
অন্যায় দমনের বানীকে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভরো।



দাড়াও পথিকবর!

ক্ষণিক পরীক্ষিত হতে দাও মনকে;
জীবন যন্ত্রণার জ্বালা টা একটু বুঝুক;
উন্মাদ হোক সে বর্বরতার জেরে;
সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথটি খুঁজুক ।



দাড়াও পথিকবর!

কাঁদিয়ে তোলো একবার অন্তরটাকে;
একটু বিসর্জন দাও সুখের প্রতিমাকে।
জীবনে বাঁচার মূল্যটা তাকে বুঝতে দাও;
আপন করুক সে পরদুঃখ,অবজ্ঞা ঘৃণাকে।



দাড়াও পথিকবর!

আমার দেহময় শুধু রক্তের আস্তরণ আজ;
পারোনা তুমি আমায় শুদ্ধ করতে?
দিতে পারোনা সৃষ্টির সেই প্রথম রঙ?
আমি যে সর্বদা নিম্নগামী, পাপের এই পৃথিবীতে।



দাড়াও পথিকবর!

শেষবারের মতো আরো একবার ভাব;
এই সুন্দর সৃষ্টি কি ধ্বংস হচ্ছে না তোমাদের হাতে?
কেন এই হিংসা,কেন এই নৈরাশ্য??
বাঁচতে কি পারিনা আমরা সবাই একসাথে??




























