একটি অনন্য
অভিজ্ঞতা
অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি
Monday, October 8, 2018
Sunday, August 26, 2018
যুগলবন্দী ২ -কবিতা (উপ সংহার) - দেবশ্রী চক্রবর্তীঃস্বরূপ চক্রবর্তী
যুগলবন্দী- সংখ্যা #২
কলমেঃ দেবশ্রী চক্রবর্তী
ক্যামেরায়ঃ স্বরূপ চক্রবর্তী
অঝোর
(সম্পাদকের কথাঃ এই কবিতাটির লেখিকা অলীকপাতার প্রকাশিকা শ্রীমতী দেবশ্রী চক্রবর্তী, যিনি নীরবে অগোচরে থেকে প্রত্যক্ষ এবং অপ্রত্যক্ষ ভাবে প্রকাশক এর সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন "যুগল বন্দী", প্রকাশনার কাজে ব্যস্ত থাকায় এবারের সংখ্যার জন্য ওনার আগের লেখা একটি কবিতা আপনাদের জন্য প্রস্তুত করছি। আর সাথের ছবিটিও আগের তোলা, দেখুন আপনাদের ভালো লাগে কি না। )
শ্রাবনের ধারা ঝরছে ,
শুধু ঝরছে,
নিজেকে যখন একদম
একা, প্রান্তরে খুঁজে পাই
তুমুল ধারায় জমাট বাঁধা
ব্যাথা গুলো মনে পড়ছে।
শ্রাবনের ধারা ধুয়ে দিল সারা প্রান্তর
সিক্ত আমি লুকিয়ে রেখেছি-
কিছু মেঘ
ঝরতে তাকে দেবনা
যদি ভুলে যাই
জীবনের দেওয়া বেদনা
তাতে যে রেখেছি সযত্নে কিছু মুক্তো
রক্ত মাখা হৃদয় খানি
আবৃত করে রেখেছি,
দুধ সাদা মুক্তো দিয়ে
কালো মেঘ গুলো ঢেকেছ,
তবু বিন্দু বিন্দু রক্তের ফোঁটা
ঝরছে আর ঝরছে ,
শ্রাবন আমার দুই চোখে
তুমি বইছ
সযত্নে এই রক্তের ফোঁটা
আলোর ধারায় ধুইছ।
অলঙ্করণঃ ফিরোজ আখতার, স্বরূপ চক্রবর্তী
EDITORIAL : 15TH ISSUE :JUNE: AUGUST 2018
EDITORIAL- SECOND YEAR THIRD ISSUE
(THE FIFTEENTH NUMBER)
বন্ধুরা,
ফিরে এলাম অলীক পাতার বিশেষ বর্ষা সংখ্যা " অলীক পাতা -যুগল বন্দী" নিয়ে।
অলীক পাতার যাত্রা শুরু এবং ধারাবাহিক ভাবে বয়ে চলার মুল অনুপ্রেরনা কিন্তু আর আর এক যুগল বন্দীর উদাহরন, লেখক-পাঠক, সম্পাদক- প্রকাশক , আমাদের সকলের যুগলবন্দী ই হোল অলীক পাতার পথ চলার পাথেয়।
বর্ষা ঋতু, সে যেন নিজেই এক সুরেলা যুগলবন্দী, হাসি-কান্না, আশা-নিরাশা, সৃষ্টি- ধ্বংস নিয়ে প্রতি বছর নিয়ম করে আমাদের দরজায় টোকা দেয়।
এবারের সংখ্যাটি বর্ষার অনুপ্রেরনায় অনুপ্রাণিত , এই বিশেষ সংখ্যায় প্রথম বার আমরা একটি পরীক্ষা করার সাহস করার চেষ্টা করেছি, সেটা হোল আপনাদেরই নিজেদের ফটোগ্রাফি বা আঁকা ছবির ওপর ভিত্তি করে আপনাদের ই লেখা নিয়ে একটি সংখ্যা তৈরি করার, বিষয়ঃ বর্ষাকাল, আর, খুব,খুব আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে আপনাদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছি, প্রায় দেড়শ ছবি পেয়েছিলাম, সেখান থেকে সাতাশ টি ছবি বাছাই করে আপনাদের জন্য এ্যালবাম প্রকাশ পায় অলীকপাতার গ্রুপে এবং ওয়েব পেজে, সেই ছবির ওপর ভিত্তি করে লেখা আহ্বান করা হয়, আসে অনেক লেখা, ছবি পর্ব আর লেখা পর্ব মিলিয়ে কিছুটা বেশী সময় চলে যায়, ফলতঃ জুন, জুলাই আর আগস্ট মিলিয়ে এই ভরা বর্ষায় তৈরি হয় "অলীকপাতা যুগল বন্দী"সংখ্যা।