নীহার কান্তি চক্রবর্তী

বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা চলে না

ঘটনাটা আজ থেকে প্রায় ৭৫ বছর আগের। ১৯০০ সালে তৎকালীন ইংরেজ সরকার বারাকপুরের কাছাকাছি ইছাপুরে দুটি অর্ডন্যন্স্ ফ্যাক্ট্রি পত্তন করেন। আমাদের আদিবাড়ী ঢাকা বিক্রমপুরে তৎকালীন পূর্ববাংলায়। আমাদের বাবা জ্যাঠারা চার ভাই ১৯২০-২২ নাগাদ ইছাপুরে রাইফেল ফ্যাক্ট্রিতে চাকরি সূত্রে যোগদান করেন। তখন খাশ ইংরেজ রাজত্ব, ফ্যাক্ট্রিতেও তাদেরই একছত্র আধিপত্য। তবে তারা গুণের কদর জানতেন এবং তাদের যথাযথ প্রতিষ্ঠাও দিতেন। তেমন একজন ছিলেন আমার স্বর্গত জ্যাঠামশাই শ্রীকরুণাকান্ত চক্রবর্তীতিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ তে অঙ্কশাস্ত্রে ১ম স্থানাধিকারী ছিলেন এবং পাশ করার পরই রাইফেল ফ্যাক্ট্রিতে আডমিনিস্ট্রেটিভ্ অফিসার পদে যোগদান করেন। তাঁর ইংরেজিতেও অসামান্য দক্ষতার কারণে তৎকালীন ইংরেজ সরকার তাকে সরাসরি এই পদে নিয়োগ করেন যা সেইসময় একটা ব্যাতিক্রমি ঘটনা। সারা ফ্যাক্ট্রিতে তখন ভারতীয় অফিসার ছিলেন ৩/৪ জন। জ্যাঠামশাই পরবর্তী কালে এমপ্লয়মেন্ট ম্যানেজার হন এবং ফ্যাক্ট্রিতেও ১৯৩০/৪০-র দশকে শতকরা আশিভাগ স্থানীয় মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। তিনি ইছাপুর অর্ডন্যন্স্ ক্লাব, কুঅপরেটিভ স্টোর, স্কুল ইত্যাদি নিজের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন।
    যাইহোক এবার বলছি আমাদের ফ্যাক্ট্রি এস্টেটের কোয়ার্টারের কথা। যা এককথায় একটুকরো স্বর্গরাজ্য। চারিদিকে বিশাল পাঁচিল ঘেরা প্রায় ১৫০-টি বাংলো আকারের কোয়ার্টার ছিল অফিসারদের বাসস্থান। কোয়ার্টারের সামনে পেছনে বিশাল বাগান এবং তাও পাঁচিল ঘেরা।  এস্টেট এর মাঝে ছিল এক বিশাল খেলার মাঠ।।
    আমার জ্যাঠা-বাবা মিলিত ভাবে পাশাপাশি দুটো কোয়ার্টারের দখল নেন যা ছিল দুটো দোতলা বাড়ি, নিচে সংযোগ করা। আমরা ভাইবোনেরা প্রায় সকলেই এখানেই জন্মগ্রহণ করি। স্বভাবতই আমাদের ছিল এক বিশাল পরিবার। 
    এবার আসল ঘটনার কথায় আসি। সেই সময়ে (প্রায় ৭৫ বছর আগে) আমার এক জ্যাঠতুতো ভাইয়ের জন্ম হয়। জন্মাবধি সে ছিল কিছুটা রুগ্ন ও যেন কেমন এক অশরীরী অস্তিত্বের শিকার যা কেউ দেখতে পেত না কিন্তু প্রায়শঃই অনুভব করত। আমার জ্যাঠাইমা সন্তান জন্মের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন, ফলে বাচ্চার দেখাশোনা প্রধানত আমার মাই করতেন। বাচ্চাটিও মার সান্নিধ্যে বেশী সুস্থ থাকত।
    সেদিন ছিল বৈশাখ মাসের এক কাল বৈশাখীর সন্ধ্যা। বাচ্চাটার দুদিন যাবৎ সামান্য জ্বর ছিল। আমাদের শোবার ঘর ছিল দোতলায়, আর রান্নাঘর, খাবারঘর, ভাড়ারঘর একতলায়। বাচ্চার জ্বর হওয়ায় সবাই পালা করে তার দেখাশোনায় ব্যাস্ত ছিল। বিকেলে ডাক্তার দেখে গেছে। কিন্তু জ্বর ক্রমশঃ উর্ধগামী। স্বভাবতই সকলেই উদ্বিগ্ন। আমার মা সারা সন্ধ্যে বাচ্চাটিকে আগলে রেখেছে। এদিকে এতবড় সংসারের অনান্য কাজ বাড়ীর অনান্য কাকিমারা, কাজের লোক নীচতলায় সামলাচ্ছে।
বাড়ীর পেছনদিকে আম, জাম, কাঠাল ইত্যাদি ফলের এবং একটি অতি বিশাল চাঁপা ফুলের গাছ ছিল। আর একটি ঘোরানো লোহার সিড়ি ছিল যাতে বাড়ীর পেছনের বাথরুমে যাতায়াতের ব্যবস্থা ছিল এবং যা কেবলমাত্র জামাদারেরাই বাথরুম পরিষ্কার করবার জন্য ব্যবহার করত। আমাদের কারোরই ঐ সিঁড়িতে ওঠবার অনুমতি ছিলনা। কিন্তু দিনের বেলায় বাবারা অফিসে বেরিয়ে গেলেই ঐ নিষেধ আর কে মানে। আমাদের ওই সিঁড়িতে ওঠনামা করা একটা প্রধান খেলা ছিল।


ঘটনার দিন সন্ধ্যাবেলায় আমার কাকিমারা একতলায় রান্নাঘরে ব্যস্ত। হঠাৎ আমার সেজকাকিমা লক্ষ্য করে আমার মা যার কিনা সর্বক্ষণ বাচ্চাটির পরিচর্‍্যায় থাকার কথা সে ঐ মেথরের যাতায়াতের সিঁড়ি ধরে ঘুরে ঘুরে ওপরদিকে উঠছে, যা বাড়ীর বৌ ঝিদের পক্ষে কল্পনাতীত। মাকে ঐ অবস্থায় দেখে কাকিমা রান্নাঘরের সিঁড়ির থেকে নেমে সেই ঘোরানো সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে চিৎকার করতে থাকেন- “সেজদি আপনি কোথায় যাচ্ছেন, এই নোংরা সিঁড়িতেই বা এই ভর সন্ধ্যাবেলায় উঠছেন কেন?” কিন্তু সাদা শাড়িপরা মা রূপী সেই মহিলা তার দিকে ফিরে না তাকিয়ে উঠতেই থাকেন। ঝড়ের তান্ডবের মাঝে কাকীমা এবার ঘোরানো সিঁড়ির নিচে এসে চিৎকার করে মাকে ডাকে। এবারে সেই মহিলা উপরের সিঁড়ি থেকে নিচে ঘুরে কাকিমার দিকে দেখে। কাকিমা দেখে মার অবয়বে ফিরে তাকানো মহিলাটির এক ভয়ংকর অপার্থিব, বীভৎস মুখ যা কোন মানুষের হতে পারে না, সঙ্গে কোটরগত জ্বলন্ত দৃষ্টি। এই দৃশ্য দেখার পর কাকিমা এক বিকট চিৎকার করে সিঁড়ির নীচে আছড়ে পরে। এদিকে তার চিৎকার শুনে বাড়ীর ওপরে নিচে যে যেখানে ছিল সবাই এসে নিচে তার কাছে জড় হয় ও তার পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।  কিছুক্ষণ পর সকলের খেয়াল হয় ওপরে দোতলায় শিশুটা একলা ঘরে পড়ে আছে। ব্যতিব্যস্ত হয়ে সকলে ওপরে উঠে দেখে শিশুটি শুয়েই আছে কিন্তু সমস্ত শরীর আস্বাভাবিক রকম নীল হয়ে গেছে- দেহে কোন প্রাণ নেই। সেই প্রথম আমাদের সংসারে মৃত্যুর করুণ অথচ নির্মম স্পর্শ পেলাম। এর কিছুদিন পরেই আমরা এই বাসা ছেড়ে অন্য কোয়ার্টারে চলে যাই।























Thursday, December 21, 2017

দেবশ্রী চক্রবর্তী

আত্মমগ্ন


Image Courtesy : Google Images



কে তুমি আমায় ডাক ?

জন অরণ্যে নিজেকে লুকিয়ে রাখ!

বেগুনী রঙের আলোক স্রোতে

আমার অঙ্গ 'চুর' ;

আধ খোলা এই ত্রি - নয়নে

প্রশ্ন মোর প্রচুর।

হয়তো তুমি হাসো,

পাগল মেয়ের 

পাগলামি, দেখতে 

তুমিও ভালোবাস।

যা দ্যাখে এই নয়ন যুগল,

সবই কি শুধু ছলনা?

আধখোলা ত্রি নয়ন

তুমি একবার, 

শুধু একবার

নয়ন মেলোনা।

পালকের মতো

ভেসে ভেসে

আমিযতই খুঁজি তোমাকে,

চোখ ধাঁধানো আলোক পুঞ্জ 

জড়িয়ে ধরে আমাকে।

সুন্দর আমি,শিশির ভেজা,

ছোট্ট সাদা পালক,

সবুজ, নীল, পার হয়ে

শুধু খুঁজি

কে ডাকে আমায় ?

এবার আমি বুঝি।

শত সহস্র আলোক বর্ষ পারে....

হয়ত' দেখতে পাব তারে।

























কৃষ্ণা সাহা

আলো

Image Courtesy: Google Image Gallery



সে তো জ‍্যোতি নয়
          সেতো শুধুই আলো
সময়ের সাথে কখনো
লাল, নীল, হলুদ, সবুজ,সাদা
         কখনো বা কালো
রং বদলের খেলা
........

         হয়তো সে আলেয়া,
জ‍্যোতি ? সেতো নয়..

তাই তো ধরেনা সে স্বপ্নের
         উজ্জ্বল মুরতি....