এবার বলি সংখ্যার দুটি বিশেষত্ব, প্রথম হল যে, এই প্রথমবার, পত্রিকার মলাট তৈরি তে ব্যবহার হ'ল অলীকপাতার পাঠিকার তোলা ছবি। মাননীয়া সম্পা দত্ত, আমাদের সম্পাদির তোলা একটি অপূর্ব ছবি আপনারা দেখবেন পত্রিকার মলাটে।আর, অন্যটি , অলীকপাতা পরিবারের আর এক বিশেষ সদস্য, আমাদের কবি বন্ধু ফিরোজ আখতার বাবুর করা যুগলবন্দী লোগোটি আপনারা পাবেন মলাটে এবং প্রতিটি পাতায়। ফিরোজ বাবু এবং সম্পাদি কে জানাই আন্তরিক ভালোবাসা।
এবারে আসি সম্পাদক ও প্রকাশিকার কথায়, একই ছবির ওপর একাধিক লেখা, ভিন্ন ভাষায়, ভিন্ন আঙ্গিকে, কোথাও গল্প, তো কোথাও কবিতা, আবার রম্যরচনাও, এখন সমস্যা হচ্ছে যে, ছবি ভিত্তিক লেখা হবে, না কি, লেখা ভিত্তিক ছবি, কলম আগে, নাকি ক্যামেরা, তা, অনেক ভেবে আমরা একটা রাস্তা বের করেছি, এবং সেই মত সূচীপত্র বানানো হয়েছে, আমাদের মুল লক্ষ্য ছিল যাতে এটা দেখানো যায় যে, একই ছবির কত ভিন্ন অর্থ হতে পারে, এবং সাথে পড়ার সময় ন্যাভিগেশন সহজে করা যায়, শেষমেশ ব্যাপার টি একটি জায়গায় দাঁড়িয়েছে, এবার আপনারা বলবেন কেমন হয়েছে।
দেশ জোড়া বন্যার মাঝে দাঁড়িয়ে থেকেও কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এই বন্যার জন্য বর্ষা নয়, মানুষের লোভ দায়ী। তাই বর্ষা রানীর দেওয়া দুঃখের কথা মাথায় রেখেও তাকে খারাপ বলতে পারছিনা,
কারন বৃষ্টি বিন্দু টিনের ছাদে বা গাছের পাতার ওপর পড়লে সেই যুগলবন্দী কিন্তু বেশ সুরেলাই লাগে।
আপনারা যে যেখানে আছেন ভালো থাকুন, মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন, খুশি থাকুন, সৃষ্টিতে মাতুন, এবার আসি, আশাকরি আবার শীঘ্রই দেখা হবে।
নমস্কার
স্বরূপ চক্রবর্তী
সম্পাদক-অলীকপাতা
হরিদ্বার,২৬শে আগস্ট, ২০১৮
|
যুগলবন্দী ৪ -কবিতা -মুস্তাক আহমেদঃ মুস্তাক আহমেদ
যুগলবন্দী- সংখ্যা #৪
কলমেঃ মুস্তাক আহমেদ
ক্যামেরায়ঃ মুস্তাক আহমেদ
চির প্রতীক্ষারত- বুড়ি পুকুরের পাড়ে
ক্লান্ত পথিকের ক্ষণিক বিরতির ন্যায়
স্বল্পকালীন, সুখদায়ী স্মৃতি তোকে নিয়ে
তোর অবরুদ্ধ দ্বারের কড়া নাড়া দিয়ে
অনুত্তরিত !!!
প্রেমপত্র গুলি অতিথি হল তোর দুয়ারের বাইরেই থেকে গেল, প্রবেশ নিষিদ্ধ।
আমার দিকেও চেয়েছিলি;
উন্মীলিত দৃষ্টি যেন বাকরুদ্ধ, অভিভূত
যদি পলক ফেলতিস
আমার ছবি গ্রথিত হত
তোর হৃদয়ে !!!
অপলক দৃষ্টি পথ দিয়েই বয়ে গেল ।
তোর নিরন্তর তাকিয়ে থাকা ছেপে গেল,
মাথা নত করলাম চোখ বন্ধ করে -
তোর চেহারার ঐচ্ছিক আনমনা মনে সহস্রাধিক অনৈচ্ছিক তুফান উদ্রেক করে ।
আয়ু-বৃক্ষের শেষ পাতা ঝরে পড়ছে,
এ শীতলতা ছেড়ে প্রাণ পাখি পাড়ি দিয়েছি,
কোন উষ্ণ আশ্রয়ের খোঁজে।
এমনিই এক মায়াবী সাঁঝে
বুড়ি পুকুরের পাড়ে তোর অকস্মাৎ আগমন,
তোর গা ছুঁয়ে যাওয়া বাতাস জাগালো শিহরণ,
কবর মধ্যস্থ এক অসাড় দেহে।
কাছে এসে চিনতে পেরে মাথায় হাত দিলি সস্নেহে;
তোর স্বর্গীয় আঁচে আজ আর প্রাণের সঞ্চার হল না,
পাগল তাই অন্তিম সংস্কার টাও জুটলো না !!!
মন দিয়েছিলাম - সম্পূর্ণ সমর্পণ তোর প্রতি,
প্রান দিলাম - বাঁচল প্রেম শেষ অবধি,
মৃত্যুর পরও খোলা চোখ - তোর অপেক্ষার চরমতম পরিণতি |||
Subscribe to:
Posts (Atom)