আমরা মোহিত হয়ে রই বারংবার
মুগ্ধ হতে চাইনা কখনো
.....

         মুগ্ধতায় বড়ই জ্বালা,
জ‍্যোতির জ‍্যোতির্ময়তা স্পর্শ করেনা
               আমাদের
.....

আলেয়ার আলোকেই জ্যোতি
ভেবে ছুটে যাই মোহিত হয়ে
সে হোক নিয়নের আলো
.....

কিংবা ঝলমলে ঝাড়বাতি
          তবু তো আলো
.....
























             

Wednesday, December 20, 2017

সম্পা দত্ত


ঝরাপাতার প্রথম প্রেম

Image : By Writer Herself

তুমি আমার প্রথম প্রেম
যেন জীবনের ঝরাপাতা।

তুমিআমার হৃদয়ের ক্ষয়ে যাওয়া

নিস্তব্ধ চোরা কুঠুরি।

ক্ষয়ে যাওয়া কাকে বলে,

ঝরাপাতা জানে কি?

তোমাতে আমার, মনের আকাশ

জুড়ে খেলা করে

রামধনু- সাতরঙা মেঘের অপূর্ব ছটা।

তুমি আমার ক্ষয়ে যাওয়া

ভাঙ্গন ধরা বুকের আগুন- বাতাস।

তুমি আমার না ছুঁতে পাওয়া

অতৃপ্ত- কুরে- কুরে খাওয়া চুম্বন।

তুমি আমার ঘন বর্ষার

গিরিছায়া পথ।

তুমি আমার সমস্ত চাওয়া- পাওয়া

অনুভুতির ভোগবিলাস।

না বলা কথারা চারিদিক ছুঁয়ে যায়

ঘোর তিয়াসা- তৃষা বুক।

অনুভুতিরা কুরে- কুরে খায়

নিঃস্তব্ধ চোরা কুঠুরি ভেঙ্গে চুরমার হয়।

অথচ, তুমি আমার অব্যক্ত প্রেম

তোমার ই' ছায়াঘেরা হৃদয়ের চোরাটান

রোজ রাতে ভেঙ্গে চুরমার হয়।

কান্নাভেজা কথারা নিঃশ্চুপ হয়ে
 অব্যক্ত চুপ কথাই থেকে যায়........
















অনিন্দিতা চক্রবর্তী

লোডশেডিং 


Image Courtesy : Google Image Gallery





ঠাৎ লোডশেডিং হলে
ঝুপ করে নেমে আসে অন্ধকার 
ফিনফিনে  সাদা আলো
শিরশির করে ওঠে অপরিচিত স্তব্ধতায়। 
আমার ছায়াও তখন ছেড়ে যায় আমায়.... 

অন্ধকারে আঙুলের মাঝে জেগে ওঠে 
আমার মুদ্রাদোষ 
ভাঙাগড়ার খেলায় মত্ত হয়ে উঠি 
অগোছালো চুলে বিলি কেটে কেটে ।
খোলা চোখ,তবু অদৃশ্য হয়ে যাও তুমি! 

হঠাৎ ভালোবাসা নিভে গেলে 
জীবনের অদৃশ্য সেতু বেয়ে ঠিক এভাবেই নামে
নিঃসঙ্গ অবিশ্বাসী লোডশেডিং....। 









Main Menu Bar



অলীকপাতার শারদ সংখ্যা ১৪২৯ প্রকাশিত, পড়তে ক্লিক করুন "Current Issue" ট্যাব টিতে , সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

Signature Video



অলীকপাতার সংখ্যা পড়ার জন্য ক্লিক করুন 'Current Issue' Tab এ, পুরাতন সংখ্যা পড়ার জন্য 'লাইব্রেরী' ট্যাব ক্লিক করুন। লেখা পাঠান aleekpata@gmail.com এই ঠিকানায়, অকারণেও প্রশ্ন করতে পারেন responsealeekpata@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

অলীক পাতায় লেখা পাঠান